ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে ছেলের ৪৪ বছর, বাবার ১৪ বছর কারাদণ্ড

শেরপুর প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩ ৪২ বার পঠিত

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীতে এক কন্যাশিশুকে (১২) অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে বাবু মিয়া (২৯) নামে এক যুবককে ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।

এর মধ্যে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) ও অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়। তবে উভয় সাজা একই সাথে চলবে। একইসাথে অপহরণে সহায়তার দায়ে বাবুর পিতা মোফাজ্জল হক (৫৪) ও তার আত্মীয় মোছা. লুৎফা বেগম (৩৪) কে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত বাবু নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের মো. মোফাজ্জল হকের ছেলে।

বুধবার (১ই নভেম্বর) বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন নাহার রুমী এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল হক তার ছেলের জন্য পার্শ্ববর্তী গেরাপচা গ্রামের ওই শিশুকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার মা-বাবা তা প্রত্যাখান করে।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৯ সালের ৫ মে  ১২ বছরের ওই শিশুকে তার বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে মোফাজ্জল হক ও লুৎফার সহযোগিতায় বাবু চানাচুরে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে এক বাসায় আটকে রাখে। এরপর সেখানে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে বাবু। এদিকে শিশুর পিতা বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ একই বছরের ২৯ মে অপহৃতা শিশুকে উদ্ধার করে। তদন্ত শেষে ওই ৩ জনের বিরুদ্ধেই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জুহুরুল হক।

বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ধর্ষক বাবু মিয়া, তার পিতা মো. মোফাজ্জল হক ও মোছা. লুৎফা বেগমকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন।

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ২রা নভেম্বর ২০২৩

 

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

শেরপুরে ছেলের ৪৪ বছর, বাবার ১৪ বছর কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৩:১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীতে এক কন্যাশিশুকে (১২) অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে বাবু মিয়া (২৯) নামে এক যুবককে ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।

এর মধ্যে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) ও অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়। তবে উভয় সাজা একই সাথে চলবে। একইসাথে অপহরণে সহায়তার দায়ে বাবুর পিতা মোফাজ্জল হক (৫৪) ও তার আত্মীয় মোছা. লুৎফা বেগম (৩৪) কে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত বাবু নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের মো. মোফাজ্জল হকের ছেলে।

বুধবার (১ই নভেম্বর) বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন নাহার রুমী এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল হক তার ছেলের জন্য পার্শ্ববর্তী গেরাপচা গ্রামের ওই শিশুকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার মা-বাবা তা প্রত্যাখান করে।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৯ সালের ৫ মে  ১২ বছরের ওই শিশুকে তার বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে মোফাজ্জল হক ও লুৎফার সহযোগিতায় বাবু চানাচুরে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে এক বাসায় আটকে রাখে। এরপর সেখানে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে বাবু। এদিকে শিশুর পিতা বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ একই বছরের ২৯ মে অপহৃতা শিশুকে উদ্ধার করে। তদন্ত শেষে ওই ৩ জনের বিরুদ্ধেই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জুহুরুল হক।

বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ধর্ষক বাবু মিয়া, তার পিতা মো. মোফাজ্জল হক ও মোছা. লুৎফা বেগমকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন।

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ২রা নভেম্বর ২০২৩

 

Facebook Comments Box