ঢাকা ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সরকার জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করেছে লুটেরাদের স্বার্থেই -এবি পার্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪ ১৭ বার পঠিত

সারাদেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ও জ্বালানি খাতের সংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)

রোববার সন্ধ্যায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে দলের পক্ষ থেকে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে সরকার বাংলাদেশকে প্রস্তর যুগে ঠেলে দিচ্ছে। কলকারখানাসহ বাসা বাড়ির রান্নার গ্যাসও সরকার এখন সরবরাহ করতে পারছে না। এই সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে। ডলার সংকটের কারণে আগামীতে জ্বালানি আমদানি আরও কঠিন হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যেই ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের রিপোর্টে জ্বালানি খাতের সংকটকেই প্রধান সংকট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে এক হাজার ঘনফুট যা এই অর্থ বছরে দেড় হাজার ঘনফুট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে জ্বালানি আমদানি করতে না পারায় এই সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বেশিরভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাসভিত্তিক হওয়ায় গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ খাত ধ্বসে পড়তে পারে। এ পরিস্থিতিতে আগামী গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের গ্যাস, বিদ্যুৎসহ পুরো জ্বালানি খাত গভীর সংকটে পড়বে বলেও দলের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

সরকারের অসচেতনতা ও নির্বিকার ভাবের নিন্দা জানিয়ে তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ভারত ও মিয়ানমার সরকার যেখানে বঙ্গোপসাগরে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের এর সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা খুবই সন্দেহজনক।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে আমদানি নির্ভর করে তোলা হয়েছে শুধুমাত্র সরকারের কিছু সিন্ডিকেট লুটেরাদের সুবিধার্থে। আমরা মনে করি নিজেদের তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্যই একটি আমদানি নির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। যার কারণেই দেশ আজ এই গভীর সংকটে নিপতিত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন।

এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য-সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও এবি পার্টির সদস্য-সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

সমাপনী বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় না। আর জবাবদিহিতা ছাড়া কোনো সংকট সমাধান সম্ভব নয়। বর্তমান বাংলাদেশের সকল সমস্যা সমাধানে এই অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকার পতন ঘটানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, মহানগর উত্তরের নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, ফেরদৌসী আক্তার অপি, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য-সচিব শীলা আক্তার, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি প্রমুখ।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

সরকার জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করেছে লুটেরাদের স্বার্থেই -এবি পার্টি

আপডেট সময় : ০৭:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

সারাদেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ও জ্বালানি খাতের সংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)

রোববার সন্ধ্যায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে দলের পক্ষ থেকে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে সরকার বাংলাদেশকে প্রস্তর যুগে ঠেলে দিচ্ছে। কলকারখানাসহ বাসা বাড়ির রান্নার গ্যাসও সরকার এখন সরবরাহ করতে পারছে না। এই সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে। ডলার সংকটের কারণে আগামীতে জ্বালানি আমদানি আরও কঠিন হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যেই ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের রিপোর্টে জ্বালানি খাতের সংকটকেই প্রধান সংকট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে এক হাজার ঘনফুট যা এই অর্থ বছরে দেড় হাজার ঘনফুট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে জ্বালানি আমদানি করতে না পারায় এই সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বেশিরভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাসভিত্তিক হওয়ায় গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ খাত ধ্বসে পড়তে পারে। এ পরিস্থিতিতে আগামী গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের গ্যাস, বিদ্যুৎসহ পুরো জ্বালানি খাত গভীর সংকটে পড়বে বলেও দলের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

সরকারের অসচেতনতা ও নির্বিকার ভাবের নিন্দা জানিয়ে তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ভারত ও মিয়ানমার সরকার যেখানে বঙ্গোপসাগরে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের এর সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা খুবই সন্দেহজনক।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে আমদানি নির্ভর করে তোলা হয়েছে শুধুমাত্র সরকারের কিছু সিন্ডিকেট লুটেরাদের সুবিধার্থে। আমরা মনে করি নিজেদের তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্যই একটি আমদানি নির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। যার কারণেই দেশ আজ এই গভীর সংকটে নিপতিত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন।

এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য-সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও এবি পার্টির সদস্য-সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

সমাপনী বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় না। আর জবাবদিহিতা ছাড়া কোনো সংকট সমাধান সম্ভব নয়। বর্তমান বাংলাদেশের সকল সমস্যা সমাধানে এই অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকার পতন ঘটানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, মহানগর উত্তরের নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, ফেরদৌসী আক্তার অপি, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য-সচিব শীলা আক্তার, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি প্রমুখ।

Facebook Comments Box