ঢাকা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুক্রে রয়েছে ভিনগ্রহী

সারাবেলা ডেক্স
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩ ২৫ বার পঠিত

ভিনগ্ৰহী

ভিনগ্রহী তথা এলিয়েনদের (Alien) প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। বছরের পর বছর ধরে এলিয়েনদের উপস্থিতির প্রসঙ্গে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে, এবার সৌরজগতে এলিয়েনদের উপস্থিতির বিষয়ে শুক্রবার (২৫ আগষ্ট ) চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন NASA (National Aeronautics and Space Administration)-র বিজ্ঞানী ডক্টর মিশেল থ্যালার (Dr. Michelle Thaller)। তিনি দাবি করেছেন যে, শুক্র গ্রহে ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্বের ইঙ্গিত রয়েছে।

অর্থাৎ, তার দাবি অনুযায়ী, শুক্র গ্রহে এলিয়েনদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। উল্লেখ্য যে, শুক্র গ্রহের তাপমাত্রা প্রায় ৪৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। পাশাপাশি সেখানকার পরিবেশও খুব আম্লিক। এলিয়েন সম্পর্কে এই নতুন তত্ত্বটি ডাঃ মিশেল থ্যালার প্রস্তাব করেছেন।

তিনি আমেরিকার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষক বিজ্ঞানী। তাঁর মতে, সেখানকার কার্বন-ডাই-অক্সাইডে পূর্ণ বায়ুমণ্ডলে ইতিমধ্যেই “জীবনের সম্ভাব্য লক্ষণ” লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি তাঁরা এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত। এই প্রসঙ্গে দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডঃ থ্যালার বলেন, “আমরা শুক্র গ্রহে প্রাণের সম্ভাব্য লক্ষণ দেখতে পাই।

আমি কখনোই শুক্র গ্রহে এমন আশা করিনি। কিন্তু আমরা শুক্রের বায়ুমণ্ডলে এমন কিছু দেখতে পাই যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা তৈরি বলে মনে হয় (ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি যেকোনো গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়)।” শুক্র গ্রহে মানুষ টিকে থাকতে পারে না: মূলত, পৃথিবীর মতো অনুরূপ গঠন এবং আকারের কারণে, শুক্রকে “পৃথিবীর যমজ” বলা হয়। এদিকে, কলেজ অফ লন্ডন ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ডমিনিক পাপিনো, জানিয়েছেন যে, ডঃ থ্যালারের ধারণাগুলি বাস্তবসম্মতভাবে কল্পনা করা কঠিন।

মেলঅনলাইনের সাথে কথা বলার সময় অধ্যাপক পাপিনো বলেন, “জীবন-সম্পর্কিত রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য তরল অপরিহার্য। অতএব, বহির্জাগতিক জীবন খুঁজে পেতে, আমাদের তরল বা পানি খুঁজে বের করতে হবে এবং বহির্জাগতিক জীবাশ্ম খুঁজে পেতে আমাদের পাললিক শিলাগুলি সন্ধান করতে হবে. যা অতীতে তরল পদার্থের সাথে যুক্ত ছিল।

” শুক্র গ্রহ অত্যন্ত গরম: উল্লেখ্য যে, শুক্র গ্রহে জীবের বেঁচে থাকা কার্যত অসম্ভব। কারণ সেখানকার পৃষ্ঠের তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। তবে, অতীতে সেখানে পানি থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে। এমনকি, সেখানে জীবাশ্মের রেকর্ডও পাওয়া গেছে। কিন্তু সমস্যা হল সেখানকার পুরো পৃষ্ঠটাই গত কয়েক মিলিয়ন বছরে আগ্নেয়গিরি দ্বারা আবৃত ছিল। আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে

সারাবেলার সংবাদ/ এম এএইচ/ ২৬ আগস্ট ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

শুক্রে রয়েছে ভিনগ্রহী

আপডেট সময় : ০৩:১৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

ভিনগ্রহী তথা এলিয়েনদের (Alien) প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। বছরের পর বছর ধরে এলিয়েনদের উপস্থিতির প্রসঙ্গে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে, এবার সৌরজগতে এলিয়েনদের উপস্থিতির বিষয়ে শুক্রবার (২৫ আগষ্ট ) চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন NASA (National Aeronautics and Space Administration)-র বিজ্ঞানী ডক্টর মিশেল থ্যালার (Dr. Michelle Thaller)। তিনি দাবি করেছেন যে, শুক্র গ্রহে ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্বের ইঙ্গিত রয়েছে।

অর্থাৎ, তার দাবি অনুযায়ী, শুক্র গ্রহে এলিয়েনদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। উল্লেখ্য যে, শুক্র গ্রহের তাপমাত্রা প্রায় ৪৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। পাশাপাশি সেখানকার পরিবেশও খুব আম্লিক। এলিয়েন সম্পর্কে এই নতুন তত্ত্বটি ডাঃ মিশেল থ্যালার প্রস্তাব করেছেন।

তিনি আমেরিকার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষক বিজ্ঞানী। তাঁর মতে, সেখানকার কার্বন-ডাই-অক্সাইডে পূর্ণ বায়ুমণ্ডলে ইতিমধ্যেই “জীবনের সম্ভাব্য লক্ষণ” লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি তাঁরা এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত। এই প্রসঙ্গে দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডঃ থ্যালার বলেন, “আমরা শুক্র গ্রহে প্রাণের সম্ভাব্য লক্ষণ দেখতে পাই।

আমি কখনোই শুক্র গ্রহে এমন আশা করিনি। কিন্তু আমরা শুক্রের বায়ুমণ্ডলে এমন কিছু দেখতে পাই যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা তৈরি বলে মনে হয় (ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি যেকোনো গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়)।” শুক্র গ্রহে মানুষ টিকে থাকতে পারে না: মূলত, পৃথিবীর মতো অনুরূপ গঠন এবং আকারের কারণে, শুক্রকে “পৃথিবীর যমজ” বলা হয়। এদিকে, কলেজ অফ লন্ডন ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ডমিনিক পাপিনো, জানিয়েছেন যে, ডঃ থ্যালারের ধারণাগুলি বাস্তবসম্মতভাবে কল্পনা করা কঠিন।

মেলঅনলাইনের সাথে কথা বলার সময় অধ্যাপক পাপিনো বলেন, “জীবন-সম্পর্কিত রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য তরল অপরিহার্য। অতএব, বহির্জাগতিক জীবন খুঁজে পেতে, আমাদের তরল বা পানি খুঁজে বের করতে হবে এবং বহির্জাগতিক জীবাশ্ম খুঁজে পেতে আমাদের পাললিক শিলাগুলি সন্ধান করতে হবে. যা অতীতে তরল পদার্থের সাথে যুক্ত ছিল।

” শুক্র গ্রহ অত্যন্ত গরম: উল্লেখ্য যে, শুক্র গ্রহে জীবের বেঁচে থাকা কার্যত অসম্ভব। কারণ সেখানকার পৃষ্ঠের তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। তবে, অতীতে সেখানে পানি থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে। এমনকি, সেখানে জীবাশ্মের রেকর্ডও পাওয়া গেছে। কিন্তু সমস্যা হল সেখানকার পুরো পৃষ্ঠটাই গত কয়েক মিলিয়ন বছরে আগ্নেয়গিরি দ্বারা আবৃত ছিল। আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে

সারাবেলার সংবাদ/ এম এএইচ/ ২৬ আগস্ট ২০২৩

Facebook Comments Box