ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সৈয়দপুরে নিম্ন মানের খেজুর ও চেরি ফলে বাজার সয়লাব

জহুরুল ইসলাম খোকন  সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪ ৫২ বার পঠিত
নীলফামারীর সৈয়দপুরে  রমজানকে  ঘিরে বরাবরের মতো এবারও নিম্ন মানের খেজুর ও দুর্গন্ধ যুক্ত চেরি ফল বিক্রি করছেন ক’জন ব্যবসায়ি। গত বছরের বিক্রি না হওয়া খেজুর বিক্রির জন্য গোডাউন থেকে বের করে বাজারজাত করা হচ্ছে।
একই সাথে ভারতে ফেলে দেয়া দুর্গন্ধ যুক্ত চেরি ফল এনে ক’জন ব্যবসায়ি প্রায় প্রকাশ্যেই বিক্রি করছেন খুচরা পাইকারি ভাবে। এ নিয়ে কয়েক দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ায় ১৬ মার্চ শহরের বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারে অভিযান চালিয়ে রংপুর বিভাগের ভোক্তা অধিদপ্তর ১ লাখ টাকা জরিমানা করলেও শহরে কমেনি নিম্ন মানের খেজুর বিক্রি।
এছাড়া সরকার দামের ঘোষণা দেয়ার পরেও দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে খেজুর। আর ইফতারের জন্য সবচেয়ে  আকর্ষনীয় এ  খাদ্য উপকরনটি বাড়তি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন সকলেই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব দোকানেই নিম্নমানের খেজুর  বস্তায় ভরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বস্তায়  নেই কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ। অভিযান থেকে বাচতে ২/৩ জন ব্যবসায়ি বস্তায় মেয়াদের তারিখ লিখে দিচ্ছেন নিজ হাতে।আর খুচরা ব্যাবসায়ীরা নিম্নমানের খেজুরগুলোর স্বাদ ও চকচক করতে মিষ্টির সিরা ও সরিষার তেল মেশাচ্ছেন বলেও জানা যায় ।
খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার যেসব খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন,সেসব খেজুর দ্বিগুণ দামে মহাজনের কাছে ক্রয় করতে হচ্ছে,
মরিয়ম খেজুর  ৮৫০ টাকা,  আজুয়া ৭০০ টাকা,  সাফওয়ী ৪০০, মোবারম ৫০০, দাবাজ ২৪০ নাগাল ও বড়ই ২২০,ফরিদা ২৮০, বারাবি ও জাবিল ৪০০  টাকা কেজি দরে খেজুর কিনতে হচ্ছে। মহাজনের কাছে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই খুচরা বাজারে দাম একটু বেশি।
খেজুর ক্রয় করতে আসা আমিরুল ইসলাম আরমান বলেন, রমজান মাস চলছে, তাই খেজুর কিনতে এসেছি। আড়তে কিনতে গিয়েছিলাম। সেখানে দাম কম হলেও খুচরা বিক্রি করতে রাজি নন তারা। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রায় দ্বিগুন দাম চাইছে। বাধ্য হয়ে তাই বেশি দামেই কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
সৈয়দপুর বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মো: বদশা বলেন, তার আড়তে প্রচুর পরিমানে ভাল মানের খেজুর আমদানি করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ভ্যাট,ট্যাক্স বেশি বলেই দাম বেশি। তিনি বলেন, অভিযানে জরিমানা করতে হয় বলেই জরিমানা করা হয়েছে। তার আড়তে কোন নিম্ন মানের খেজুর ছিল না বা নেই বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, চেরি ফল বিক্রি একেবারেই অবৈধ। কারন সেই ফলে মেডিসিন দিয়ে রাখা হয় বছরের পর বছর। এই ফল খেলে পেটের অসুখ হবেই হবে কিন্তু সেদিকে কোন খেয়াল নেই ভোক্তা অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুরের সহকারী পরিচালক আজহারুল ইসলাম  জানান, রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের বাজার থেকে শুরু করে ফলের আড়তে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

সৈয়দপুরে নিম্ন মানের খেজুর ও চেরি ফলে বাজার সয়লাব

আপডেট সময় : ১১:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
নীলফামারীর সৈয়দপুরে  রমজানকে  ঘিরে বরাবরের মতো এবারও নিম্ন মানের খেজুর ও দুর্গন্ধ যুক্ত চেরি ফল বিক্রি করছেন ক’জন ব্যবসায়ি। গত বছরের বিক্রি না হওয়া খেজুর বিক্রির জন্য গোডাউন থেকে বের করে বাজারজাত করা হচ্ছে।
একই সাথে ভারতে ফেলে দেয়া দুর্গন্ধ যুক্ত চেরি ফল এনে ক’জন ব্যবসায়ি প্রায় প্রকাশ্যেই বিক্রি করছেন খুচরা পাইকারি ভাবে। এ নিয়ে কয়েক দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ায় ১৬ মার্চ শহরের বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারে অভিযান চালিয়ে রংপুর বিভাগের ভোক্তা অধিদপ্তর ১ লাখ টাকা জরিমানা করলেও শহরে কমেনি নিম্ন মানের খেজুর বিক্রি।
এছাড়া সরকার দামের ঘোষণা দেয়ার পরেও দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে খেজুর। আর ইফতারের জন্য সবচেয়ে  আকর্ষনীয় এ  খাদ্য উপকরনটি বাড়তি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন সকলেই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব দোকানেই নিম্নমানের খেজুর  বস্তায় ভরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বস্তায়  নেই কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ। অভিযান থেকে বাচতে ২/৩ জন ব্যবসায়ি বস্তায় মেয়াদের তারিখ লিখে দিচ্ছেন নিজ হাতে।আর খুচরা ব্যাবসায়ীরা নিম্নমানের খেজুরগুলোর স্বাদ ও চকচক করতে মিষ্টির সিরা ও সরিষার তেল মেশাচ্ছেন বলেও জানা যায় ।
খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার যেসব খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন,সেসব খেজুর দ্বিগুণ দামে মহাজনের কাছে ক্রয় করতে হচ্ছে,
মরিয়ম খেজুর  ৮৫০ টাকা,  আজুয়া ৭০০ টাকা,  সাফওয়ী ৪০০, মোবারম ৫০০, দাবাজ ২৪০ নাগাল ও বড়ই ২২০,ফরিদা ২৮০, বারাবি ও জাবিল ৪০০  টাকা কেজি দরে খেজুর কিনতে হচ্ছে। মহাজনের কাছে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই খুচরা বাজারে দাম একটু বেশি।
খেজুর ক্রয় করতে আসা আমিরুল ইসলাম আরমান বলেন, রমজান মাস চলছে, তাই খেজুর কিনতে এসেছি। আড়তে কিনতে গিয়েছিলাম। সেখানে দাম কম হলেও খুচরা বিক্রি করতে রাজি নন তারা। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রায় দ্বিগুন দাম চাইছে। বাধ্য হয়ে তাই বেশি দামেই কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
সৈয়দপুর বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মো: বদশা বলেন, তার আড়তে প্রচুর পরিমানে ভাল মানের খেজুর আমদানি করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ভ্যাট,ট্যাক্স বেশি বলেই দাম বেশি। তিনি বলেন, অভিযানে জরিমানা করতে হয় বলেই জরিমানা করা হয়েছে। তার আড়তে কোন নিম্ন মানের খেজুর ছিল না বা নেই বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, চেরি ফল বিক্রি একেবারেই অবৈধ। কারন সেই ফলে মেডিসিন দিয়ে রাখা হয় বছরের পর বছর। এই ফল খেলে পেটের অসুখ হবেই হবে কিন্তু সেদিকে কোন খেয়াল নেই ভোক্তা অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুরের সহকারী পরিচালক আজহারুল ইসলাম  জানান, রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের বাজার থেকে শুরু করে ফলের আড়তে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
Facebook Comments Box