ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে সরকার সফল হবে না: তারেক Logo স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে দেশ এখনও মুক্ত নয়: রিজভী Logo হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যেভাবে ইসরায়েল খুঁজে বের করে হত্যা করেছে Logo সোনারগাঁওয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু Logo সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধা মহিলার ঠাই হলো স্বামীর বসত ভিটায় Logo সোনারগাঁয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি হালট দখল করে বালু ভরাট Logo ‘সংস্কারের ধীর গতি’ ও কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা, কী বলছেন উপদেষ্টারা? Logo আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু আজ Logo বাড়তে পারে ঈদ ও পূজার সরকারি ছুটি Logo আগামী বছর থেকে আবারও মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন শুরু

মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ইসলামী ঐক্যজোট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ ৯ বার পঠিত

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় দখলদার ইসরাইলের নির্বিচার বোমা বর্ষণ ও গণহত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ঐক্যজোট। সোমবার বিকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, পাশ্চাত্যের সহযোগিতায় মাসের পর মাস গাজা ও রাফায় সন্ত্রাসবাদী ইসরাইল মজলুম ফিলিস্তিনিদের উপর নারকীয় গণহত্যা চালাচ্ছে। ৩৫ হাজার নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুদের তারা শহীদ করেছে। ৮০ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তবুও যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। ধিক্কার জানাই কথিত মানবতার ধ্বজাধারীদের এমন বৈষম্যমূলক আচরণের। মূলত তাদের অস্ত্র সরবরাহ ও নিঃশর্ত সমর্থনের কারণেই মধ্যপ্রাচ্যে আজ অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

জাতীয় শিক্ষা সিলেবাসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একটি পক্ষ শিক্ষা সিলেবাস নিয়ে ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছে। অবিলম্বে এ খেলা বন্ধ করতে হবে। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীকে অপসারণ করে একজন ধর্মভীরু ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। বির্তকিত সিলেবাস বাতিল করে সংশোধিত সিলেবাস বহাল করতে হবে। অন্যথায় এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার বিভৎস চিত্র দেখে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সেখানে মুসলমান ভাই-বোনদের রক্ত ঝরছে। তাদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদের পাশবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। হাসপাতাল, মসজিদ-মাদরাসা, বিদ্যালয়, কলেজ কোনকিছুই হানাদার ইসরাইলি দস্যুদের বোমা হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এই অবস্থায় মুফতী আমিনীর (রহ.) রুহানী সন্তানেরা নিরব বসে থাকতে পারে না।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ এখন একটি সাইনবোর্ড। বিবৃতি দেওয়া ছাড়া তাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই। এই নতজানু জাতিসংঘ দিয়ে ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধ হবে না। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ফেরাতে অবিলম্বে মুসলিম জাতিসংঘ গঠন করতে হবে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে এই অবৈধ রাষ্ট্রের সাথে সবধরনের কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছিন্ন ও ওদের সকল পণ্য বয়কট করতে হবে।

মুফতি ফয়জুল্লাহ বাংলাদেশের বিতর্কিত পাঠ্যক্রমে ট্রান্সজেন্ডারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, অবিলম্বে বিতর্কিত পাঠ্য সিলেবাস নিষিদ্ধ করতে হবে। তা নাহলে ইসলামী ঐক্যজোট আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মুফতি আব্দুল কাইয়্যুম, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মুফতি জিয়াউল হক মজুমদার, মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা মীর হেদায়েতুল্লাহ গাজী, মাওলানা আবুল খায়ের বিক্রমপুরী, মাওলানা আনসারুল হক ইমরান, মাওলানা আশরাফ আলী জিহাদী, মাওলানা মির্জা ইয়াসিন আরাফাত, যুব নেতা এএম জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড়সহ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে এসে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ইসলামী ঐক্যজোট

আপডেট সময় : ১১:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় দখলদার ইসরাইলের নির্বিচার বোমা বর্ষণ ও গণহত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ঐক্যজোট। সোমবার বিকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, পাশ্চাত্যের সহযোগিতায় মাসের পর মাস গাজা ও রাফায় সন্ত্রাসবাদী ইসরাইল মজলুম ফিলিস্তিনিদের উপর নারকীয় গণহত্যা চালাচ্ছে। ৩৫ হাজার নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুদের তারা শহীদ করেছে। ৮০ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তবুও যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। ধিক্কার জানাই কথিত মানবতার ধ্বজাধারীদের এমন বৈষম্যমূলক আচরণের। মূলত তাদের অস্ত্র সরবরাহ ও নিঃশর্ত সমর্থনের কারণেই মধ্যপ্রাচ্যে আজ অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

জাতীয় শিক্ষা সিলেবাসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একটি পক্ষ শিক্ষা সিলেবাস নিয়ে ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছে। অবিলম্বে এ খেলা বন্ধ করতে হবে। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীকে অপসারণ করে একজন ধর্মভীরু ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। বির্তকিত সিলেবাস বাতিল করে সংশোধিত সিলেবাস বহাল করতে হবে। অন্যথায় এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার বিভৎস চিত্র দেখে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সেখানে মুসলমান ভাই-বোনদের রক্ত ঝরছে। তাদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদের পাশবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। হাসপাতাল, মসজিদ-মাদরাসা, বিদ্যালয়, কলেজ কোনকিছুই হানাদার ইসরাইলি দস্যুদের বোমা হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এই অবস্থায় মুফতী আমিনীর (রহ.) রুহানী সন্তানেরা নিরব বসে থাকতে পারে না।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ এখন একটি সাইনবোর্ড। বিবৃতি দেওয়া ছাড়া তাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই। এই নতজানু জাতিসংঘ দিয়ে ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধ হবে না। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ফেরাতে অবিলম্বে মুসলিম জাতিসংঘ গঠন করতে হবে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে এই অবৈধ রাষ্ট্রের সাথে সবধরনের কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছিন্ন ও ওদের সকল পণ্য বয়কট করতে হবে।

মুফতি ফয়জুল্লাহ বাংলাদেশের বিতর্কিত পাঠ্যক্রমে ট্রান্সজেন্ডারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, অবিলম্বে বিতর্কিত পাঠ্য সিলেবাস নিষিদ্ধ করতে হবে। তা নাহলে ইসলামী ঐক্যজোট আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মুফতি আব্দুল কাইয়্যুম, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মুফতি জিয়াউল হক মজুমদার, মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা মীর হেদায়েতুল্লাহ গাজী, মাওলানা আবুল খায়ের বিক্রমপুরী, মাওলানা আনসারুল হক ইমরান, মাওলানা আশরাফ আলী জিহাদী, মাওলানা মির্জা ইয়াসিন আরাফাত, যুব নেতা এএম জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড়সহ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে এসে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।

Facebook Comments Box