ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে মারলেন অধ্যক্ষা

সারাবেলার সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪ ১৬ বার পঠিত

কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এক নারীকে কামড়ে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার ওই রাজ্যেরই রাজধানী লাখনৌয়ের একটি স্কুলে প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। স্কুলে দেরি করে আসায় এক শিক্ষিকাকে মারধর করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষা।
শিক্ষিকাকে পেটানোর এই দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের আগ্রার সেগানা গ্রামের একটি প্রাক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা তার সহকর্মী শিক্ষিকা গুঞ্জন চৌধুরীকে কেবল লাঞ্ছিতই করেননি। বরং চড়-থাপ্পড় মারার সময় তার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারে বসে থাকা শিক্ষিকার সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার দিকে তেড়ে যান স্কুলের অধ্যক্ষা। এসময় ওই শিক্ষিকার জামা ধরে তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। একে অপরের জামা ধরে টানাটানি করেন।
এরমাঝেই অধ্যক্ষার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছুটে এসে তাদের লড়াই থামানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে দু’জনের লড়াই থেমে যায়। পরে তাদের মাঝে আবারও বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় অধ্যক্ষের গাড়ির চালক ওই শিক্ষিকার সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
মারামারির এই ঘটনা যিনি মোবাইলে ধারণ করছিলেন ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, এটা ভিডিও করা হচ্ছে। ম্যাডাম অভদ্র আচরণ করছেন। এই আচরণ কি আপনার সাথে মানায়? অধ্যক্ষার পিটুনিতে ওই নারী শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে ভিডিওতে দাবি করেন তার সহকর্মী।
ঘটনার শেষ এখানেই নয়। স্কুল ছুটির সময় দুই নারী শিক্ষকের মাঝে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় একে অপরকে “বেহায়া মহিলা’’ বলে গালিও দেন তারা। স্কুলের অধ্যক্ষা ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুলে দেরিতে আসার অভিযোগ তুলেছেন।
লড়াইয়ের সময় অধ্যক্ষা ও ওই শিক্ষকা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করেন। যা তাদের স্কুলে বা যে পেশায় তারা আছেন, তার সাথে বেমানান বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
হাতাহাতির সময় ওই নারী শিক্ষককে বলতে শোনা যায়, সাহস থাকলে আমাকে মারুন। আপনি এবং আপনার ড্রাইভার কি করবেন? জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘কিসিকি দাদাগিরি নাহি চলেগি ইঁহা।’’
পরে আহত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যক্ষা।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে মারলেন অধ্যক্ষা

আপডেট সময় : ০৯:০৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এক নারীকে কামড়ে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার ওই রাজ্যেরই রাজধানী লাখনৌয়ের একটি স্কুলে প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। স্কুলে দেরি করে আসায় এক শিক্ষিকাকে মারধর করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষা।
শিক্ষিকাকে পেটানোর এই দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের আগ্রার সেগানা গ্রামের একটি প্রাক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা তার সহকর্মী শিক্ষিকা গুঞ্জন চৌধুরীকে কেবল লাঞ্ছিতই করেননি। বরং চড়-থাপ্পড় মারার সময় তার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারে বসে থাকা শিক্ষিকার সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার দিকে তেড়ে যান স্কুলের অধ্যক্ষা। এসময় ওই শিক্ষিকার জামা ধরে তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। একে অপরের জামা ধরে টানাটানি করেন।
এরমাঝেই অধ্যক্ষার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছুটে এসে তাদের লড়াই থামানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে দু’জনের লড়াই থেমে যায়। পরে তাদের মাঝে আবারও বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় অধ্যক্ষের গাড়ির চালক ওই শিক্ষিকার সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
মারামারির এই ঘটনা যিনি মোবাইলে ধারণ করছিলেন ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, এটা ভিডিও করা হচ্ছে। ম্যাডাম অভদ্র আচরণ করছেন। এই আচরণ কি আপনার সাথে মানায়? অধ্যক্ষার পিটুনিতে ওই নারী শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে ভিডিওতে দাবি করেন তার সহকর্মী।
ঘটনার শেষ এখানেই নয়। স্কুল ছুটির সময় দুই নারী শিক্ষকের মাঝে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় একে অপরকে “বেহায়া মহিলা’’ বলে গালিও দেন তারা। স্কুলের অধ্যক্ষা ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুলে দেরিতে আসার অভিযোগ তুলেছেন।
লড়াইয়ের সময় অধ্যক্ষা ও ওই শিক্ষকা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করেন। যা তাদের স্কুলে বা যে পেশায় তারা আছেন, তার সাথে বেমানান বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
হাতাহাতির সময় ওই নারী শিক্ষককে বলতে শোনা যায়, সাহস থাকলে আমাকে মারুন। আপনি এবং আপনার ড্রাইভার কি করবেন? জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘কিসিকি দাদাগিরি নাহি চলেগি ইঁহা।’’
পরে আহত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যক্ষা।

Facebook Comments Box