ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি (বিএসসি) যাত্রা শুরু Logo দাম নিয়ন্ত্রণে ট্রেনে সবজি পরিবহন Logo আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি কর্নেল অলির Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা?

২৮শে অক্টোবরের সমাবেশ : যা ভাবছে আওয়ামী লীগ

সারাবেলা সংবাদ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১২:২১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ৪০ বার পঠিত

শনিবার সমাবেশের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা পুলিশকে জানিয়েছে যে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শনিবার সমাবেশ করবে । এ সমাবেশে প্রায় ‘দুই লাখ মানুষ’ জড়ো হবে বলে আশা করছে আওয়ামী লীগ ।

পুলিশের এক চিঠির জবাবে দলটি একথা উল্লেখ করেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ বুধবার দলটির কাছে জানতে চেয়েছিল।

পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, রাস্তায় কোন সমাবেশের অনুমতি তারা দিবে না বরং দলগুলোকে মাঠ কিংবা খোলা জায়গা নির্বাচন করে আবেদন করতে হবে।

যদিও উভয় দলের পক্ষ থেকেই পুলিশকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে সমাবেশের ভেন্যু পরিবর্তন তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

এদিকে শনিবার ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীর প্রবেশমুখ আমিনবাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোতে তাদের নেতা-কর্মীদের আটক করা শুরু করেছে পুলিশ এবং এ পর্যন্ত মোট দেড়শ নেতাকর্মীকে আটকের তথ্য দিয়েছে দলটি।

প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় ‘মহাসমাবেশের’ ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। পরে আওয়ামী লীগও একই দিনে ঢাকায় ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ ঘোষণা করে।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করে যেন জনগণের জানমালের ক্ষতি না করতে পারে সেজন্য আওয়ামী লীগও অব্যাহত কর্মসূচি দেয়”।

একই সাথে তিনি বলেছেন বায়তুল মোকাররমেই তাদের সমাবেশ হবে।

আওয়ামী লীগের চিঠিতে যা বলা হয়েছে : মহানগর পুলিশকে দেয়া চিঠিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, শনিবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ আয়োজনের সব প্রস্তুতি বিশেষ করে মঞ্চ নির্মাণ ও প্রচার কার্যক্রম তারা সম্পন্ন করেছে।

এ কারণে নতুন কোন ভেন্যুতে এখন সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়া তাদের জন্য ‘কঠিন বিষয়’ বলে জানিয়েছে তারা।

এছাড়া একইদিন সকাল দশটা থেকে শুরু করে শুরু করে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ওই সমাবেশের কর্মসূচি চলবে এবং এ সমাবেশে প্রায় ‘দুই লাখ লোকের’ সমাবেশ ঘটবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।

দলটি জানিয়েছে, বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইট থেকে পল্টন মোড়, জিপিও মোড়, গোলাপ শাহ মাজার, নগর ভবন, দৈনিক বাংলা মোড়, মতিঝিল সড়ক ও স্টেডিয়াম সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে তাদের সমাবেশ।

এছাড়া ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলো থেকেও নেতাকর্মীরা মিছিলসহ সমাবেশে যোগ দিতে আসবেন বলে জানা গেছে। ঢাকায় আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিটকে ব্যাপক প্রচারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যার মূল্য উদ্দেশ্য শুক্রবারই ঢাকার প্রতিটি এলাকায় মিছিল বের করা।

দলীয় বৈঠকগুলোতে নেতাকর্মীদের বিএনপির সমাবেশের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে নগর ইউনিটের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

“আমরা কখনো বিএনপির কোন সভা সমাবেশের ওপর কোন প্রকার হামলা বা আক্রমণ করিনি। যদি তারা গায়ে পড়ে আক্রমণ করতে আসে তাহলে কর্মীরা বসে থাকবে না, পাল্টা হামলা অবশ্যই হবে,” ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার বলছিলেন ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে।

জানা গেছে, বিএনপির সমাবেশস্থলকে তিন দিক থেকে ঘিরে রাখার কৌশল নিয়ে কাজ করছে ক্ষমতাসীন দল। যাতে করে কোন সহিংসতা ঘটনা ঘটলেও বিএনপি কর্মীরা সবদিকে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।

তবে দলটির নেতারা প্রকাশ্যে এসব নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের দিন পাল্টা সমাবেশ করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দাবি বিএনপি যাতে কোন সহিংসতা করতে না পারে সেজন্যই তারা তাদের ‘শান্তি সমাবেশ’গুলো করছে।

বিএনপি ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করবে তারা।

এজন্য শনিবারের সমাবেশ থেকে দলটির ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলেছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের সংবিধানে থাকা নিয়ম অনুযায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী মাসের মাঝামাঝি নির্বাচন কমিশন পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা। আর দু’দলই চাইছে তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে বা রাখতে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন যে বিএনপি অবরোধ করলে তারা উল্টো বিএনপিকে অবরোধ করবেন এবং ঢাকায় দাঁড়াতেই দিবেন না। বিবিসি

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

২৮শে অক্টোবরের সমাবেশ : যা ভাবছে আওয়ামী লীগ

আপডেট সময় : ১২:২১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

শনিবার সমাবেশের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা পুলিশকে জানিয়েছে যে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শনিবার সমাবেশ করবে । এ সমাবেশে প্রায় ‘দুই লাখ মানুষ’ জড়ো হবে বলে আশা করছে আওয়ামী লীগ ।

পুলিশের এক চিঠির জবাবে দলটি একথা উল্লেখ করেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ বুধবার দলটির কাছে জানতে চেয়েছিল।

পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, রাস্তায় কোন সমাবেশের অনুমতি তারা দিবে না বরং দলগুলোকে মাঠ কিংবা খোলা জায়গা নির্বাচন করে আবেদন করতে হবে।

যদিও উভয় দলের পক্ষ থেকেই পুলিশকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে সমাবেশের ভেন্যু পরিবর্তন তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

এদিকে শনিবার ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীর প্রবেশমুখ আমিনবাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোতে তাদের নেতা-কর্মীদের আটক করা শুরু করেছে পুলিশ এবং এ পর্যন্ত মোট দেড়শ নেতাকর্মীকে আটকের তথ্য দিয়েছে দলটি।

প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় ‘মহাসমাবেশের’ ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। পরে আওয়ামী লীগও একই দিনে ঢাকায় ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ ঘোষণা করে।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করে যেন জনগণের জানমালের ক্ষতি না করতে পারে সেজন্য আওয়ামী লীগও অব্যাহত কর্মসূচি দেয়”।

একই সাথে তিনি বলেছেন বায়তুল মোকাররমেই তাদের সমাবেশ হবে।

আওয়ামী লীগের চিঠিতে যা বলা হয়েছে : মহানগর পুলিশকে দেয়া চিঠিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, শনিবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ আয়োজনের সব প্রস্তুতি বিশেষ করে মঞ্চ নির্মাণ ও প্রচার কার্যক্রম তারা সম্পন্ন করেছে।

এ কারণে নতুন কোন ভেন্যুতে এখন সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়া তাদের জন্য ‘কঠিন বিষয়’ বলে জানিয়েছে তারা।

এছাড়া একইদিন সকাল দশটা থেকে শুরু করে শুরু করে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ওই সমাবেশের কর্মসূচি চলবে এবং এ সমাবেশে প্রায় ‘দুই লাখ লোকের’ সমাবেশ ঘটবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।

দলটি জানিয়েছে, বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইট থেকে পল্টন মোড়, জিপিও মোড়, গোলাপ শাহ মাজার, নগর ভবন, দৈনিক বাংলা মোড়, মতিঝিল সড়ক ও স্টেডিয়াম সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে তাদের সমাবেশ।

এছাড়া ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলো থেকেও নেতাকর্মীরা মিছিলসহ সমাবেশে যোগ দিতে আসবেন বলে জানা গেছে। ঢাকায় আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিটকে ব্যাপক প্রচারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যার মূল্য উদ্দেশ্য শুক্রবারই ঢাকার প্রতিটি এলাকায় মিছিল বের করা।

দলীয় বৈঠকগুলোতে নেতাকর্মীদের বিএনপির সমাবেশের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে নগর ইউনিটের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

“আমরা কখনো বিএনপির কোন সভা সমাবেশের ওপর কোন প্রকার হামলা বা আক্রমণ করিনি। যদি তারা গায়ে পড়ে আক্রমণ করতে আসে তাহলে কর্মীরা বসে থাকবে না, পাল্টা হামলা অবশ্যই হবে,” ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার বলছিলেন ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে।

জানা গেছে, বিএনপির সমাবেশস্থলকে তিন দিক থেকে ঘিরে রাখার কৌশল নিয়ে কাজ করছে ক্ষমতাসীন দল। যাতে করে কোন সহিংসতা ঘটনা ঘটলেও বিএনপি কর্মীরা সবদিকে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।

তবে দলটির নেতারা প্রকাশ্যে এসব নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের দিন পাল্টা সমাবেশ করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দাবি বিএনপি যাতে কোন সহিংসতা করতে না পারে সেজন্যই তারা তাদের ‘শান্তি সমাবেশ’গুলো করছে।

বিএনপি ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করবে তারা।

এজন্য শনিবারের সমাবেশ থেকে দলটির ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলেছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের সংবিধানে থাকা নিয়ম অনুযায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী মাসের মাঝামাঝি নির্বাচন কমিশন পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা। আর দু’দলই চাইছে তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে বা রাখতে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন যে বিএনপি অবরোধ করলে তারা উল্টো বিএনপিকে অবরোধ করবেন এবং ঢাকায় দাঁড়াতেই দিবেন না। বিবিসি

Facebook Comments Box