ঢাকা ০৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

রিজার্ভ কমল আরও ১০ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৭৭ বার পঠিত
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট আরও ১০ কোটি ডলার কমেছে। ২৪ আগস্ট দিনের শুরুতে নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩১৭ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার ( ৩১ আগষ্ট ) দিনের শুরুতে তা কমে নিট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০৭ কোটি ডলার। একই সময়ের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার।
গ্রস রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন তহবিলে বিনিয়োগ করা অর্থ তুলে নেওয়ায় গ্রস রিজার্ভ বেশি কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, একদিকে দেশের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখায় রিজার্ভ কমছে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় থেকে ব্যয় মিটিয়ে অতিরিক্ত ডলার থাকছে না বলে রিজার্ভে তা যোগ হচ্ছে না। ফলে নিট রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।
দিনের শুরুতে বৃহস্পতিবার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯২১ কোটি ডলার। ২৪ আগস্ট ছিল ২ হাজার ৯৩৩ কোটি ডলার। গত বছরের ৩০ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৯০৪ কোটি ডলার। এক বছরের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৯৭১ কোটি ডলার। রিজার্ভ কমে যাওয়ায় বাজারে ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলোতে এখন আমদানি খাতে বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দামে ডলার বিক্রি হচ্ছে।
আগে বেশ কিছু ব্যাংকে ১০৯ টাকা থেকে ১০৮ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ডলার বিক্রি হতো। গত সপ্তাহে তা সর্বোচ্চ দামে উঠেছে। এখন সব ব্যাংকেই ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দামে বিক্রি হচ্ছে। নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১৩ টাকা দামে। অনেক ব্যাংকে ১১১ টাকার বেশি থেকে ১১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেড়ে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় উঠেছে। তবে বেশির ক্ষেত্রে ১১৮ টাকা থেকে ১১৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মানি চেঞ্জার্স প্রতিষ্ঠানগুলোও ডলারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
বেঁধে দেওয়া সীমা অনুযায়ী তারা সর্বোচ্চ ১১২ টাকা ৫০ পয়সা দরে নগদ ডলার বিক্রি করার কথা। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান ১১৮ থেকে ১১৯ টাকায় বিক্রি করছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত শুরু করেছে। ফলে মানি চেঞ্জার্সগুলোতে বৃহস্পতিবার ১১২ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি হলেও খোলাবাজারে দাম কমেনি।
সারাবেলার সংবাদ/ এমএ এইচ/ ১ সেপ্টম্বর ২০২৩
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

রিজার্ভ কমল আরও ১০ কোটি ডলার

আপডেট সময় : ১২:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট আরও ১০ কোটি ডলার কমেছে। ২৪ আগস্ট দিনের শুরুতে নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩১৭ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার ( ৩১ আগষ্ট ) দিনের শুরুতে তা কমে নিট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০৭ কোটি ডলার। একই সময়ের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার।
গ্রস রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন তহবিলে বিনিয়োগ করা অর্থ তুলে নেওয়ায় গ্রস রিজার্ভ বেশি কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, একদিকে দেশের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখায় রিজার্ভ কমছে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় থেকে ব্যয় মিটিয়ে অতিরিক্ত ডলার থাকছে না বলে রিজার্ভে তা যোগ হচ্ছে না। ফলে নিট রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।
দিনের শুরুতে বৃহস্পতিবার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯২১ কোটি ডলার। ২৪ আগস্ট ছিল ২ হাজার ৯৩৩ কোটি ডলার। গত বছরের ৩০ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৯০৪ কোটি ডলার। এক বছরের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৯৭১ কোটি ডলার। রিজার্ভ কমে যাওয়ায় বাজারে ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলোতে এখন আমদানি খাতে বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দামে ডলার বিক্রি হচ্ছে।
আগে বেশ কিছু ব্যাংকে ১০৯ টাকা থেকে ১০৮ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ডলার বিক্রি হতো। গত সপ্তাহে তা সর্বোচ্চ দামে উঠেছে। এখন সব ব্যাংকেই ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দামে বিক্রি হচ্ছে। নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১৩ টাকা দামে। অনেক ব্যাংকে ১১১ টাকার বেশি থেকে ১১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেড়ে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় উঠেছে। তবে বেশির ক্ষেত্রে ১১৮ টাকা থেকে ১১৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মানি চেঞ্জার্স প্রতিষ্ঠানগুলোও ডলারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
বেঁধে দেওয়া সীমা অনুযায়ী তারা সর্বোচ্চ ১১২ টাকা ৫০ পয়সা দরে নগদ ডলার বিক্রি করার কথা। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান ১১৮ থেকে ১১৯ টাকায় বিক্রি করছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত শুরু করেছে। ফলে মানি চেঞ্জার্সগুলোতে বৃহস্পতিবার ১১২ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি হলেও খোলাবাজারে দাম কমেনি।
সারাবেলার সংবাদ/ এমএ এইচ/ ১ সেপ্টম্বর ২০২৩
Facebook Comments Box