ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৯৭৫ সালের পর সবচেয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে :শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪ ৩৮ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

তিনি বলেন, “জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।”

শেখ হাসিনা এই নির্বাচনকে ১৯৭৫ সালের পর অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক বলে উল্লেখ করেন।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর নেতা-কর্মীরা গণভবনে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় তিনি এ কথা বলেন।

এই বিজয় তার টানা চতুর্থ মেয়াদে এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন “বিএনপি তাদের বিদেশি প্রভুদের পরামর্শ মেনে চলায় বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারে না।”

বিএনপি জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলো উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “তারা বাংলাদেশের জনগণকে চেনে না। ওস্তাদদের পরামর্শ মেনে চললে, বাংলাদেশে টিকে থাকা সম্ভব হবে না।”

আওয়ামী লীগের কোনো বিদেশি প্রভু নেই বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, “কারণ জনগণ আ্ওয়ামী লীগের শক্তি।”

বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করেছে বলে উল্লেখ করেন আ্ওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের মধ্যে এই নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে।

“আমরা প্রমাণ করেছি, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে;” যোগ করেন শেখ হাসিনা।

দেশ ও জনগণের কল্যাণে সবকিছু ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের অনেকেই জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন।

দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বকে কাজে লাগানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, নির্বাচনে কিছু রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ জনগণের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি উল্লেখ করেন যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর জনগণ দেড় মাসের মধ্যে বিএনপি সরকারকে উৎখাত করেছিলো।

“বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায় মেনে নেয় না;” বলেন শেখ হাসিনা।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

১৯৭৫ সালের পর সবচেয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে :শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ১১:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

তিনি বলেন, “জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।”

শেখ হাসিনা এই নির্বাচনকে ১৯৭৫ সালের পর অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক বলে উল্লেখ করেন।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর নেতা-কর্মীরা গণভবনে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় তিনি এ কথা বলেন।

এই বিজয় তার টানা চতুর্থ মেয়াদে এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন “বিএনপি তাদের বিদেশি প্রভুদের পরামর্শ মেনে চলায় বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারে না।”

বিএনপি জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলো উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “তারা বাংলাদেশের জনগণকে চেনে না। ওস্তাদদের পরামর্শ মেনে চললে, বাংলাদেশে টিকে থাকা সম্ভব হবে না।”

আওয়ামী লীগের কোনো বিদেশি প্রভু নেই বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, “কারণ জনগণ আ্ওয়ামী লীগের শক্তি।”

বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করেছে বলে উল্লেখ করেন আ্ওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের মধ্যে এই নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে।

“আমরা প্রমাণ করেছি, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে;” যোগ করেন শেখ হাসিনা।

দেশ ও জনগণের কল্যাণে সবকিছু ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের অনেকেই জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন।

দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বকে কাজে লাগানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, নির্বাচনে কিছু রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ জনগণের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি উল্লেখ করেন যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর জনগণ দেড় মাসের মধ্যে বিএনপি সরকারকে উৎখাত করেছিলো।

“বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায় মেনে নেয় না;” বলেন শেখ হাসিনা।

Facebook Comments Box