রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ আশঙ্কা এবার তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ কম হবে। কারণ হিসেবে তিনিও বিগত দুটি নির্বাচনকে সামনে আনেন।

“আঠারো বছর হলে ভোট দিবে। পর পর দুটি নির্বাচনে তরুণরা ভোট দিতে পারে নাই। এখন ওই ভোটের হিসেবে আমি বলবো যে তৃতীয় প্রজন্মের তরুণরা এবারো তাদের একই অবস্থাই হচ্ছে যে তাদের সামনে কোনো চয়েস নাই। ফলে তরুণরা এভাবে কিন্তু বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। আমি বলবো যে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতাবোধ তৈরি হচ্ছে তাদের মধ্যে”।

[caption id="attachment_10799" align="aligncenter" width="300"] ভোটের বিতর্ক প্রভাব ফেলছে তরুণদের মধ্যে[/caption]

ভোটের রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতি বিমুখ করছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এছাড়া একটানা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের বাইরে অন্য ছাত্রসংগঠন বা আদর্শিক রাজনীতি করার সুযোগ সীমিত হয়ে এসেছে বলেও অনেকে মনে করেন।

“একানব্বই থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তরুণদের যত সংগঠন বিশেষ করে ছাত্র সংগঠন, যুব-সংগঠন দেখি সবই হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের লাঠিয়াল। এভাবেই চলছে। এরমধ্যে সবাইতো আর লাঠিয়াল হতে চায় না” রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ দেশে তরুণদের রাজনীতিতে ইচ্ছা অনিচ্ছার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন।

“রাজনীতির যে চেহারা তারা দেখছে এটার প্রতি তাদের ঘৃণা। এদেশের তরুণরা রাজনীতি পছন্দ করেন, রাজনীতি চায় না, অংশগ্রহণ করতে চায় না-এটা একটা বাজে কথা। রাজনীতিটা এত পঁচে গেছে যে এই পঁচা শামুকে কেউ পা কাটতে চায় না।”

ভয়ের সংস্কৃতি

সমাজে বিভিন্ন দৃষ্টান্ত দেখে নিজেরাই চুপ হয়ে যাচ্ছেন বলেই মনে করেন শিক্ষার্থী জিসান। তিনি বলেন, কে কী বলবে সেটা ভেবে ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই এখন প্রকাশ্যে মতামত দিতেও সংকোচ বোধ করেন।