মহিয়ষী নারীদের কারণে পৃথিবীটা অন্ধকার হতে আলোর দিকে এগিয়ে আসছে বলে উল্লেখ করেছেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। রাজশাহীতে আয়োজিত ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ কথা উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী জেলা ও মহানগর পর্যায়ে নির্বাচিত ১০ নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে সংবর্ধিত করা হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রাজশাহী কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থনীতি, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে উদ্যমী এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তাঁরা জয়িতা নির্বাচিত হন। অনুষ্ঠানে ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’ এবং ‘বেগম রোকেয়া দিবস’—এর তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানবমুক্তির কথা, শান্তির কথা, নারী মুক্তির কথা উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার ইসলামে নারীর মর্যাদা তুলে ধরে বলেন, মানুষ হিসেবে আমরা সুখ—শান্তি চাই, বৈষম্য—নির্যাতন হতে মুক্তি চাই। মানুষের কল্যাণ ও মানবমুক্তির জন্য ক্ষণে ক্ষণে মহিয়ষী নারীদের জন্ম হয়েছে। যাঁদের কারণে পৃথিবীটা অন্ধকার হতে আস্তে আস্তে আলোর দিকে এগিয়ে এসেছে।

বিভিন্ন আন্দোলন—সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা সাহস যুগিয়েছেন উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘পৃথিবীতে যা কিছু চির কল্যাণকর; অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর’। নারীদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে যেন সে সমাজে একজন নারী, একজন জননী এবং একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারেÑতা হলেই সমাজ এগিয়ে যাবে।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মর্জিনা পারভীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রাজশাহী কার্যালয়ের উপপরিচালক শবনম শিরিন। পরে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে ৫ জন করে নির্বাচিত মোট ১০ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে উত্তরীয়, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।