সাঁথিয়ায় ৪দিন ধরে কাঁটা তারের বেড়ায় অবরুদ্ধ ৩টি পরিবার, পুলিশের হস্তক্ষেপে অপসারণ
- আপডেট সময় : ০৬:০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ১৫৫ বার পঠিত
পাবনার সাঁথিয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তানজিলের অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে কয়েকটি পরিবারের বাড়ির চারিদিকে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ৪ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাঁটাতারের বেড়া ও সিমেন্টের সব খুটি অপসারণ করে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পোরাট গ্রামে শাজাহানের বাড়িতে। এ সময় পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা তানজিলকে ধরতে গেলে সে পালিয়ে যায়।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলা পোরাট গ্রামের আশরাফুল ওলুম হাফিজিয়া মাদরাসার রাস্তার জায়গা দেয়া ও গ্রাম্য সমাজে তাদের সাথে না থাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে ধোপাদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তানজিলের নেতৃত্বে ঠান্টু, রফিকুল, খলিল, ফিরোজ , নয়নসহ ১০/১২জনের একটি দল গত চারদিন ধরে শাজাহান, শফিকুল ও নজরুলসহ কয়েকটি পরিবারের বাড়ির চারিদিকে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। এ কয়দিন ধরে ওই পরিবারের শিক্ষাথীরাসহ পরিবারের লোক কাঁটাতারের ভিতর দিয়ে যাওয়া আসা করতে শিশুসহ অনেকেরই হাত পা কেটে গেছে কাঁটা তারে । হাটবাজারে যাওয়া আসা বন্ধ হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছিল তারা। খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাঁটা তারের বেড়া অপসারণ করে অবরুদ্ধদেও বাড়ি থেকে বের হওয়ার যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাসহ কাঁটা তারের বেড়া দেয়া সংশ্লিষ্টদের ধরতে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ থানায় ফিরে গেলে তানজিলের নেতৃত্বে ১০/১২জন আবারও শাজাহানদের পরিবারের উপর হামলা করে । পরে পুলিশ পূণরায় আবারও ঘটনাস্থলে গেলে তার ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমি নিজে গিয়ে কাঁটা তারের বেড়া খুটি অপসারণ করে তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা তানজিলসহ অন্যান্যদেরকে ধরতে গেলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, সে যেই হোক, এ ধরণের কর্মকান্ড করলে তার ক্ষমা নাই। অভিযোগ দিলে মামলা নিবেন বলে জানান তিনি।
ধোপাদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান তানজিল বলেন, এসব বিষয়ে আমি জানি না। এটা সমাজের মানুষ জানেন। আপনারা জেনে দেখেন সমাজের ৭৮ জনের মধ্যে তারা আলাদা। সে সমাজে থাকবে না ভাল কথা। তবে সে ওই মাদরাসার যাতায়াতের রা্স্তায় কোন জায়গা দেয় নাই। তাহলে রাস্তা দিয়ে সে বের হবে কেন ?। এটা সমাজের লোকজনের কথা।
ভূক্তভোগী শাজাহান জানান, আমি এখানে জায়গা কিনেছি ১৪ শতক। আমি রাস্তার জন্য ২ফুট জায়গা ছেড়ে দিছি। রাস্তার সাথে আমার অনেক গাছগাছালি ছিল সেগুলো কেটে দিয়ে রাস্তায় জায়গা দিয়েছি। অথচ তারা জোর করেই বলে আমরা জায়গা দেইনি। মুল কথা হলো আমরা কয়েকঘর তাদেও সমাজে থাকবো না এ জন্য তারা আমাদেরকে ঘরে করে রাখতে চায়।
অপর ভুক্তভো্গী শফিকুল বলেন,আজ চারদিন ধরে আমরা অবরুদ্ধ ছিলাম। আজ পুলিশ এসে কাঁটা তারের বেড়া ও সিমেন্টের খঁুটি ভেঙ্গে দিয়েছে। এখন আমরা যাতায়াত করতে পারবো। তবে পুলিশ যাওয়ার পর পরই তারা আমাদের উপর আবারও হামলা করে। পরে আবার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, আমরা শংকায় রয়েছি। তারা যে কোন সময় আমাদের উপর হামলা করতে পারে।