৬৮ পর্যবেক্ষক সংস্থা চূড়ান্ত
- আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৩ ৫৪ বার পঠিত
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬৮ দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ তালিকায় আলোচিত আবেদ আলীর ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এবার পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়নি।
গত জাতীয় নির্বাচনে অনভিজ্ঞ কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়ে এসে সমালোচিত হয়েছিল সার্ক মানবাধিকার ফোরাম। আর এবার নির্বাচনের আগে কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে দেশে এনে ‘বিদেশি পর্যবেক্ষক’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। আবেদ আলী ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আশাদুল হক স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এসব সংস্থার তালিকা প্রকাশ করে। একই সঙ্গে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে। আপত্তি নিষ্পত্তি করার পরই চূড়ান্ত পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য অন্তর্ভুক্ত করবে ইসি।
গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসি পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরীফুল আলম। বুধবার গণবিজ্ঞপ্তিটি গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া এটি পাওয়া যাবে নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটেও।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষ সংস্থাগুলোকে নিবন্ধনের জন্য আহ্বান করা হলে দেশের ২০৬টি বেসরকারি সংস্থা ইসিতে আবেদন করে। পরে ইসির সাত সদস্যের একটি কমিটি আবেদনগুলো প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করে এবং শেষে ৬৮টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুলাই সর্বশেষ নিবন্ধিত ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে নিবন্ধন পাওয়া সংস্থাগুলোর মধ্যে পুরোনো ৪০টির আবারও নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ১৩৮টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। নিবন্ধিত সংস্থাগুলোর মধ্যে ৭৫টি সংস্থা থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন পর্যবেক্ষক নবম সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিল ৮১টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয় ২০০৮ সালে। একই সময় জাতীয় গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ বা আরপিওতেও বিষয়টি সংযোজন করা হয়। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা তৈরি করে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিনিধিদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার বিধান আগেই থেকেই ছিল।
সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ১৮ আগস্ট ২০২৩