ঢাকা ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীমান্ত হত্যা টার্গেট কিলিং নয়, কমাতে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ: ডিজি বিজিবি ও বিএসএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪ ২৭ বার পঠিত

যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫ দিনব্যাপী বৈঠক আজ শনিবার শেষ হয়েছে।

বিএসএফ মহাপরিচালক নিতিন আগারওয়ালের নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে।

৫৪তম সীমান্ত সম্মেলন শেষে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) নিতিন আগারওয়াল বলেছেন, সীমান্তহত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।

বিজিবি-বিএসএফ ডিজির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না। বাংলাদেশ বর্ডারে বিএসএফ প্রাণঘাতি নয়, এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু ক্লোজ রেঞ্জ থেকে প্রাণঘাতি নয়, এমন অস্ত্র দিয়ে গুলি করলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। সীমান্তহত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় সংঘবদ্ধ অপরাধ, মানবপাচার, চোরাকারবারির মতো নানা অপরাধী বিভিন্ন সময় বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। তখন আত্মরক্ষার্থে কখনো কখনো বিএসএফ সদস্যরা ফায়ার করতে বাধ্য হন। গত বছর প্রায় ৬০ জন বিএসএফ সদস্যদের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। বিএসএফের প্রতিরোধে শুধু বাংলাদেশি নয়, ভারতীয় অপরাধীরাও মারা যায়।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, সীমান্ত হত্যার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এটিকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সীমান্ত হত্যার পাশাপাশি মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান, মানবপাচার, অবৈধ সীমান্ত পারাপার এবং সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং এসব অপরাধ দমনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

 

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

সীমান্ত হত্যা টার্গেট কিলিং নয়, কমাতে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ: ডিজি বিজিবি ও বিএসএফ

আপডেট সময় : ১১:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫ দিনব্যাপী বৈঠক আজ শনিবার শেষ হয়েছে।

বিএসএফ মহাপরিচালক নিতিন আগারওয়ালের নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে।

৫৪তম সীমান্ত সম্মেলন শেষে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) নিতিন আগারওয়াল বলেছেন, সীমান্তহত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।

বিজিবি-বিএসএফ ডিজির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না। বাংলাদেশ বর্ডারে বিএসএফ প্রাণঘাতি নয়, এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু ক্লোজ রেঞ্জ থেকে প্রাণঘাতি নয়, এমন অস্ত্র দিয়ে গুলি করলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। সীমান্তহত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় সংঘবদ্ধ অপরাধ, মানবপাচার, চোরাকারবারির মতো নানা অপরাধী বিভিন্ন সময় বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। তখন আত্মরক্ষার্থে কখনো কখনো বিএসএফ সদস্যরা ফায়ার করতে বাধ্য হন। গত বছর প্রায় ৬০ জন বিএসএফ সদস্যদের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। বিএসএফের প্রতিরোধে শুধু বাংলাদেশি নয়, ভারতীয় অপরাধীরাও মারা যায়।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, সীমান্ত হত্যার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এটিকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সীমান্ত হত্যার পাশাপাশি মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান, মানবপাচার, অবৈধ সীমান্ত পারাপার এবং সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং এসব অপরাধ দমনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

 

Facebook Comments Box