১০ প্রতিবন্ধকতার মুখে বৈধপথের রেমিটেন্স
- আপডেট সময় : ০৩:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৯ বার পঠিত
ঢাকা : বাংলাদেশে বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীরা ১০টি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে বলে উঠে এসেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এসব সংকটের কথা উঠে আসে।
সেখানে বলা হয়েছে, বৈধপথের তুলনায় অবৈধপথে রেমিটেন্স বিনিময় হারের পার্থক্য বেশি। এছাড়া অনেক প্রবাসী কর্মীর বৈধ কাগজপত্র না থাকা, সুবিধামতো স্থানে বাংলাদেশি ব্যাংকের শাখা না থাকা বা পর্যাপ্ত শাখার অভাব, বাংলাদেশি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান না থাকা বা পর্যাপ্ত মানি এক্সচেঞ্জ পয়েন্ট না থাকা প্রবাসীদের জন্য দেশে বৈধপথে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন।
এছাড়া রেমিটেন্স পাঠানোর উচ্চ ফি বা সার্ভিস চার্জ এবং নির্ধারিত সীমা (সিলিং) ঠিক করে দেওয়া, হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য, অনেক ক্ষেত্রে প্রবাসীদের বা প্রবাসীদের নিকট আত্মীয়দের দেশে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকা, আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে রেমিটেন্স পাঠাতে না পারা, অননুমোদিত ব্যবসা/কাজের আয় বৈধপথে পাঠানোর সুযোগ না থাকাও বাধা সৃষ্টি করে।
আবার বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতনতার অভাব রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, বৈঠকে বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানোর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি করতে এবং হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণেও সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বিদেশগামী জনবলকে সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়া, ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তা এবং বিদেশে শ্রমিক মৃত্যুজনিত বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে বিদেশে জনশক্তি পাঠানোর জন্য নতুন নতুন শ্রমবাজার অন্বেষণ ও অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী চাহিদা রয়েছে এমন দেশগুলোয় যুক্তিসংগত বা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিনা অভিবাসন ব্যয়ে জনশক্তি পাঠানোর উদ্যোগ নিতেও অনুরোধ করা হয়।
মন্ত্রী ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য আব্দুল মোতালেব, মহিউদ্দিন আহমেদ, মাজহারুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এবং শাম্মী আহমেদ।