ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, এস আলমসহ

৭ কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর স্থগিত রাখতে এনবিআরের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪ ১৬ বার পঠিত

দেশের সাতটি কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কোম্পানিগুলো হলো– বসুন্ধরা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, নাসা গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড (নগদ)।

গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের মহাপরিচালক আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। চিঠিটি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরের নিবন্ধক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের আয়কর আইনের ২২৩ ধারার আওতায় এনবিআর কর ফাঁকি রোধে সম্পত্তির অন্তবর্তীকালীন অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোকের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

এ কারণ দেখিয়ে ‘জনস্বার্থে’ এসব কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তর (কেনাবেচা ও দান) স্থগিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে যৌথমূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরে পাঠানো চিঠিতে।

চিঠিতে আরও বলা হয়– চলমান তদন্ত অনুযায়ী, এই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগসহ আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসন অবসানের পর সরকারি দফতরের পাশাপাশি আর্থিক খাত এবং বড় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে তৎপর হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন। তখনই বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, সামিট, ওরিয়ন ও নাসার মালিকদের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে সিআইসি।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, এস আলমসহ

৭ কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর স্থগিত রাখতে এনবিআরের চিঠি

আপডেট সময় : ০৫:০৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

দেশের সাতটি কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কোম্পানিগুলো হলো– বসুন্ধরা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, নাসা গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড (নগদ)।

গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের মহাপরিচালক আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। চিঠিটি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরের নিবন্ধক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের আয়কর আইনের ২২৩ ধারার আওতায় এনবিআর কর ফাঁকি রোধে সম্পত্তির অন্তবর্তীকালীন অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোকের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

এ কারণ দেখিয়ে ‘জনস্বার্থে’ এসব কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তর (কেনাবেচা ও দান) স্থগিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে যৌথমূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরে পাঠানো চিঠিতে।

চিঠিতে আরও বলা হয়– চলমান তদন্ত অনুযায়ী, এই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগসহ আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসন অবসানের পর সরকারি দফতরের পাশাপাশি আর্থিক খাত এবং বড় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে তৎপর হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন। তখনই বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, সামিট, ওরিয়ন ও নাসার মালিকদের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে সিআইসি।

Facebook Comments Box