ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

সংসদ বিলোপ ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধান দাবি; নির্বাচন বর্জন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩ ৫০ বার পঠিত

বর্তমান সংসদ বিলোপ এবং সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধান ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে, নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে বাংলাদেশের নতুন নিবন্ধিত দল ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। কমিশনকে দ্বাদশ নির্বাচনে না যাওয়া প্রসঙ্গে অবগত করতে, শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক চিঠিতে এ কথা বলেছে দলটি।

ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ চিঠিতে জানায়, “জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার রুদ্ধ করে, রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে, সংসদ বহাল রেখে এবং সশস্ত্র-দলীয় গুন্ডা ব্যবহার করে নির্বাচনের নামে একপক্ষীয় বানোয়াট নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন নয়। এটি গণতন্ত্র হত্যা এবং জনগণকে অস্বীকার করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র কুক্ষিগতকরণ।”

ইনসানিয়াত বিপ্লব আরো বলেছে, “প্রতিপক্ষকে মাঠে নামতে না দিয়ে, একপক্ষীয় খেলা যেমন খেলা নয়, ধোকা ও দস্যুতা; তেমনি গণতান্ত্রিক জনগণকে বাদ দিয়ে কিছু কেনা-বেচার দালাল দিয়ে একপক্ষীয় নির্বাচন কোনো নির্বাচন নয়, রাষ্ট্র বিধ্বংসী প্রহসন।”

চিঠিতে বলা হয়, “স্বাধীন ভোটাধিকার ছাড়া নাগরিকত্ব ও গণতন্ত্র এবং রিপাবলিক অস্বীকার হয়, রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস হয়, মিথ্যা ও অবৈধতা এবং দুর্নীতি ও স্বৈরতা দস্যুতা রাষ্ট্রের ভিত্তি হয়ে যায়, জনগণের মালিকানা ও স্বাধীনতা ধ্বংস হয়ে যায়।”

দলটির প্রধান ইমাম হায়াত বলেন, “সংসদ বহাল রেখে রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির নির্বাচন করে জনগণের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার হরণ করে রাষ্ট্র কুক্ষিগত করে রাখা রাজনীতি নয়, চরম অপরাজনীতি।”

তিনি বলেন, “বলপূর্বক একচেটিয়া ভুয়া নির্বাচন, তথা কোনো জালিয়াতির সংসদ ও সরকার; জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং অবৈধ লোকদের প্রণীত সকল আইন অবৈধ হয়ে থাকবে। চলমান সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন প্রহসন, ভোট ডাকাতির ব্যবস্থা মাত্র। ক্ষমতাবলে সংসদ সদস্যরা, প্রশাসন ও পুলিশ, সবাইকে ব্যবহার করে, সশস্ত্র দলীয় গুন্ডা দিয়ে সন্ত্রাস করে, ভোটকেন্দ্র জবর দখল করে। এমন ভুয়া নির্বাচন আমরা বিগত নির্বাচনে দেখেছি, এবারও তাই হচ্ছে।”

ইমাম হায়াত বলেন, “আমরা বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম এবং আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন দল ও দলীয় সাংসদ প্রশাসন, পুলিশ এবং দলীয় সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী দিয়ে কিভাবে ত্রাস ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে।”

“জীবনের নিরাপত্তা ছাড়া সপরিবারে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব নয়। আর বুথ থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন সেনাবাহিনীর সক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ছাড়া নিরাপদ নির্বাচন ও স্বাধীন ভোটাধিকার এখন অসম্ভব;” উল্লেখ করেন ইমাম হায়াত।

তিনি বলেন, “সংসদ বিলোপ ও সেনাবাহিনীর সরাসরি দায়িত্বে নির্বাচন ছাড়া কোনো গণতন্ত্র হত্যার নির্বাচন ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে রাষ্ট্র কুক্ষিগত করে রাখার ভুয়া নির্বাচনে শরিক হয়ে দেশ ও জনগণের সঙ্গে ইনসানিয়াত বিপ্লব বেঈমানি বিশ্বাসঘাতকতা করবে না।”

এর আগে, চলমান পরিস্থিতিতে ইনসানিয়াত বিপ্লব নিবন্ধিত দল হিসেবে জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার, সংঘাতমুক্ত, জালিয়াতিমুক্ত, নিরাপদ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঁচটি দাবি পেশ করেছিলো।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

সংসদ বিলোপ ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধান দাবি; নির্বাচন বর্জন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১১:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

বর্তমান সংসদ বিলোপ এবং সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধান ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে, নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে বাংলাদেশের নতুন নিবন্ধিত দল ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। কমিশনকে দ্বাদশ নির্বাচনে না যাওয়া প্রসঙ্গে অবগত করতে, শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক চিঠিতে এ কথা বলেছে দলটি।

ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ চিঠিতে জানায়, “জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার রুদ্ধ করে, রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে, সংসদ বহাল রেখে এবং সশস্ত্র-দলীয় গুন্ডা ব্যবহার করে নির্বাচনের নামে একপক্ষীয় বানোয়াট নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন নয়। এটি গণতন্ত্র হত্যা এবং জনগণকে অস্বীকার করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র কুক্ষিগতকরণ।”

ইনসানিয়াত বিপ্লব আরো বলেছে, “প্রতিপক্ষকে মাঠে নামতে না দিয়ে, একপক্ষীয় খেলা যেমন খেলা নয়, ধোকা ও দস্যুতা; তেমনি গণতান্ত্রিক জনগণকে বাদ দিয়ে কিছু কেনা-বেচার দালাল দিয়ে একপক্ষীয় নির্বাচন কোনো নির্বাচন নয়, রাষ্ট্র বিধ্বংসী প্রহসন।”

চিঠিতে বলা হয়, “স্বাধীন ভোটাধিকার ছাড়া নাগরিকত্ব ও গণতন্ত্র এবং রিপাবলিক অস্বীকার হয়, রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস হয়, মিথ্যা ও অবৈধতা এবং দুর্নীতি ও স্বৈরতা দস্যুতা রাষ্ট্রের ভিত্তি হয়ে যায়, জনগণের মালিকানা ও স্বাধীনতা ধ্বংস হয়ে যায়।”

দলটির প্রধান ইমাম হায়াত বলেন, “সংসদ বহাল রেখে রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির নির্বাচন করে জনগণের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার হরণ করে রাষ্ট্র কুক্ষিগত করে রাখা রাজনীতি নয়, চরম অপরাজনীতি।”

তিনি বলেন, “বলপূর্বক একচেটিয়া ভুয়া নির্বাচন, তথা কোনো জালিয়াতির সংসদ ও সরকার; জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং অবৈধ লোকদের প্রণীত সকল আইন অবৈধ হয়ে থাকবে। চলমান সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন প্রহসন, ভোট ডাকাতির ব্যবস্থা মাত্র। ক্ষমতাবলে সংসদ সদস্যরা, প্রশাসন ও পুলিশ, সবাইকে ব্যবহার করে, সশস্ত্র দলীয় গুন্ডা দিয়ে সন্ত্রাস করে, ভোটকেন্দ্র জবর দখল করে। এমন ভুয়া নির্বাচন আমরা বিগত নির্বাচনে দেখেছি, এবারও তাই হচ্ছে।”

ইমাম হায়াত বলেন, “আমরা বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম এবং আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন দল ও দলীয় সাংসদ প্রশাসন, পুলিশ এবং দলীয় সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী দিয়ে কিভাবে ত্রাস ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে।”

“জীবনের নিরাপত্তা ছাড়া সপরিবারে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব নয়। আর বুথ থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন সেনাবাহিনীর সক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ছাড়া নিরাপদ নির্বাচন ও স্বাধীন ভোটাধিকার এখন অসম্ভব;” উল্লেখ করেন ইমাম হায়াত।

তিনি বলেন, “সংসদ বিলোপ ও সেনাবাহিনীর সরাসরি দায়িত্বে নির্বাচন ছাড়া কোনো গণতন্ত্র হত্যার নির্বাচন ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে রাষ্ট্র কুক্ষিগত করে রাখার ভুয়া নির্বাচনে শরিক হয়ে দেশ ও জনগণের সঙ্গে ইনসানিয়াত বিপ্লব বেঈমানি বিশ্বাসঘাতকতা করবে না।”

এর আগে, চলমান পরিস্থিতিতে ইনসানিয়াত বিপ্লব নিবন্ধিত দল হিসেবে জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার, সংঘাতমুক্ত, জালিয়াতিমুক্ত, নিরাপদ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঁচটি দাবি পেশ করেছিলো।
Facebook Comments Box