ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ট্রাইব্যুনালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক কর্তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হলো Logo ভাঙ্গুড়া প্রেস ক্লাবের অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান Logo মৌলভীবাজার পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক মহিম গ্রেপ্তার Logo পাবনার আমিনপুরে ইজিবাইক-মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীসহ নিহত ২ Logo সেনাকুঞ্জে যাবেন খালেদা জিয়া Logo সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ সিওয়াইবির কমিটি গঠন Logo সৈয়দপুর বাসটার্মিনালে বেহাল অবস্থা, যাত্রীসাধারনের দুর্ভোগ Logo ‘ফ্যাসিবাদী বয়ান’ দেওয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে: প্রেস সচিব Logo রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ Logo তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ

‘সানভিস বাই তনি’র ভয়ংকর প্রতারণা!

সারাবেলা সংবাদ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ ২৫ বার পঠিত

ঢাকা : পাকিস্তানি বলে দেশি পোশাক বিক্রির অভিযোগে ‘সানভিস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেশ আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। যিনি পরিচিত ‘সানভিস বাই তনি’র নামে। রাজধানীতে পোশাক ও কসমেটিক্সের কয়েকটি শোরুম আছে তার। এছাড়া অনলাইনে ড্রেস বিক্রি করেন তিনি। এবার তিনি আলোচনায় এসছেন কোনো পোশাক বা কসমেটিক্স নিয়ে নয়, বরং প্রতারণার অভিযোগে।

পাকিস্তানি বলে দেশি পোশাক বিক্রির অভিযোগে ‘সানভিস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়া তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্সও বিক্রি করা হতো ওই আউটলেটে।

সোমবার (১৩ মে) গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়।

অভিযান প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘সানভিস বাই তনি’র অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, তবে ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস। এভাবে ক্রেতাদের প্রতারিত করা হচ্ছে। এছাড়া এসব ড্রেস তারা চড়া মূল্যে বিক্রি করত।

এমনই বেশ কিছু অভিযোগ আসে ভোক্তা অধিদপ্তরের কাছে। এর পর ওই প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। তবে ‘সানভিস বাই তনি’র পক্ষ থেকে কোনো জবাব আসেনি।

ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরও বলেন, যেহেতু ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে সেসব তথ্য দেবে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

‘সানভিস বাই তনি’র ভয়ংকর প্রতারণা!

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

ঢাকা : পাকিস্তানি বলে দেশি পোশাক বিক্রির অভিযোগে ‘সানভিস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেশ আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। যিনি পরিচিত ‘সানভিস বাই তনি’র নামে। রাজধানীতে পোশাক ও কসমেটিক্সের কয়েকটি শোরুম আছে তার। এছাড়া অনলাইনে ড্রেস বিক্রি করেন তিনি। এবার তিনি আলোচনায় এসছেন কোনো পোশাক বা কসমেটিক্স নিয়ে নয়, বরং প্রতারণার অভিযোগে।

পাকিস্তানি বলে দেশি পোশাক বিক্রির অভিযোগে ‘সানভিস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়া তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্সও বিক্রি করা হতো ওই আউটলেটে।

সোমবার (১৩ মে) গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়।

অভিযান প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘সানভিস বাই তনি’র অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, তবে ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস। এভাবে ক্রেতাদের প্রতারিত করা হচ্ছে। এছাড়া এসব ড্রেস তারা চড়া মূল্যে বিক্রি করত।

এমনই বেশ কিছু অভিযোগ আসে ভোক্তা অধিদপ্তরের কাছে। এর পর ওই প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। তবে ‘সানভিস বাই তনি’র পক্ষ থেকে কোনো জবাব আসেনি।

ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরও বলেন, যেহেতু ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে সেসব তথ্য দেবে।

Facebook Comments Box