সাঁথিয়ায় সরকারী জমি দখলের মহোৎসব
- আপডেট সময় : ০৬:২৬:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮৪ বার পঠিত
পাবনার সাঁথিয়ায় সরকারী সম্পত্তি জবর দখলের মহোৎসব চলছে। অভিযোগ রয়েছে পাকা, আধা পাকা ভবন তৈরি করে বিক্রির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
অভিযোগে জানা গেছে, পাবনা পওর বিভাগাধীন পাবনা সেচ ও উন্নয়ন প্রকল্পের সুতীখালি নদীর নিস্কাশন খালে পাড়ের জায়গা প্রভাবশালীরা দখল করে সেখানে প্রায় অর্ধশত আধা পাকা টিনশেড দোকান পাট ও গুদাম ঘর নির্মাণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অবৈধ দখলদার প্রভাবশালীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে পজিশন নিয়ে তারা ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করছে।
এদিকে গতকাল ১৬ সেপ্টম্বর সরকারী সম্পত্তি দখলদারদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে বাপাউবো সাঁথিয়া অফিস কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশে বলা হয়েছে পানি নিস্কাশনের সেচ খালের অধিগ্রহনকৃত জায়গা এবং পাড় ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও বে আইনি কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে ১৯৭০ সালের ইমারত (দখল পুনরুদ্ধার) ৫ (১) ধারা মতে অতিসত্তর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও নির্মিতব্য অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে আদেশ দেন।
সরেজমিন জানাগেছে দখলকৃত সরকারী জায়গায় প্রভাবশালীরা দোকানপাট নিমার্ণ করে সেখানে লক্ষিপুর বাজার নামে সেখানে সপ্তাহে ২ দিন হাট লাগে। হাটের নিজস্ব জায়গা একটু দুরে হওয়ায় অবৈধ দখলকৃত ওই জায়গাতে বড় বড় দোকানপাট নির্মাণ হওয়ায় স্থানীয়রা হাট বসাতো।
এ দিকে লক্ষিপুর হাটের কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হাট সংলগ্ন সড়কের পাশে টিনের ছাপড়া তুললে ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ লোকজন দিয়ে কুপিয়ে তা ভেঙ্গে দেন। রোববার একটি এক্সভেটর নিয়ে রেখে দেন এবং বলেন, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে ওই ছাপড়া তুলে নিতে হবে।
হাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের, তারা নোটিশ দিয়েছেন, সময় দিয়েছেন। এরই মাঝে চেয়ারম্যান আধা পাকা স্থাপনা দোকান—পাট যারা তুলেছে তাদেরকে কিছু না বলে গরীব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ছাপড়া ভেঙ্গে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করলো। তারা বলেন ভেঙে দিলে সব দোকান ,স্থাপনা ভেঙ্গে দিবে। শুধু আমাদেরটা কেন ?
ছাপড়া ভেঙ্গে দেয়ার বিষয়ে ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ বলেন, আমার নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারী জায়গায় ছাপড়া তৈরি করেছিল তাই ভেঙ্গে দিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড তো নোটিশ দিয়েই শেষ। যেহেতু সরকারী সম্পত্তি আমি একজন স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি হয়ে সরকারী সম্পত্তি দেখে রাখা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। তা ছাড়া ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫০ হাজার করে টাকা নিয়েছে।
বেড়া বাপাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরি নোটিশের সত্য নিশ্চিত করে বলেন, যারাই সরকারী সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করেছেন তাদেরকে নিজ নিজ দায়িত্বে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। চেয়ারম্যানের ছাপড়া ভেঙে দেয়ার বিষয়ে এটা তিনি করতে পারেন কিনা না জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আপনি সাংবাদিক আপনি বলুন তিনি পারেন কিনা ? তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সাথে কোন আলোচনা করেননি তিনি(চেয়ারম্যান )।
সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ১৭ সেপ্টম্বর ২০২৩