ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তির বার্তায় বড়দিন উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৮ বার পঠিত

বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় বড়দিন উদযাপন করেছে যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন স্মরণে

যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন স্মরণে, বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় ঐতিহ্যগত উৎসবের মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন করেছে। বড়দিন উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পুনর্জন্ম, নব সূচনা, ক্ষমা ও শান্তির চেতনা।

বড়দিনে রঙিন আলোতে সজ্জিত ক্রিসমাস ট্রি ও ক্রিসমাস ক্যারল এবং স্তোত্র সঙ্গীতের আনন্দময় আবহে গির্জাগুলোতে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ প্রার্থনা।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন ডি ক্রুজ, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি নির্মল রোজারিও, খ্রিস্টান কমিউনিটির প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

যীশু খ্রীষ্ট ছিলেন শান্তি ও সত্যসন্ধানী

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, “ধর্ম উপলব্ধির বিষয়, তর্কের বিষয় নয়। তাই দেশ ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে কাজ করতে হবে।”

বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, এদেশে দীর্ঘদিন ধরে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।

বিশ্বের খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান সাহাবুদ্দিন। বলেন, “যীশু খ্রীষ্ট ছিলেন সত্যের সন্ধানী ও আলোর পথপ্রদর্শক।”

তিনি বলেন, যীশু খ্রীষ্ট বিপথগামী মানুষকে সত্য ও ন্যায় বিচারের পথ দেখিয়েছিলেন এবং বিশ্বকে একটি শান্তিপূর্ণ স্থানে পরিণত করার জন্য কাজ করেছিলেন।

সাহাবুদ্দিন বলেন, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং বর্তমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশু খ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

 

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

শান্তির বার্তায় বড়দিন উদযাপন

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন স্মরণে, বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় ঐতিহ্যগত উৎসবের মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন করেছে। বড়দিন উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পুনর্জন্ম, নব সূচনা, ক্ষমা ও শান্তির চেতনা।

বড়দিনে রঙিন আলোতে সজ্জিত ক্রিসমাস ট্রি ও ক্রিসমাস ক্যারল এবং স্তোত্র সঙ্গীতের আনন্দময় আবহে গির্জাগুলোতে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ প্রার্থনা।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন ডি ক্রুজ, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি নির্মল রোজারিও, খ্রিস্টান কমিউনিটির প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

যীশু খ্রীষ্ট ছিলেন শান্তি ও সত্যসন্ধানী

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, “ধর্ম উপলব্ধির বিষয়, তর্কের বিষয় নয়। তাই দেশ ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে কাজ করতে হবে।”

বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, এদেশে দীর্ঘদিন ধরে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।

বিশ্বের খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান সাহাবুদ্দিন। বলেন, “যীশু খ্রীষ্ট ছিলেন সত্যের সন্ধানী ও আলোর পথপ্রদর্শক।”

তিনি বলেন, যীশু খ্রীষ্ট বিপথগামী মানুষকে সত্য ও ন্যায় বিচারের পথ দেখিয়েছিলেন এবং বিশ্বকে একটি শান্তিপূর্ণ স্থানে পরিণত করার জন্য কাজ করেছিলেন।

সাহাবুদ্দিন বলেন, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং বর্তমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশু খ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

 

Facebook Comments Box