ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

স্বতন্ত্র প্রার্থীর চাপে কোনঠাসা আওয়ামীলীগ ও জাপা প্রার্থীরা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ৮৬ বার পঠিত
আগামী ৭ জানুয়ারী ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন।এ নির্বাচনে নীলফামারী ৪ আসনে( সৈয়দপুর -কিশোরগঞ্জ)  সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন নৌকা প্রতিক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় একেবারে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন নৌকার প্রার্থী জাকির হোসন বাবুল। একই অবস্থা হয়েছে জাতীয় পার্টির বেলাতেও।বিশিষ্ট শিল্প পতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিককে লাংগল প্রতিক না দেয়ায় তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
জানা গেছে, নীলফামারী-৪ আসনটি বিএনপির দুর্গ হলেও নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় কিছুটা হলেও ভোট সংকটে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি প্রার্থীরা।সেদিক থেকে স্বতন্ত্ররা রয়েছেন ফুরফুরে অবস্থায়।  এ নির্বাচনে  সৈয়দপুর – কিশোরগঞ্জ এলাকার চোখের মনি আওয়ামী লীগের ভোট মেকার মোখছেদুল মোমিন কে নৌকা প্রতিক না দেয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুল ও জাপার লাংগল প্রতিকের প্রার্থী নয় দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর যেকোন একজন নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ বলে ভোটাদের মতামত।
খোজ নিয়ে দেখা গেছে, নীলফামারী -৪ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৫৬৩টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজর ২৬৮ টি ও নারী ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ২৯৫ টি। অর্ধেক ভোটাররা চাইছেন,সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন কে। কারন এআসনের অনেকের মতে,আওয়ামী লীগ মানেই মোখছেদুল মোমিন।  নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে মোখছেদুল মোমিনের বিকল্প নেই। বিপদে আপদে এই মোকছেদুল মোমিনই গরীব, অসহায় ও সর্বস্তরের মানুষের খোজ খবর নিয়েছেন। যে নেতা এমপি মন্ত্রী না হয়েও জনগনের খোঁজ খবর নেয়, জনগন এবারে তাকেই এমপি হিসেবে দেখতে চাইছেন।
অন্য দিকে সৈয়দপুর উপজেলার সিংহ ভাগ মানুষ ও কিশোরগঞ্জ এলাকার ৩ ভাগ মানুষ বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে যাকে এ আসনের মানুষ ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছিলেন,তিনি প্রধান মন্ত্রীর দেয়া বরাদ্দের সিকি ভাগও উন্নয়ন করেননি। কোন প্রকার খোঁজ খবরই রাখেন নাই গরীব ও অসহায় মানুষের। সেখানে শিল্প পতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক নীলফামারী -৪ আমনের জাতীয় পার্টির নেতা কর্মী সহ সাধারন মানুষের খোঁজ খবর নিয়েছেন বারংবার। মোটা অংকেরন সাহায্য করেছেন অর্থ দিয়েও।
সৈয়দপুরের ভোটাররা বলছেন, ২০২০ সালে পৌর পরিষদ নির্বাচনে সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক মেয়র পদে নির্বাচন করেন।ওই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি ২ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার ভোট পান।কিন্তু তার বৃদ্ধা মাকে ভোট দিতে না দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ায় সিদ্দিকুল আলম নির্বাচন থেকে সরে আসেন।এবারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন সুষ্ঠ হলে সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিককেই এমপি হিসেবে নির্বাচিত করবেন বলে ভোটাররা মতামত ব্যক্ত করেন।
সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক বলেন, জনগন যদি আমাকে তাদের মুল্যবান ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেন, তাহলে সরকারের দেয়া বরাদ্দের একটি পয়সা ও নিজ স্বার্থে খরচ করবো না।কারন আমার অর্থ সম্পদ সবই আছে।শেষ বয়সে নীলফামারী-৪ আসনকে মডেল শহরে রুপান্তরিত করতে চাই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন বলেন,জনগনের ভালো বাসার কারনেই আমি দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।জনগনই আমার সব।ভোটাররা যদি আমাকে এমপি নির্বাচিত করেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুলকে না পেয়ে লাংগল প্রতিকের প্রার্থী আলহাজ্ব আহসান আদেরুল রহমান আদেল এর কাছে গেলে তিনি কোন কথাই বলবেন না বলে জানান।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

স্বতন্ত্র প্রার্থীর চাপে কোনঠাসা আওয়ামীলীগ ও জাপা প্রার্থীরা

আপডেট সময় : ০৪:৩৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
আগামী ৭ জানুয়ারী ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন।এ নির্বাচনে নীলফামারী ৪ আসনে( সৈয়দপুর -কিশোরগঞ্জ)  সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন নৌকা প্রতিক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় একেবারে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন নৌকার প্রার্থী জাকির হোসন বাবুল। একই অবস্থা হয়েছে জাতীয় পার্টির বেলাতেও।বিশিষ্ট শিল্প পতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিককে লাংগল প্রতিক না দেয়ায় তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
জানা গেছে, নীলফামারী-৪ আসনটি বিএনপির দুর্গ হলেও নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় কিছুটা হলেও ভোট সংকটে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি প্রার্থীরা।সেদিক থেকে স্বতন্ত্ররা রয়েছেন ফুরফুরে অবস্থায়।  এ নির্বাচনে  সৈয়দপুর – কিশোরগঞ্জ এলাকার চোখের মনি আওয়ামী লীগের ভোট মেকার মোখছেদুল মোমিন কে নৌকা প্রতিক না দেয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুল ও জাপার লাংগল প্রতিকের প্রার্থী নয় দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর যেকোন একজন নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ বলে ভোটাদের মতামত।
খোজ নিয়ে দেখা গেছে, নীলফামারী -৪ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৫৬৩টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজর ২৬৮ টি ও নারী ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ২৯৫ টি। অর্ধেক ভোটাররা চাইছেন,সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন কে। কারন এআসনের অনেকের মতে,আওয়ামী লীগ মানেই মোখছেদুল মোমিন।  নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে মোখছেদুল মোমিনের বিকল্প নেই। বিপদে আপদে এই মোকছেদুল মোমিনই গরীব, অসহায় ও সর্বস্তরের মানুষের খোজ খবর নিয়েছেন। যে নেতা এমপি মন্ত্রী না হয়েও জনগনের খোঁজ খবর নেয়, জনগন এবারে তাকেই এমপি হিসেবে দেখতে চাইছেন।
অন্য দিকে সৈয়দপুর উপজেলার সিংহ ভাগ মানুষ ও কিশোরগঞ্জ এলাকার ৩ ভাগ মানুষ বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে যাকে এ আসনের মানুষ ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছিলেন,তিনি প্রধান মন্ত্রীর দেয়া বরাদ্দের সিকি ভাগও উন্নয়ন করেননি। কোন প্রকার খোঁজ খবরই রাখেন নাই গরীব ও অসহায় মানুষের। সেখানে শিল্প পতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক নীলফামারী -৪ আমনের জাতীয় পার্টির নেতা কর্মী সহ সাধারন মানুষের খোঁজ খবর নিয়েছেন বারংবার। মোটা অংকেরন সাহায্য করেছেন অর্থ দিয়েও।
সৈয়দপুরের ভোটাররা বলছেন, ২০২০ সালে পৌর পরিষদ নির্বাচনে সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক মেয়র পদে নির্বাচন করেন।ওই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি ২ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার ভোট পান।কিন্তু তার বৃদ্ধা মাকে ভোট দিতে না দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ায় সিদ্দিকুল আলম নির্বাচন থেকে সরে আসেন।এবারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন সুষ্ঠ হলে সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিককেই এমপি হিসেবে নির্বাচিত করবেন বলে ভোটাররা মতামত ব্যক্ত করেন।
সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক বলেন, জনগন যদি আমাকে তাদের মুল্যবান ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেন, তাহলে সরকারের দেয়া বরাদ্দের একটি পয়সা ও নিজ স্বার্থে খরচ করবো না।কারন আমার অর্থ সম্পদ সবই আছে।শেষ বয়সে নীলফামারী-৪ আসনকে মডেল শহরে রুপান্তরিত করতে চাই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন বলেন,জনগনের ভালো বাসার কারনেই আমি দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।জনগনই আমার সব।ভোটাররা যদি আমাকে এমপি নির্বাচিত করেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুলকে না পেয়ে লাংগল প্রতিকের প্রার্থী আলহাজ্ব আহসান আদেরুল রহমান আদেল এর কাছে গেলে তিনি কোন কথাই বলবেন না বলে জানান।
Facebook Comments Box