ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

শীতের তীব্রতায় লেপ -তোশকের দোকানে ভীড় সৈয়দপুরে

সারাবেলা সংবাদ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০৩ বার পঠিত
কুয়াশা আর শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে সৈয়দপুরে লেপ তোশকের দোকানে ভীর বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। তবে লেপতোশকের উপকরণের দামের কারনে এবারে তেমন একটা লাভ হচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতারা।
সৈয়দপুরের আবহাওয়া অফিস সুত্র জানায়,গত এক সপ্তাহে সর্ব নিম্ন ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করেছে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। চলতি মৌসুমে এবারে সৈয়দপুরেই ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়  ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ থেকে শৈত্য প্রবাহের আশংকা ও করা হয়। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সৈয়দপুর সহ নীলফামারী জেলার কোথাও শৈত্য প্রবাহ নেই কিন্তু এরপরেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনে হালকা রোদের দেখা মিললেও সন্ধ্যার পর থেকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। সে কারনে শীত নিবারনের জন্য লেপতোশকের দোকানে ভীর করছেন মধ্য বিত্ত পরিবারের লোকজন।
শহরের রেললাইন সংলগ্ন লেপতোশক দোকানে দেখা যায়, দোকানের মালিক ও শ্রমিক মিলে লেপতোশক তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। তারা চায়না ও পুরাতন গরম কাপড় দিয়ে সৈয়দপুরেই তৈরি করা সুতা দিয়ে লেপ তোশক তৈরি করছেন।আর জাজিম তৈরি করছেন,ঝুট কাপড় দিয়ে তৈরি করা সুতা ও কালো হুল দিয়ে। আকার ও প্রকার ভেদে বিভিন্ন দামে তা বিক্রি করা হচ্ছে। গার্মেন্টস তুলা দিয়ে সিংগেল লেপ মজুরী সহ ১ হাজার টাকা আর ডাবল লেপ বিক্রি করা হচ্ছে মজুরি সহ ১৪/১৫শত টাকায়।
সাদ্দাম নামের এক ব্যবসায়ি বলেন, শীত যতই ঘনিয়ে আসছে,ক্রেতাদের ভীর ততই বাড়ছে। কিন্তু কাপড়,তুলা ও সুই সুতার দাম যেভাবে বাড়ছে সেভাবে লাভ হচ্ছে না। মনির হোসেন নামের অপর এক ব্যবসায়ি বলেন,গত ১০ দিন থেকে লেপতোশকের পাশাপাশি বালিশ, কোলবালিশ ও জাজিমের অর্ডার বেশি পাচ্ছি কিন্তু সুতা কাপড় ও কারিগরের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় লাভ একেবারেই হচ্ছে না।
শুধু মাত্র ব্যবসা ধরে রাখার জন্যই এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।তিনি বলেন,শিমুল তুলা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে। আর গার্মেন্টস তুলা ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা ও কার্পাস তুলা ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একারনে তিনি বলেন,একটি ডাবল লেপ বানাতে ৪ থেকে সারে ৫ কেজি তুলা লাগে। আর সেটির মজুরি লাগে ৩/৪ শত টাকা। জাজিম তৈরি করতে মজুরিই দিতে হয় ৬/৭ শত টাকা।
ক্রেতারা বলছেন,শীতে স্বল্প মুল্যে সোয়েটার, জ্যাকেট ও মাফলার পাওয়া গেলেও কম্বলের মুল্য অনেক বেশি। যার কারনে বাধ্য হয়েই শীত নিবারনের জন্য লেপতোশক বানাতে হচ্ছে।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

শীতের তীব্রতায় লেপ -তোশকের দোকানে ভীড় সৈয়দপুরে

আপডেট সময় : ০৫:২৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
কুয়াশা আর শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে সৈয়দপুরে লেপ তোশকের দোকানে ভীর বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। তবে লেপতোশকের উপকরণের দামের কারনে এবারে তেমন একটা লাভ হচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতারা।
সৈয়দপুরের আবহাওয়া অফিস সুত্র জানায়,গত এক সপ্তাহে সর্ব নিম্ন ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করেছে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। চলতি মৌসুমে এবারে সৈয়দপুরেই ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়  ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ থেকে শৈত্য প্রবাহের আশংকা ও করা হয়। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সৈয়দপুর সহ নীলফামারী জেলার কোথাও শৈত্য প্রবাহ নেই কিন্তু এরপরেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনে হালকা রোদের দেখা মিললেও সন্ধ্যার পর থেকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে। সে কারনে শীত নিবারনের জন্য লেপতোশকের দোকানে ভীর করছেন মধ্য বিত্ত পরিবারের লোকজন।
শহরের রেললাইন সংলগ্ন লেপতোশক দোকানে দেখা যায়, দোকানের মালিক ও শ্রমিক মিলে লেপতোশক তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। তারা চায়না ও পুরাতন গরম কাপড় দিয়ে সৈয়দপুরেই তৈরি করা সুতা দিয়ে লেপ তোশক তৈরি করছেন।আর জাজিম তৈরি করছেন,ঝুট কাপড় দিয়ে তৈরি করা সুতা ও কালো হুল দিয়ে। আকার ও প্রকার ভেদে বিভিন্ন দামে তা বিক্রি করা হচ্ছে। গার্মেন্টস তুলা দিয়ে সিংগেল লেপ মজুরী সহ ১ হাজার টাকা আর ডাবল লেপ বিক্রি করা হচ্ছে মজুরি সহ ১৪/১৫শত টাকায়।
সাদ্দাম নামের এক ব্যবসায়ি বলেন, শীত যতই ঘনিয়ে আসছে,ক্রেতাদের ভীর ততই বাড়ছে। কিন্তু কাপড়,তুলা ও সুই সুতার দাম যেভাবে বাড়ছে সেভাবে লাভ হচ্ছে না। মনির হোসেন নামের অপর এক ব্যবসায়ি বলেন,গত ১০ দিন থেকে লেপতোশকের পাশাপাশি বালিশ, কোলবালিশ ও জাজিমের অর্ডার বেশি পাচ্ছি কিন্তু সুতা কাপড় ও কারিগরের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় লাভ একেবারেই হচ্ছে না।
শুধু মাত্র ব্যবসা ধরে রাখার জন্যই এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।তিনি বলেন,শিমুল তুলা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে। আর গার্মেন্টস তুলা ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা ও কার্পাস তুলা ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একারনে তিনি বলেন,একটি ডাবল লেপ বানাতে ৪ থেকে সারে ৫ কেজি তুলা লাগে। আর সেটির মজুরি লাগে ৩/৪ শত টাকা। জাজিম তৈরি করতে মজুরিই দিতে হয় ৬/৭ শত টাকা।
ক্রেতারা বলছেন,শীতে স্বল্প মুল্যে সোয়েটার, জ্যাকেট ও মাফলার পাওয়া গেলেও কম্বলের মুল্য অনেক বেশি। যার কারনে বাধ্য হয়েই শীত নিবারনের জন্য লেপতোশক বানাতে হচ্ছে।
Facebook Comments Box