৩ বছরের সন্তান নিয়ে পরকিয়ার টানে উধাও গৃহবধু, সন্তানের খোঁজে দিশেহারা স্বামী
- আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪ ৩৮৩ বার পঠিত
পাবনার সাঁথিয়ায় ৩ বছরের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পরকিয়ার টানে উধাও হয়েছেন লাবনী (২২) নামের এক গৃহবধু। সে বেড়া উপজেলার চাকলা গ্রামের আক্তার মোল্লার মেয়ে ও সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামের মজিদ খাঁর ছেলে নাজমুলের স্ত্রী। এ দিকে সন্তানের খোঁজে দিশেহারা ওই গৃহবধুর স্বামী নাজমুল সাঁথিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর আগে বেড়া উপজেলার চাকলা গ্রামের আক্তারুজ্জামান মোল্লার মেয়ে লাবনী বেগমের সাথে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের মনমথপুর গ্রামের মৃত মজিদখাঁর ছেলে নাজমূল হুদার সঙ্গে বিয়ে হয়।
বিয়ের এক বছরের মাথায় তাদের ঘরে আবু হুরাইরা তাসনিম নামে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। জীবিকার তাগিদের নাজমুল ঢাকায় অবস্থান করায় স্ত্রী লাবনী আকতার তার মায়ের সঙ্গে বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার দিন শুক্রবার (১লা মার্চ) বাড়ির গেটে তালা মেরে পাশেই ইসলামী জালসা শুনতে যায় নাজমুলের মা। রাত ১টার দিকে বাড়িতে এসে দেখেন গেটের তালা খোলা। ঘরের দরজাও খোলা। রুমে গিয়ে দেখেন তার ৩ বছরের একটি সন্তানসহ নিজ ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী স্বামী নাজমুল জানান, গেল ১৫ জানুয়ারী সন্ধ্যায় আমার স্ত্রীর নম্বরে একটি ফোন আসে যার নম্বর +৯১৭৭১৮২৩৪৫৪৮। ওই ফোন আমি রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে জিজ্ঞাসা করে আপনি কে? আমি তার পরিচয় জানতে চাইলে সে বলে আমি লাবনীর হবু বর। সে আরও বলে যে আমি ভারতের মুরশিদাবাদ থেকে বলছি। লাবনীর সাথে আমার ৬মাস ধরে সম্পর্ক। বিষয়টি নিয়ে আমি আমার পরিবার খুবই দুঃচিন্তায় আছি। তিনি বলেন, সে গেছে যাক আমার সন্তানকে আমি ফেরত পেতে চাই।
নাজমুলের মা লুৎফুন্নাহার বলেন, আমার আর কোন সন্তান নেই। আমি বউমাকে মেয়ের মত করে দেখতাম। আমি স্বামী হারা বিধবা। ওই নাতিকে নিয়েই বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি। সেও আমার খুবই ভক্ত ছিল। ওর জন্য আজ কয়েকটা দিন কিভাবে যে কাটছে তা আল্লাহ জানে। এ কথা বলতে বলতে হাউ—মাও করে কেঁদে ওঠে।
লাবনীর বাবা আক্তার মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমরাও তো ওর কোন খোঁজ পাচ্ছি না। বিভিন্ন জায়গা খোঁজ খবর নিচ্ছি । আপনারা একটু দেখেন। আমিও খোঁজ পেলে জামাইকে জানাব।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিভিন্ন জায়গা খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ভিকটিমদের উদ্ধারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।