ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দাম নিয়ন্ত্রণে ট্রেনে সবজি পরিবহন Logo আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি কর্নেল অলির Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ

রোববার যা ঘটেছে

সারাবেলা সংবাদ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ১৪১ বার পঠিত

রাজধানীতে বিজিবির টহল

বিএনপি’র ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল রোববার শেষ হয়েছে। এরপর দলের মহাসচিবসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা ও সংঘর্ষের অভিযোগ এনে আগামী মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার- সারাদেশে সর্বাত্মক তিনদিনের অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

এদিকে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলার মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রবিবার রাতে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আাদালত।

মির্জা আলমগীরের আইনজীবীদের একজন ওমর ফারক ফারুকী বিবিসির কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, দিনের শুরুতে সকালে নিজ বাসভবন থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়। পরে নাশকতার দু’টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এছাড়া সারা দেশে বিএনপি’র কয়েক শ’ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটি।

অন্য দিকে, শনি ও রোববারের ‘হামলা’ ও ‘নির্দেশদাতাদের’ বিচারের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

পাশাপাশি বিএনপি’র বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বাসায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বাসায় পুলিশ অভিযান চালালেও উল্লেখিত নেতারা বাসায় ছিলেন না।

হরতালে যা দেখা গেল:
রোববার সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় যানবাহন চলাচল ছিলো একেবারেই কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান-চলাচল কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে।

যদিও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় সেটা কম ছিলো বলেই সরেজমিনে দেখতে পেয়েছেন বিবিসি’র সংবাদদাতারা। অধিকাংশ দোকানপাট, বিপণিবিতান বন্ধ দেখা গেছে। যেসব দোকান খুলেছে, সেগুলোতে ক্রেতা সেভাবে দেখা যায়নি।

প্রায় একই রকম চিত্র ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও দেখা যায়। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকার সঙ্গে জেলা শহরগুলোর সড়ক যোগাযোগ এক রকম বিচ্ছিন্নই দেখা গেছে।

তিন জনের মৃত্যু :
হরতাল চলাকালে বিএনপি-আওয়ামী লীগের নেতাসহ মোট তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সকালে মিছিল করে ফেরার সময় ঢাকায় আবদুর রশিদ নামে ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের কাছে একটি বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় ধাওয়ার মুখে পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে ওঠেন তিনি। এরপর সেই ছাদ থেকে আরেক ভবনের ছাদে লাফিয়ে পার হওয়ার সময় নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য আবদুর রশিদের মরদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

এর আগে, গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর ডেমরায় একটি বাসে আগুন দেওয়া হলে চালকের সহকারীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, লালমনিরহাট সদরে বিএনপি- আওয়ামীলীগ সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর আলম নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় এক নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে বিবিসি-কে নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সকালে গুলশান-২ এলাকার বাসভবন থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল প্রথমে তাকে আটক করে নিয়ে যায় বলে জানান তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

তিনি বলেন, সকালে সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ-ই প্রায় একশো পুলিশের একটি দল পুরো বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে। এরপর কয়েকেজন বাড়ির ভিতরে ঢুকে সবার সাথে কথা বলেন এবং ভবনের সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক নিয়ে চলে যান।

এর কিছুক্ষণ পরে তারা আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যান।

মিস্টার ফখরুল “প্রচণ্ড অসুস্থ” জানিয়ে এ অবস্থায় তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাহাত আরা বেগম। তাকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রাজধানীর মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে নাশকতার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ রাত আটটার দিকে মির্জা আলমগীরকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন।

অন্যদিকে তার আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করেন, আদালত যা নাকচ করে দেয়।

বিএনপি মহাসচিবকে আটকের পর অন্যান্য বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।

দুপুরে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সকালে বিএনটি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, বিএনপি’র আরেকজন কেন্দ্রীয় নেতা মীর্জা আব্বাসের বাসভবনও পুলিশ ঘিরে রেখেছে বলে বিএনপি’র মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

ভয় পাইয়ে দিতেই বিএনপি নেতাদের আটক করা হচ্ছে:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি।

বিবৃতিতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম ৭৫ বছর বয়স্ক এবং গুরুতর অসুস্থ । তার মতো একজন নেতাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতেই বিএনপি নেতাদের আটক করা হচ্ছে।

“মামলা শুরু হয়েছে, মামলা অনেকেই দেবে”:
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

মির্জা ফখরুলকে আটকের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “তারা মিটিং করছিলো, তারা যখন মিটিংয়ে বসছেন, তখনই ঘটনাগুলো ঘটছে। তাহলে এ দায় কি তারা এড়াতে পারেন?”

এসব ঘটনায় অনেকগুলো মামলা হতে পারে।

তিনি বলেন, ”মামলা শুরু হয়েছে। অনেক মামলা দেয়া হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারাই মামলা দেবে। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে আইডেন্টিফাই করে মামলা দেবো।”

তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচী:
বিএনপির ডাকা হরতালের সময় মহাসচিবসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা ও সংঘর্ষের অভিযোগ এনে আগামী মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার- সারাদেশে সর্বাত্মক তিনদিনের অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

রোবার সন্ধ্যায় একটি জুম ব্রিফিংয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ”রেলপথ, রাজপথ ও নৌপথ- দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ পালন করা হবে।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আলোচনার পথ বিএনপি রুদ্ধ করেছে। সংলাপের কোন প্রয়োজন নেই। আগ বাড়িয়ে সংলাপের চিন্তা করছি না।”

রোববার বিকেলে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।

এসময় ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, তার ভাষায়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে বিএনপি ‘সন্ত্রাসী ধারার রাজনীতি’ বাস্তবায়নের ‘গোপন প্রস্তুতি’ নিচ্ছিলো এবং পুরনো চেহারায় ফিরে আসার জন্য সময় নিচ্ছিলো।

তিনি দাবি করেন, ”হামলা, ভাংচুর, সংঘর্ষের মাধ্যমে বিএনপি “রাষ্ট্রব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার দু:সাহস দেখিয়েছে।”

তার দল কারো সঙ্গে সংঘাত চায় না জানিয়ে তিনি আরো বলেন “ক্ষমতার পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। দেশে সময় মতোই নির্বাচন হবে। যদি কেউ মনে করে সহিংসতা করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন, সেটা হতে দেবো না।”

বিএনপি কার্যালয়ে তালা, সামনে পুলিশ :
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সারা দিনে সেখানে পুলিশ ও কিছু গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া আর তেমন কারো উপস্থিতি চোখে পড়েনি বিবিসির।

বিএনপি কার্যালয়ে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। এছাড়া ভবনের সামনের অংশে ‘ক্রাইস সিন’ লেখা হলুদ টেপ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির সদস্যরা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসেন।

এরপর তাদের বেশ কয়েকজন সদস্য ‘ক্রাইম সিন’ এর ভেতরে ও বাইরের অংশে ঘুরে ঘুরে সড়ক ও ফুটপাত থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন।

মূলত: গতকাল সমাবেশে ঘটে যাওয়া ঘটনা তদন্তে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

হরতাল চলাকালে রাজধানীসহ সারা দেশেই বেশ সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। এছাড়া ঢাকায় বিজিবিকে টহল দিতে দেখা গেছে।

রোববার সকালে ঢাকায় প্রায় প্রতিটি মোড়েই পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

সারাদিনই পুলিশ ছিল সতর্ক

এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও পয়েন্ট মোতায়েন ছিলো বিজিবি।

শনিবার হামলায় পুলিশের এক সদস্য মারা যাওয়ার পর সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি থানার যানবাহনের নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ঢাকায় চারটি বাসে আগুন:
হরতাল চলাকালে রাজধানীর ডেমরা, মোহাম্মদপুর, তাঁতিবাজার ও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট এলাকায় চারটি বাসে আগুন লাগানোর খবর পাওয়া গেছে। তবে বাসগুলোর ভেতরে যাত্রী না থাকায় কেউ হতাহত হননি।

শনিবার শেষ রাতে ডেমরায় প্রথম একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

পরের বাসটিতে আগুন দেয়া হয় রবিবার সকালে। সকাল ৯টার দিকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট এলাকায় বাসটিতে আগুন দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

এরপর সকাল ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরে টাউন হল বাজার এবং প্রায় একই সময়ে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারেও দু’টি বাসে আগুন লাগার খবর আসে।

আর ঢাকার বাইরে মানিকগঞ্জ সদরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি বাসে আগুর দেওয়ার ঘটনা জানা গেছে।

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে আগুন :
আগুনে খুলনা মহানগরীর বৈকালী মোড়ে অবস্থিত বিএনপি’র কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

বেলা ১২টার দিকে একদল লোক কার্যালয়টিতে আগুন দেয় জানিয়ে এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।

এদিকে, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কারা আগুন দিয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।

হরতাল চলাকালে আজ দেশের কোথাও দূর পাল্লার যান চলাচল করতে দেখা যায়নি।

সকালে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে টিকেট কাউন্টারগুলো খোলা দেখা গেলেও দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। যাত্রী না থাকায় বাসা চলছে না বলে জানান টিকেট বিক্রেতারা।

এদিকে, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেটেও দূর পাল্লার বাস চলাচল করেনি।

শহরগুলোর রাস্তায়ও সাধারণ মানুষ এবং যানবাহনে সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে। অধিকাংশ জায়গায় মার্কেট ও শপিংমলও বন্ধ ছিল।

বিএনপি’র হরতালের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সারা দেশেই শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।

অনেক জায়গায় লাঠি-সোটা এবং রড নিয়েও মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে দলটির নেতা কর্মীদের।
বিবিসি

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ২৯ অক্টোবর ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

রোববার যা ঘটেছে

আপডেট সময় : ১২:০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

বিএনপি’র ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল রোববার শেষ হয়েছে। এরপর দলের মহাসচিবসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা ও সংঘর্ষের অভিযোগ এনে আগামী মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার- সারাদেশে সর্বাত্মক তিনদিনের অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

এদিকে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলার মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রবিবার রাতে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আাদালত।

মির্জা আলমগীরের আইনজীবীদের একজন ওমর ফারক ফারুকী বিবিসির কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, দিনের শুরুতে সকালে নিজ বাসভবন থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়। পরে নাশকতার দু’টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এছাড়া সারা দেশে বিএনপি’র কয়েক শ’ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটি।

অন্য দিকে, শনি ও রোববারের ‘হামলা’ ও ‘নির্দেশদাতাদের’ বিচারের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

পাশাপাশি বিএনপি’র বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বাসায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বাসায় পুলিশ অভিযান চালালেও উল্লেখিত নেতারা বাসায় ছিলেন না।

হরতালে যা দেখা গেল:
রোববার সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় যানবাহন চলাচল ছিলো একেবারেই কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান-চলাচল কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে।

যদিও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় সেটা কম ছিলো বলেই সরেজমিনে দেখতে পেয়েছেন বিবিসি’র সংবাদদাতারা। অধিকাংশ দোকানপাট, বিপণিবিতান বন্ধ দেখা গেছে। যেসব দোকান খুলেছে, সেগুলোতে ক্রেতা সেভাবে দেখা যায়নি।

প্রায় একই রকম চিত্র ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও দেখা যায়। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকার সঙ্গে জেলা শহরগুলোর সড়ক যোগাযোগ এক রকম বিচ্ছিন্নই দেখা গেছে।

তিন জনের মৃত্যু :
হরতাল চলাকালে বিএনপি-আওয়ামী লীগের নেতাসহ মোট তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সকালে মিছিল করে ফেরার সময় ঢাকায় আবদুর রশিদ নামে ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের কাছে একটি বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় ধাওয়ার মুখে পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে ওঠেন তিনি। এরপর সেই ছাদ থেকে আরেক ভবনের ছাদে লাফিয়ে পার হওয়ার সময় নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য আবদুর রশিদের মরদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

এর আগে, গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর ডেমরায় একটি বাসে আগুন দেওয়া হলে চালকের সহকারীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, লালমনিরহাট সদরে বিএনপি- আওয়ামীলীগ সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর আলম নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় এক নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে বিবিসি-কে নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সকালে গুলশান-২ এলাকার বাসভবন থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল প্রথমে তাকে আটক করে নিয়ে যায় বলে জানান তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

তিনি বলেন, সকালে সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ-ই প্রায় একশো পুলিশের একটি দল পুরো বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে। এরপর কয়েকেজন বাড়ির ভিতরে ঢুকে সবার সাথে কথা বলেন এবং ভবনের সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক নিয়ে চলে যান।

এর কিছুক্ষণ পরে তারা আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যান।

মিস্টার ফখরুল “প্রচণ্ড অসুস্থ” জানিয়ে এ অবস্থায় তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাহাত আরা বেগম। তাকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রাজধানীর মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে নাশকতার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ রাত আটটার দিকে মির্জা আলমগীরকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন।

অন্যদিকে তার আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করেন, আদালত যা নাকচ করে দেয়।

বিএনপি মহাসচিবকে আটকের পর অন্যান্য বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।

দুপুরে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সকালে বিএনটি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, বিএনপি’র আরেকজন কেন্দ্রীয় নেতা মীর্জা আব্বাসের বাসভবনও পুলিশ ঘিরে রেখেছে বলে বিএনপি’র মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

ভয় পাইয়ে দিতেই বিএনপি নেতাদের আটক করা হচ্ছে:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি।

বিবৃতিতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম ৭৫ বছর বয়স্ক এবং গুরুতর অসুস্থ । তার মতো একজন নেতাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতেই বিএনপি নেতাদের আটক করা হচ্ছে।

“মামলা শুরু হয়েছে, মামলা অনেকেই দেবে”:
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

মির্জা ফখরুলকে আটকের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “তারা মিটিং করছিলো, তারা যখন মিটিংয়ে বসছেন, তখনই ঘটনাগুলো ঘটছে। তাহলে এ দায় কি তারা এড়াতে পারেন?”

এসব ঘটনায় অনেকগুলো মামলা হতে পারে।

তিনি বলেন, ”মামলা শুরু হয়েছে। অনেক মামলা দেয়া হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারাই মামলা দেবে। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে আইডেন্টিফাই করে মামলা দেবো।”

তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচী:
বিএনপির ডাকা হরতালের সময় মহাসচিবসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা ও সংঘর্ষের অভিযোগ এনে আগামী মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার- সারাদেশে সর্বাত্মক তিনদিনের অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

রোবার সন্ধ্যায় একটি জুম ব্রিফিংয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ”রেলপথ, রাজপথ ও নৌপথ- দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ পালন করা হবে।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আলোচনার পথ বিএনপি রুদ্ধ করেছে। সংলাপের কোন প্রয়োজন নেই। আগ বাড়িয়ে সংলাপের চিন্তা করছি না।”

রোববার বিকেলে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।

এসময় ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, তার ভাষায়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে বিএনপি ‘সন্ত্রাসী ধারার রাজনীতি’ বাস্তবায়নের ‘গোপন প্রস্তুতি’ নিচ্ছিলো এবং পুরনো চেহারায় ফিরে আসার জন্য সময় নিচ্ছিলো।

তিনি দাবি করেন, ”হামলা, ভাংচুর, সংঘর্ষের মাধ্যমে বিএনপি “রাষ্ট্রব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার দু:সাহস দেখিয়েছে।”

তার দল কারো সঙ্গে সংঘাত চায় না জানিয়ে তিনি আরো বলেন “ক্ষমতার পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। দেশে সময় মতোই নির্বাচন হবে। যদি কেউ মনে করে সহিংসতা করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন, সেটা হতে দেবো না।”

বিএনপি কার্যালয়ে তালা, সামনে পুলিশ :
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সারা দিনে সেখানে পুলিশ ও কিছু গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া আর তেমন কারো উপস্থিতি চোখে পড়েনি বিবিসির।

বিএনপি কার্যালয়ে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। এছাড়া ভবনের সামনের অংশে ‘ক্রাইস সিন’ লেখা হলুদ টেপ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির সদস্যরা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসেন।

এরপর তাদের বেশ কয়েকজন সদস্য ‘ক্রাইম সিন’ এর ভেতরে ও বাইরের অংশে ঘুরে ঘুরে সড়ক ও ফুটপাত থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন।

মূলত: গতকাল সমাবেশে ঘটে যাওয়া ঘটনা তদন্তে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

হরতাল চলাকালে রাজধানীসহ সারা দেশেই বেশ সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। এছাড়া ঢাকায় বিজিবিকে টহল দিতে দেখা গেছে।

রোববার সকালে ঢাকায় প্রায় প্রতিটি মোড়েই পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

সারাদিনই পুলিশ ছিল সতর্ক

এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও পয়েন্ট মোতায়েন ছিলো বিজিবি।

শনিবার হামলায় পুলিশের এক সদস্য মারা যাওয়ার পর সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি থানার যানবাহনের নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ঢাকায় চারটি বাসে আগুন:
হরতাল চলাকালে রাজধানীর ডেমরা, মোহাম্মদপুর, তাঁতিবাজার ও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট এলাকায় চারটি বাসে আগুন লাগানোর খবর পাওয়া গেছে। তবে বাসগুলোর ভেতরে যাত্রী না থাকায় কেউ হতাহত হননি।

শনিবার শেষ রাতে ডেমরায় প্রথম একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

পরের বাসটিতে আগুন দেয়া হয় রবিবার সকালে। সকাল ৯টার দিকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট এলাকায় বাসটিতে আগুন দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

এরপর সকাল ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরে টাউন হল বাজার এবং প্রায় একই সময়ে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারেও দু’টি বাসে আগুন লাগার খবর আসে।

আর ঢাকার বাইরে মানিকগঞ্জ সদরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি বাসে আগুর দেওয়ার ঘটনা জানা গেছে।

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে আগুন :
আগুনে খুলনা মহানগরীর বৈকালী মোড়ে অবস্থিত বিএনপি’র কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

বেলা ১২টার দিকে একদল লোক কার্যালয়টিতে আগুন দেয় জানিয়ে এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।

এদিকে, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কারা আগুন দিয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।

হরতাল চলাকালে আজ দেশের কোথাও দূর পাল্লার যান চলাচল করতে দেখা যায়নি।

সকালে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে টিকেট কাউন্টারগুলো খোলা দেখা গেলেও দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। যাত্রী না থাকায় বাসা চলছে না বলে জানান টিকেট বিক্রেতারা।

এদিকে, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেটেও দূর পাল্লার বাস চলাচল করেনি।

শহরগুলোর রাস্তায়ও সাধারণ মানুষ এবং যানবাহনে সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে। অধিকাংশ জায়গায় মার্কেট ও শপিংমলও বন্ধ ছিল।

বিএনপি’র হরতালের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সারা দেশেই শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।

অনেক জায়গায় লাঠি-সোটা এবং রড নিয়েও মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে দলটির নেতা কর্মীদের।
বিবিসি

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ২৯ অক্টোবর ২০২৩

Facebook Comments Box