ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সোনারগাঁয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০ Logo সোনারগাঁয়ে ২৫কেজি গাঁজা ও পিকআপ ভ্যানসহ আটক-৩ Logo চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান মহারণের সূচি প্রকাশ Logo শেষ দুই টেস্টও খেলা হচ্ছে না শামির Logo বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশন গঠন Logo বিয়ের পরিকল্পনা নেই! তবে বাবা হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে! সন্তান প্রসঙ্গে কী মত সলমনের? Logo মস্কোয় অতিষ্ঠ! সিরিয়ার পলাতক প্রেসিডেন্টের থেকে ‘মুক্তি’ চাইছেন স্ত্রী, ফিরে যেতে চান ব্রিটেনে Logo ‘বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে ত্রিপুরা’ Logo নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্ন ভিন্ন মত Logo শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের তদন্ত নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

মিয়ানমারে সংঘাত: জনশূন্য ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকা

বান্দরবান প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৮৩ বার পঠিত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু-জলপাইতলী সীমান্তজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা সরকারের বাহিনীর সংঘাতের গোলা, বোমা, মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে। এতে দুই বাংলাদেশি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় সীমান্তবর্তী পাঁচটি গ্রাম তুমব্রু বাজারপাড়া, কোনাপাড়া, মাঝেরপাড়া, ঘুমধুম পাড়া, জলপাইতলীর কয়েকশ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র এবং দূরদূরান্তের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছেন ২৮টি পরিবারের ১১৮ জন সদস্য। এ ছাড়া আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে চলে গেছে দেড় শতাধিক পরিবার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ তেমন শোনা যায়নি। শুনেছি আরাকান বিদ্রোহীরা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের তুমব্রু, ঘুমধুম, ডেকুবুনিয়া তিনটি ক্যাম্পই দখল করে নিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তবাসীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা দুটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আতঙ্কিত লোকদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গ্রাম প্রহরী ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা এ কাজে সহযোগিতা করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।’

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি বিবোচনায় ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে খোলা হয়েছে অস্থায়ী দুটি আশ্রয়কেন্দ্র। সীমান্তবর্তী অতি ঝুঁকিপূর্ণ ২৫০টি পরিবারের মধ্যে ১৫০টি পরিবার ইতোমধ্যে আত্মীয়-স্বজনের বাসাবাড়িতে চলে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে ২৮টি পরিবার। অন্যদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।’

 

 

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

মিয়ানমারে সংঘাত: জনশূন্য ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকা

আপডেট সময় : ০২:৩২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু-জলপাইতলী সীমান্তজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা সরকারের বাহিনীর সংঘাতের গোলা, বোমা, মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে। এতে দুই বাংলাদেশি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় সীমান্তবর্তী পাঁচটি গ্রাম তুমব্রু বাজারপাড়া, কোনাপাড়া, মাঝেরপাড়া, ঘুমধুম পাড়া, জলপাইতলীর কয়েকশ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র এবং দূরদূরান্তের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছেন ২৮টি পরিবারের ১১৮ জন সদস্য। এ ছাড়া আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে চলে গেছে দেড় শতাধিক পরিবার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ তেমন শোনা যায়নি। শুনেছি আরাকান বিদ্রোহীরা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের তুমব্রু, ঘুমধুম, ডেকুবুনিয়া তিনটি ক্যাম্পই দখল করে নিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তবাসীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা দুটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আতঙ্কিত লোকদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গ্রাম প্রহরী ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা এ কাজে সহযোগিতা করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।’

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি বিবোচনায় ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে খোলা হয়েছে অস্থায়ী দুটি আশ্রয়কেন্দ্র। সীমান্তবর্তী অতি ঝুঁকিপূর্ণ ২৫০টি পরিবারের মধ্যে ১৫০টি পরিবার ইতোমধ্যে আত্মীয়-স্বজনের বাসাবাড়িতে চলে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে ২৮টি পরিবার। অন্যদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।’

 

 

Facebook Comments Box