ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

দেড়দশক পর কুলাউড়ায় মহাজোট গ্যাঁড়াকলমুক্ত হয়েছে

মৌলভীবাজার প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ৭৭ বার পঠিত
প্রায় দেড়দশক পরে মহাজোটের গ্যাঁড়াকলমুক্ত হয়েছে মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসন। দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে এসেছেন হেভিওয়েট প্রার্থী আ’লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তাই বিভক্তির কিংবা মনস্তাত্বিক দ্বন্ধ ভুলে নৌকার প্রশ্নে একত্র হয়েছে কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগ। একের পর এক বর্ধিত কর্মী সভায় নিজেদের ঐক্যমতের জানান দিচ্ছেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। যা কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগে একটি বিরল ঘটনা।
দীর্ঘদিন পর নিজ দলীয় প্রার্থী পেয়ে নেতা কর্মীরা মরুর পানি তৃপ্তির মতো আনন্দিত ও উৎসাহিত। আ’লীগ ছাড়াও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা কমীর্দের মতে, ২২ বছর পর নিজ দলীয় নেতার হাতে দলীয় প্রতীক নৌকা এসেছে। এই সুযোগ তারা হাত ছাড়া করতে চান না। তাই স্বতন্ত্রের ঘাটিতে সিঁধ কাটছেন তারা।
অন্য দিকে ইমেজ সষ্কট আর বারবার দল পরিবর্তনসহ নানা ঘটনায় ভোটের মাঠে জায়গা করে নিতে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে নৌকার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের। আর ক্লিন ইমেজ নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। আর এতে বিপাকে পড়েছেন শাহীন-সলমানসহ অন্যান্য প্রার্থীরা।
মৌলভীজার-২ সংসদীয় আসন কুলাউড়া ঘুরে দেখা যায়, দ্বাদশ নিবার্চনের জন্য নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বিজয় নিশ্চিত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। সাথে সরকারের উন্নয়নের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে কাজ করছে আ’লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অন্য দিকে এ আসনে কেন্দ্রের মনোনীত প্রার্থীকে তৃণমূল গ্রহণ করে না, যদি তাদের প্রার্থী পছন্দ না হয়। এমন সমীকরনের দোলাচলে বিগত প্রায় ৩০ বছর। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সাধারণ ভোটারদের কাছে আ’লীগের দলীয়প্রতীক নৌকার চেয়ে ‘ব্যাক্তি নাদেল’এর গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে বেশি।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ছাত্রলীগের রাজনীতি করে ধীরে ধীরে উঠে এসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। ১৯৮৬ সালে তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হন। পরবর্তীতে সিলেট সরকারি কলেজ এবং এমসি কলেজে লেখাপড়াকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন তিনি। পরে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হন। ১৯৯৩ সালে তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৯৭ সালে হন সভাপতি। এরপর সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগে শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হন নাদেল। ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কৌলায়।
এম এম শাহীন জাসদ থেকে একসময় বিএনপি নেতা। তারপর দলটির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। পরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তাকে পুন:রায় দলে ফিরিয়ে নেন। কিন্তু ওয়ান ইলেভেন এর সময় তিনি যোগ দেন ঐ সময়ের কিংস পার্টি খ্যাত পিডিপিতে। আবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দিয়ে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে কুলাউড়ায় নির্বাচন করে পরাজিত হন। এবার দ্বাদশ নিবার্চনে এ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন এম এম শাহীন।
বিএনপি থেকে মহাজোটে যোগ দেওয়া এই নেতা বিএনপির মনোনয়নে একবার ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে তিনবার এবং সর্বশেষ মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। এর মধ্যে দু’বার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকায় নানা কারণে আলোচিত এম এ শাহীন একসময় জেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।
নিজ বাড়িতে এক মতবিনিময় সভায় তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করেন এম এম শাহীন। তখন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যে দলের মা নেই, বাপ নেই, ঠিকানা নেই…সেই দলে আমি যেতে চাইনি। কুলাউড়ার মানুষের স্বার্থে সেই দলের হয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু আপনারা সেটি চাননি, তাই আমি তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে ফেললাম। আমি আর নির্বাচন করব না।’ যদিও পরদিন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আব্দুল মতিন: সাবেক এ সংসদ সদস্য বহুবার দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নিবার্চন করেছেন। দ্বাদশ নিবার্চনে দলীয় মনোনয়ন চাননি তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন তিনি। যদিও বয়সের ভারে নুহ্য মাঠেও নিষ্ক্রিয়।
শফি আহমদ সলমান: জাসদের রাজনীতি দিয়ে শুরু, পরে যোগদেন আ’ লীগে। সুবিধা বুঝে ২০১৬ সালে কুলাউড়া পৌর নিবার্চনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়ে সৃষ্টি করেন বির্তক। পরাজিত হয়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনুকে পেঠানোর ঘটনায় বহিষ্কৃত হন দল থেকে। পরে নানা কৌশলে দলে ভিড়ে ২০১৯ সালের উপজেলা নিবার্চনে হন বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আবারও করা হয় দল থেকে বহিষ্কার। চেয়ারম্যান নিবার্চিত হয়ে ইউনিয়নে আ’লীগের নামে ‘সলমান বলয় আ’লীগ’ কমিটি গঠন শুরু করেন। এতে দেখা দেয় নানা বিশৃঙ্খলা। পরে ক্ষমা চেয়ে দলে ফিরে এলে উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি করা হয়। এবার দ্বাদশ নিবার্চনে আ’লীগের মনোনয়ন চান তিনি। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতার ঘোষণা দেন।
মৌলভীবাজার-২ আসনে আ’লীগের প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এম এম শাহীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মতিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করা কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম সফি আহমদ সলমান জাতীয় পার্টির মাহবুবুল আলম ওরফে শামীম ও মো. আবদুল মালিক, ইসলামী ঐক্যজোটের আসলাম হোসাইন রহমানী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. কামরুজ্জামান, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের আবদুল মোত্তাকীন তামিম ও এনামুল হক মাহতাব এবং জাসদের প্রার্থী বদরুল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭২ জন।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগে বর্ধিতকর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

দেড়দশক পর কুলাউড়ায় মহাজোট গ্যাঁড়াকলমুক্ত হয়েছে

আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রায় দেড়দশক পরে মহাজোটের গ্যাঁড়াকলমুক্ত হয়েছে মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসন। দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে এসেছেন হেভিওয়েট প্রার্থী আ’লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তাই বিভক্তির কিংবা মনস্তাত্বিক দ্বন্ধ ভুলে নৌকার প্রশ্নে একত্র হয়েছে কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগ। একের পর এক বর্ধিত কর্মী সভায় নিজেদের ঐক্যমতের জানান দিচ্ছেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। যা কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগে একটি বিরল ঘটনা।
দীর্ঘদিন পর নিজ দলীয় প্রার্থী পেয়ে নেতা কর্মীরা মরুর পানি তৃপ্তির মতো আনন্দিত ও উৎসাহিত। আ’লীগ ছাড়াও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা কমীর্দের মতে, ২২ বছর পর নিজ দলীয় নেতার হাতে দলীয় প্রতীক নৌকা এসেছে। এই সুযোগ তারা হাত ছাড়া করতে চান না। তাই স্বতন্ত্রের ঘাটিতে সিঁধ কাটছেন তারা।
অন্য দিকে ইমেজ সষ্কট আর বারবার দল পরিবর্তনসহ নানা ঘটনায় ভোটের মাঠে জায়গা করে নিতে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে নৌকার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের। আর ক্লিন ইমেজ নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। আর এতে বিপাকে পড়েছেন শাহীন-সলমানসহ অন্যান্য প্রার্থীরা।
মৌলভীজার-২ সংসদীয় আসন কুলাউড়া ঘুরে দেখা যায়, দ্বাদশ নিবার্চনের জন্য নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বিজয় নিশ্চিত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। সাথে সরকারের উন্নয়নের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে কাজ করছে আ’লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অন্য দিকে এ আসনে কেন্দ্রের মনোনীত প্রার্থীকে তৃণমূল গ্রহণ করে না, যদি তাদের প্রার্থী পছন্দ না হয়। এমন সমীকরনের দোলাচলে বিগত প্রায় ৩০ বছর। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সাধারণ ভোটারদের কাছে আ’লীগের দলীয়প্রতীক নৌকার চেয়ে ‘ব্যাক্তি নাদেল’এর গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে বেশি।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ছাত্রলীগের রাজনীতি করে ধীরে ধীরে উঠে এসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। ১৯৮৬ সালে তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হন। পরবর্তীতে সিলেট সরকারি কলেজ এবং এমসি কলেজে লেখাপড়াকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন তিনি। পরে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হন। ১৯৯৩ সালে তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৯৭ সালে হন সভাপতি। এরপর সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগে শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হন নাদেল। ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কৌলায়।
এম এম শাহীন জাসদ থেকে একসময় বিএনপি নেতা। তারপর দলটির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। পরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তাকে পুন:রায় দলে ফিরিয়ে নেন। কিন্তু ওয়ান ইলেভেন এর সময় তিনি যোগ দেন ঐ সময়ের কিংস পার্টি খ্যাত পিডিপিতে। আবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দিয়ে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে কুলাউড়ায় নির্বাচন করে পরাজিত হন। এবার দ্বাদশ নিবার্চনে এ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন এম এম শাহীন।
বিএনপি থেকে মহাজোটে যোগ দেওয়া এই নেতা বিএনপির মনোনয়নে একবার ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে তিনবার এবং সর্বশেষ মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। এর মধ্যে দু’বার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকায় নানা কারণে আলোচিত এম এ শাহীন একসময় জেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।
নিজ বাড়িতে এক মতবিনিময় সভায় তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করেন এম এম শাহীন। তখন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যে দলের মা নেই, বাপ নেই, ঠিকানা নেই…সেই দলে আমি যেতে চাইনি। কুলাউড়ার মানুষের স্বার্থে সেই দলের হয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু আপনারা সেটি চাননি, তাই আমি তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে ফেললাম। আমি আর নির্বাচন করব না।’ যদিও পরদিন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আব্দুল মতিন: সাবেক এ সংসদ সদস্য বহুবার দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নিবার্চন করেছেন। দ্বাদশ নিবার্চনে দলীয় মনোনয়ন চাননি তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন তিনি। যদিও বয়সের ভারে নুহ্য মাঠেও নিষ্ক্রিয়।
শফি আহমদ সলমান: জাসদের রাজনীতি দিয়ে শুরু, পরে যোগদেন আ’ লীগে। সুবিধা বুঝে ২০১৬ সালে কুলাউড়া পৌর নিবার্চনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়ে সৃষ্টি করেন বির্তক। পরাজিত হয়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনুকে পেঠানোর ঘটনায় বহিষ্কৃত হন দল থেকে। পরে নানা কৌশলে দলে ভিড়ে ২০১৯ সালের উপজেলা নিবার্চনে হন বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আবারও করা হয় দল থেকে বহিষ্কার। চেয়ারম্যান নিবার্চিত হয়ে ইউনিয়নে আ’লীগের নামে ‘সলমান বলয় আ’লীগ’ কমিটি গঠন শুরু করেন। এতে দেখা দেয় নানা বিশৃঙ্খলা। পরে ক্ষমা চেয়ে দলে ফিরে এলে উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি করা হয়। এবার দ্বাদশ নিবার্চনে আ’লীগের মনোনয়ন চান তিনি। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতার ঘোষণা দেন।
মৌলভীবাজার-২ আসনে আ’লীগের প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এম এম শাহীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মতিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করা কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম সফি আহমদ সলমান জাতীয় পার্টির মাহবুবুল আলম ওরফে শামীম ও মো. আবদুল মালিক, ইসলামী ঐক্যজোটের আসলাম হোসাইন রহমানী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. কামরুজ্জামান, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের আবদুল মোত্তাকীন তামিম ও এনামুল হক মাহতাব এবং জাসদের প্রার্থী বদরুল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭২ জন।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগে বর্ধিতকর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
Facebook Comments Box