ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সৈয়দপুরে নৌকা ছেড়ে দিলেও শংকায় লাঙ্গল প্রার্থী

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ৭৬ বার পঠিত
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে নীলফামারী- ৪ আসনে নৌকার প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে আসলেও লাঙ্গলের প্রার্থী ও সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা স্বস্তিতে নেই। এবারে তাদের মুখোমুখি হয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি  মোখছেদুল মোমিন। অথচ অন্যবার আওয়ামী লীগ এ আসনটি ছেড়ে দেয়া মানেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীর এমপি হওয়ার নিশ্চয়তা।
কিন্তু এবারে লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী ও সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতিক বরাদ্দ পেয়েই প্রার্থীরা ভোট প্রাপ্তির প্রচার প্রচারনায় মাঠে নেমেছেন।
লাঙ্গল প্রতিকের নেতা কর্মীরা জানান,দলের মনোনয়ন পেয়ে এতদিন খোশমেজাজে ছিলেন,জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল। তারা ভেবেছিলেন আওয়ামী লীগ এ আসনটিতে নৌকা প্রার্থী না দেয়ায় নৌকার সমর্থকরা লাঙ্গলের পক্ষে কাজ করবে।কিন্তু এখন দেখছি,সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আওয়ামী লীগের সবাই তার পক্ষে একাট্টা হয়েছেন।
তাছাড়া মোখছেদুল মোমিন এর নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। আছে আওয়ামী লীগের দলীয় পরিচয়। অন্য দিকে জাতীয় পার্টির সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক নির্বাচনে অংশ নেয়ায় লাঙ্গলের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। আর নৌকার সব সমর্থন যাবে মোখছেদুল মোমিন এর কাছে।যার কারনে লাঙ্গল প্রার্থীর সামনে পিচ্ছিল পথে হাটা মুশকিল হয়ে যাবে।
আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।  এবারে এ আসনটিতে নারী ও পুরুষ মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৫৬৩ টি।এসব ভোটারের মধ্যে সিংহ ভাগ মানুষ মোখছেদুল মোমিন কেই এমপি হিসেবে দেখতে চাইছেন। কারন, একমাত্র মোখছেদুল মোমিনই হলেন একজন প্রকৃত রাজনীতিবিদ। যারা রাজনীতি করেন ও বুঝেন,একমাত্র তারাই পারেন এলাকার উন্নয়ন ঘটাতে।
ভোটাররা বলেন,প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক মোখছেদুল মোমিন কে ভোট দিলে উন্নয়নে কোন বাধা আসবে না। এলাকার উন্নয়নে প্রধান মন্ত্রীর কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দও আনতে পারবেন তিনি।তাছাড়া একজন রাজনীতিবিদই নীলফামারী -৪ আসনের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারেন।এ আসনে মোখছেদুল মোমিন এর বিকল্প নেই বলে জানান তারা।
ভোটাররা আরো বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বা হেবি ওয়েট সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল কে নীলফামারী- ৪ আসনের এমপি নির্বাচিত করা হয়েছিল, কিন্তু কোন লাভই হয় নাই। সরকারের দেয় বরাদ্দের সিকি ভাগ ও উন্নয়ন করেন নাই তিনি।আগামীতেও তার দ্বারা উন্নয়ন সম্ভব নয়।আর একারনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল সৈনিক এক হয়ে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন কেই নীলফামারী-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত করতে ভোটের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জনগনকে কি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন জানতে চাইলে লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল ও জাতীয় পার্টির নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক কথা বলতে না চাইলে, মোখছেদুল মোমিন বলেন,এ আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকলেও আমি প্রধানমন্ত্রির সৈনিক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।জনগন আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করলে সৈয়দপুর সহ কিশোরগঞ্জের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে সদা চেষ্টা চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

সৈয়দপুরে নৌকা ছেড়ে দিলেও শংকায় লাঙ্গল প্রার্থী

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে নীলফামারী- ৪ আসনে নৌকার প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে আসলেও লাঙ্গলের প্রার্থী ও সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা স্বস্তিতে নেই। এবারে তাদের মুখোমুখি হয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি  মোখছেদুল মোমিন। অথচ অন্যবার আওয়ামী লীগ এ আসনটি ছেড়ে দেয়া মানেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীর এমপি হওয়ার নিশ্চয়তা।
কিন্তু এবারে লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী ও সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতিক বরাদ্দ পেয়েই প্রার্থীরা ভোট প্রাপ্তির প্রচার প্রচারনায় মাঠে নেমেছেন।
লাঙ্গল প্রতিকের নেতা কর্মীরা জানান,দলের মনোনয়ন পেয়ে এতদিন খোশমেজাজে ছিলেন,জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল। তারা ভেবেছিলেন আওয়ামী লীগ এ আসনটিতে নৌকা প্রার্থী না দেয়ায় নৌকার সমর্থকরা লাঙ্গলের পক্ষে কাজ করবে।কিন্তু এখন দেখছি,সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আওয়ামী লীগের সবাই তার পক্ষে একাট্টা হয়েছেন।
তাছাড়া মোখছেদুল মোমিন এর নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। আছে আওয়ামী লীগের দলীয় পরিচয়। অন্য দিকে জাতীয় পার্টির সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক নির্বাচনে অংশ নেয়ায় লাঙ্গলের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। আর নৌকার সব সমর্থন যাবে মোখছেদুল মোমিন এর কাছে।যার কারনে লাঙ্গল প্রার্থীর সামনে পিচ্ছিল পথে হাটা মুশকিল হয়ে যাবে।
আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।  এবারে এ আসনটিতে নারী ও পুরুষ মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৫৬৩ টি।এসব ভোটারের মধ্যে সিংহ ভাগ মানুষ মোখছেদুল মোমিন কেই এমপি হিসেবে দেখতে চাইছেন। কারন, একমাত্র মোখছেদুল মোমিনই হলেন একজন প্রকৃত রাজনীতিবিদ। যারা রাজনীতি করেন ও বুঝেন,একমাত্র তারাই পারেন এলাকার উন্নয়ন ঘটাতে।
ভোটাররা বলেন,প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক মোখছেদুল মোমিন কে ভোট দিলে উন্নয়নে কোন বাধা আসবে না। এলাকার উন্নয়নে প্রধান মন্ত্রীর কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দও আনতে পারবেন তিনি।তাছাড়া একজন রাজনীতিবিদই নীলফামারী -৪ আসনের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারেন।এ আসনে মোখছেদুল মোমিন এর বিকল্প নেই বলে জানান তারা।
ভোটাররা আরো বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বা হেবি ওয়েট সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল কে নীলফামারী- ৪ আসনের এমপি নির্বাচিত করা হয়েছিল, কিন্তু কোন লাভই হয় নাই। সরকারের দেয় বরাদ্দের সিকি ভাগ ও উন্নয়ন করেন নাই তিনি।আগামীতেও তার দ্বারা উন্নয়ন সম্ভব নয়।আর একারনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল সৈনিক এক হয়ে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন কেই নীলফামারী-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত করতে ভোটের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জনগনকে কি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন জানতে চাইলে লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল ও জাতীয় পার্টির নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক কথা বলতে না চাইলে, মোখছেদুল মোমিন বলেন,এ আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকলেও আমি প্রধানমন্ত্রির সৈনিক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।জনগন আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করলে সৈয়দপুর সহ কিশোরগঞ্জের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে সদা চেষ্টা চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
Facebook Comments Box