ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ৩৪ বার পঠিত

আজ ২৪ এপ্রিল। দেশের পোশাক শিল্পের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত হন অন্তত ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক, আহত হন ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত রানা প্লাজা। ভবনটিতে ছিলো তিনটি পোশাক কারখানা। শ্রমিকরা প্রতিদিনের মতো ওইদিন সকাল ৮টায় কর্মস্থলে হাজির হয়েছিলেন। উৎপাদনও শুরু করেছিলেন নির্ধারিত সময়ে। সাড়ে ৯টার দিকে এক বিকট শব্দে ধসে পড়ে ভবনটি। আশপাশে উড়তে থাকে ধুলো-বালি। শুরু হয় শ্রমিকদের স্বজনদের আহাজারি। একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে মরদেহ। উদ্ধারে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, র্যা ব ও পুলিশ সদস্যরা। চলে বিরতিহীন উদ্ধার অভিযান।
রানা প্লাজার প্রথম তলায় ছিল বিভিন্ন দোকান। দ্বিতীয় তলায়ও ছিল দোকান আর ব্যাংক। তৃতীয় তলার নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় নিউ ওয়েভ স্টাইল লিমিটেডে এবং ফ্যানটম ট্যাক লিমিটেড, ষষ্ঠ ও সপ্তম তলায় ইথারটেক্স লিমিটেড গার্মেন্টস।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করেন তাদের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সাভারের রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি ও নিহতদের স্বরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়। পরে মারা যাওয়া শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এসময় বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন দিনটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হতাহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা। দীর্ঘদিনের এই দাবির দ্রুত বাস্তবায়নও চান তিনি।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর আজ

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

আজ ২৪ এপ্রিল। দেশের পোশাক শিল্পের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত হন অন্তত ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক, আহত হন ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত রানা প্লাজা। ভবনটিতে ছিলো তিনটি পোশাক কারখানা। শ্রমিকরা প্রতিদিনের মতো ওইদিন সকাল ৮টায় কর্মস্থলে হাজির হয়েছিলেন। উৎপাদনও শুরু করেছিলেন নির্ধারিত সময়ে। সাড়ে ৯টার দিকে এক বিকট শব্দে ধসে পড়ে ভবনটি। আশপাশে উড়তে থাকে ধুলো-বালি। শুরু হয় শ্রমিকদের স্বজনদের আহাজারি। একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে মরদেহ। উদ্ধারে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, র্যা ব ও পুলিশ সদস্যরা। চলে বিরতিহীন উদ্ধার অভিযান।
রানা প্লাজার প্রথম তলায় ছিল বিভিন্ন দোকান। দ্বিতীয় তলায়ও ছিল দোকান আর ব্যাংক। তৃতীয় তলার নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় নিউ ওয়েভ স্টাইল লিমিটেডে এবং ফ্যানটম ট্যাক লিমিটেড, ষষ্ঠ ও সপ্তম তলায় ইথারটেক্স লিমিটেড গার্মেন্টস।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করেন তাদের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সাভারের রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি ও নিহতদের স্বরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়। পরে মারা যাওয়া শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এসময় বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন দিনটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হতাহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা। দীর্ঘদিনের এই দাবির দ্রুত বাস্তবায়নও চান তিনি।

Facebook Comments Box