ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সৈয়দপুরে শীতকালীন সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া

সৈয়দপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:২২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ৪১ বার পঠিত

নীলফামারীর সৈয়দপুর বাজারে শীতকালীন সবজির দাম যেন আকাশ ছোঁয়া।  কষ্ট সাধ্য হয়ে পগচে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, সবজি বাজারে কম উঠায় দ্বিগুণ দাম হাঁকানো হচ্ছে। করলাও বেগুন এর দাম সেঞ্চুরি হয়েছে । এছাড়া অন্যান্য সকল সবজি বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৬০-৭০-৮০ টাকা করে।

গতকাল মঙ্গলবার সৈয়দপুর আধুনিক পৌর সবজি বাজারে করলা ও বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে।আলু ৬০ টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা, বাধা কপি ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, সিম ৮০ টাকা, গাজর ১১০ টাকা, পেয়াজ ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, চালকুমড়া ১ পিস ৭০ টাকা, লাউ আকার ভেদে ৬০/৭০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেপে ৪০ টাকা ও সজি ( কচু)কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

আনিস নামের এক সবজি বিক্রেতা বলেন,এবারে আশ্বিন মাসে প্রচন্ড বৃষ্টি হওয়ায় আবাদি জমি তলিয়ে গিয়েছিল। একারনে ফসল হয়েছে অনেক কম।গ্রাম থেকে যেভাবে সবজি আসতো তার তুলনায় বাজারে আসছে অর্ধেকের মতো। আমরা মাঠ থেকে সবজি কিনে আনছি বেশি দামে। প্রতি কেজি সবজিতে ১০/২০ টাকার বেশি লাভ হয় না বলে জানান তিনি।

অপর কজন বলেন,এবারে আগাম শীত কালিন সবজির আবাদ ও আমদানি অনেকটা কমে গেছে। আর তাই ২/৩ টি সবজি ছাড়া প্রায় সব সবজির দামে আগুন লেগেছে। তবে ক্রেতা সাধারন বলছেন, সৈয়দপুর উপজেলায় যেসব জমিতে আগাম শীত কালিন সবজির চাষাবাদ হয়, সে জমি গুলো সবই উচু। নিচু জমিতে বন্যার পানি ২/৩ দিন আটক থাকলেও উচু জমি গুলোতে এর প্রভাব পড়ে না।

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন, কামার পুকুর ইউনিয়ন ও বাংগালীপুর ইউনিয়নে পর্যাপ্ত সবজির চাষাবাদ হয় এবং হয়েছে। আবাদকৃত ওইসব সবজি সৈয়দপুরের চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য অঞ্চলে ও সরবরাহ করা সম্ভব। সিন্ডিকেট ব্যবসায়িরা কৃষকদের আগাম কম মুল্য দিয়ে সৈয়দপুরের বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছেন।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক বলেন,বাজারে সব কিছুর দাম বেড়েছে, শুধু বাড়েনি বেতন ও মানুষের দাম। যা বেতন পাই তা দিয়ে বাচ্চাদের পড়াশুনা ও পেট ভর্তি করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। বাজারে সবজির দামে যে আগুন লাগবে তা ভাবিনি।
বর্তমানে জনগনের পাশে কেউ দাঁড়ায় না বলেই ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছে।

এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান বলেন, আমি একটু অসুস্থ। সুস্থ হওয়া মাত্রই অভিযানে নামবেন বলে  জানান তিনি।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

সৈয়দপুরে শীতকালীন সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া

আপডেট সময় : ১২:২২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

নীলফামারীর সৈয়দপুর বাজারে শীতকালীন সবজির দাম যেন আকাশ ছোঁয়া।  কষ্ট সাধ্য হয়ে পগচে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, সবজি বাজারে কম উঠায় দ্বিগুণ দাম হাঁকানো হচ্ছে। করলাও বেগুন এর দাম সেঞ্চুরি হয়েছে । এছাড়া অন্যান্য সকল সবজি বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৬০-৭০-৮০ টাকা করে।

গতকাল মঙ্গলবার সৈয়দপুর আধুনিক পৌর সবজি বাজারে করলা ও বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে।আলু ৬০ টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা, বাধা কপি ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, সিম ৮০ টাকা, গাজর ১১০ টাকা, পেয়াজ ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, চালকুমড়া ১ পিস ৭০ টাকা, লাউ আকার ভেদে ৬০/৭০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেপে ৪০ টাকা ও সজি ( কচু)কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

আনিস নামের এক সবজি বিক্রেতা বলেন,এবারে আশ্বিন মাসে প্রচন্ড বৃষ্টি হওয়ায় আবাদি জমি তলিয়ে গিয়েছিল। একারনে ফসল হয়েছে অনেক কম।গ্রাম থেকে যেভাবে সবজি আসতো তার তুলনায় বাজারে আসছে অর্ধেকের মতো। আমরা মাঠ থেকে সবজি কিনে আনছি বেশি দামে। প্রতি কেজি সবজিতে ১০/২০ টাকার বেশি লাভ হয় না বলে জানান তিনি।

অপর কজন বলেন,এবারে আগাম শীত কালিন সবজির আবাদ ও আমদানি অনেকটা কমে গেছে। আর তাই ২/৩ টি সবজি ছাড়া প্রায় সব সবজির দামে আগুন লেগেছে। তবে ক্রেতা সাধারন বলছেন, সৈয়দপুর উপজেলায় যেসব জমিতে আগাম শীত কালিন সবজির চাষাবাদ হয়, সে জমি গুলো সবই উচু। নিচু জমিতে বন্যার পানি ২/৩ দিন আটক থাকলেও উচু জমি গুলোতে এর প্রভাব পড়ে না।

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন, কামার পুকুর ইউনিয়ন ও বাংগালীপুর ইউনিয়নে পর্যাপ্ত সবজির চাষাবাদ হয় এবং হয়েছে। আবাদকৃত ওইসব সবজি সৈয়দপুরের চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য অঞ্চলে ও সরবরাহ করা সম্ভব। সিন্ডিকেট ব্যবসায়িরা কৃষকদের আগাম কম মুল্য দিয়ে সৈয়দপুরের বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছেন।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক বলেন,বাজারে সব কিছুর দাম বেড়েছে, শুধু বাড়েনি বেতন ও মানুষের দাম। যা বেতন পাই তা দিয়ে বাচ্চাদের পড়াশুনা ও পেট ভর্তি করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। বাজারে সবজির দামে যে আগুন লাগবে তা ভাবিনি।
বর্তমানে জনগনের পাশে কেউ দাঁড়ায় না বলেই ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছে।

এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান বলেন, আমি একটু অসুস্থ। সুস্থ হওয়া মাত্রই অভিযানে নামবেন বলে  জানান তিনি।

Facebook Comments Box