ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ Logo সৌদিতে ফ্যাশন শো নিয়ে ইসলামী পণ্ডিতদের ক্ষোভের যত কারণ Logo প্রতারণার অভিযোগে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে আমেরিকার আদালতে মামলা Logo ট্রাইব্যুনালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক কর্তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হলো Logo ভাঙ্গুড়া প্রেস ক্লাবের অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান Logo মৌলভীবাজার পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক মহিম গ্রেপ্তার Logo পাবনার আমিনপুরে ইজিবাইক-মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীসহ নিহত ২ Logo সেনাকুঞ্জে যাবেন খালেদা জিয়া Logo সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ সিওয়াইবির কমিটি গঠন Logo সৈয়দপুর বাসটার্মিনালে বেহাল অবস্থা, যাত্রীসাধারনের দুর্ভোগ

সঞ্চয়পত্রের অর্থ আত্মসাত, পোস্টমাস্টার বরখাস্ত

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪ ১৮ বার পঠিত

ছবি সংগৃহিত

জালিয়াতির অভিযোগে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা ডাকঘরের পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত রোববার কেন্দ্রীয় সার্কেল ঢাকা, পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওই আদেশে পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার জায়গায় মধুভূশন সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শাহেদুন্নাহার ২০২৩ সালের নভেম্বরে কেন্দুয়া উপজেলা ডাকঘরে পোস্টমাস্টার হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি নেত্রকোনা জেলা ডাকঘরের পোস্টমাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন।

পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহার সঞ্চয়পত্রের ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কুপন জালিয়াতিমূলকভাবে এবং বাতিল মুনাফা কুপনে ফ্লুইড ব্যবহার করে তা পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত করেন। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি ও সরকারি ডকুমেন্টস ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে ছিঁড়ে ফেলেন। এমনকি ঘটনার তদন্তকালে তদন্ত টিমের কাছে লিখিত বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি সুষ্ঠু তদন্তকাজে অসহযোগিতা ও ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন। অসদাচরণ ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শাহেদুন্নাহার  নেত্রকোনা থেকে বদলি হয়ে কেন্দুয়া উপজেলা ডাকঘরে পোস্টমাস্টার পদে গত নভেম্বর মাসে  যোগদান করেন। তবে বদলি হওয়ায় সময় জেলা ডাকঘর  থেকে এক নারীর পুরোনো সঞ্চয়পত্রের কুপন সঙ্গে নিয়ে যান। যে সঞ্চয়পত্রের টাকা ২০১৭ সালেই ওই নারী তুলে নিয়েছেন। ওই উত্তোলিত  সঞ্চয়পত্রে  লাল কালি দ্বারা ক্রস চিহ্ন ফ্লুইড দিয়ে মুছে ফেলেন শাহেদুন্নাহার। পরে তিনি পুনরায় সেই সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রমাণাদি তিনি ছিঁড়ে ফেলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে কর্তৃপক্ষ ময়মনসিংহ ডাক বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রিপন রায়কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

অপর দুই সদস্য হলেন- ময়মনসিংহ ডাক বিভাগের পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র ধর ও নেত্রকোনার পোস্ট অফিসের পরিদর্শক আবু হেনা মোনাসেফ করিম। তদন্তকালে তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শাহেদুন্নাহার অসদাচরণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে বরখাস্ত হওয়া পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে দায়িত্বপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার মধুভূষন সরকার বলেন, গত ৭ জুলাই সাময়িক বরখাস্তের আদেশের পত্র জারি হলে ৮ জুলাই তাকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

সঞ্চয়পত্রের অর্থ আত্মসাত, পোস্টমাস্টার বরখাস্ত

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

জালিয়াতির অভিযোগে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা ডাকঘরের পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত রোববার কেন্দ্রীয় সার্কেল ঢাকা, পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওই আদেশে পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার জায়গায় মধুভূশন সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শাহেদুন্নাহার ২০২৩ সালের নভেম্বরে কেন্দুয়া উপজেলা ডাকঘরে পোস্টমাস্টার হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি নেত্রকোনা জেলা ডাকঘরের পোস্টমাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন।

পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহার সঞ্চয়পত্রের ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কুপন জালিয়াতিমূলকভাবে এবং বাতিল মুনাফা কুপনে ফ্লুইড ব্যবহার করে তা পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত করেন। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি ও সরকারি ডকুমেন্টস ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে ছিঁড়ে ফেলেন। এমনকি ঘটনার তদন্তকালে তদন্ত টিমের কাছে লিখিত বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি সুষ্ঠু তদন্তকাজে অসহযোগিতা ও ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন। অসদাচরণ ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শাহেদুন্নাহার  নেত্রকোনা থেকে বদলি হয়ে কেন্দুয়া উপজেলা ডাকঘরে পোস্টমাস্টার পদে গত নভেম্বর মাসে  যোগদান করেন। তবে বদলি হওয়ায় সময় জেলা ডাকঘর  থেকে এক নারীর পুরোনো সঞ্চয়পত্রের কুপন সঙ্গে নিয়ে যান। যে সঞ্চয়পত্রের টাকা ২০১৭ সালেই ওই নারী তুলে নিয়েছেন। ওই উত্তোলিত  সঞ্চয়পত্রে  লাল কালি দ্বারা ক্রস চিহ্ন ফ্লুইড দিয়ে মুছে ফেলেন শাহেদুন্নাহার। পরে তিনি পুনরায় সেই সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রমাণাদি তিনি ছিঁড়ে ফেলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে কর্তৃপক্ষ ময়মনসিংহ ডাক বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রিপন রায়কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

অপর দুই সদস্য হলেন- ময়মনসিংহ ডাক বিভাগের পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র ধর ও নেত্রকোনার পোস্ট অফিসের পরিদর্শক আবু হেনা মোনাসেফ করিম। তদন্তকালে তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শাহেদুন্নাহার অসদাচরণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে বরখাস্ত হওয়া পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে দায়িত্বপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার মধুভূষন সরকার বলেন, গত ৭ জুলাই সাময়িক বরখাস্তের আদেশের পত্র জারি হলে ৮ জুলাই তাকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Facebook Comments Box