ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব আমনে, লোকসানে কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ৫৫ বার পঠিত
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে মৌলভীবাজারে পাকা-আধপাকা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য বেশিভাগই ক্ষেতে নষ্ট হয়ে গেছে।এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। স্বপ্নের ফসল নষ্ট হওয়ায় হতাশায় ভোগছেন অনেকে।
অপরদিকে মিধিলির প্রভাবে মৌলভীবাজার জেলায় দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত ঝড়ের কবলে পড়ে পাকা-আধপাকা ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। পাশাপাশি শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) মো. ফজলুল করিম জানান, মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার বিকালে ৩৩ কেভি জাতীয় গ্রিড লাইনের দুটি পিন ইন্সুলেটর ফেটে গেলে মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের দু’টি কারিগরী টিম রাত একটা পর্যন্ত চেষ্টার পর ত্রুটি শনাক্ত করে। পরে রাত সোয়া একটার পর জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত, চাষের উপযোগী আবহাওয়া থাকায় মৌলভীবাজারে এবার উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের আগাম আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগামজাত আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর উৎপাদন ধরা হয়েছে- প্রতি হেক্টরে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মেট্রিক টন। এরইমধ্যে প্রায় দুই থেকে আড়াই শতাংশ আগামজাত আমন কাটা সম্পন্ন হয়েছে।
এ দিকে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে (কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন) ব্যবহারে স্বল্প সময়ে ধান ঘরে উঠিয়ে সরিষা চাষের প্রস্তুতির কথা জানালেন অনেক কৃষক। তবে এ বছর আমনের ভালো ফলনে কৃষকরা খুশি হলেও- উৎপাদন খরচ উঠানো নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার দিনভর মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় অনেক কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মৌলভীবাজারে এ বছর একলাখ ৬৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হলেও উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩লাখ এক হাজার ৯১৮ মেট্রিক টন চাল।
Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব আমনে, লোকসানে কৃষক

আপডেট সময় : ০৪:১৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে মৌলভীবাজারে পাকা-আধপাকা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য বেশিভাগই ক্ষেতে নষ্ট হয়ে গেছে।এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। স্বপ্নের ফসল নষ্ট হওয়ায় হতাশায় ভোগছেন অনেকে।
অপরদিকে মিধিলির প্রভাবে মৌলভীবাজার জেলায় দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত ঝড়ের কবলে পড়ে পাকা-আধপাকা ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। পাশাপাশি শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) মো. ফজলুল করিম জানান, মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার বিকালে ৩৩ কেভি জাতীয় গ্রিড লাইনের দুটি পিন ইন্সুলেটর ফেটে গেলে মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের দু’টি কারিগরী টিম রাত একটা পর্যন্ত চেষ্টার পর ত্রুটি শনাক্ত করে। পরে রাত সোয়া একটার পর জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত, চাষের উপযোগী আবহাওয়া থাকায় মৌলভীবাজারে এবার উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের আগাম আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগামজাত আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর উৎপাদন ধরা হয়েছে- প্রতি হেক্টরে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মেট্রিক টন। এরইমধ্যে প্রায় দুই থেকে আড়াই শতাংশ আগামজাত আমন কাটা সম্পন্ন হয়েছে।
এ দিকে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে (কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন) ব্যবহারে স্বল্প সময়ে ধান ঘরে উঠিয়ে সরিষা চাষের প্রস্তুতির কথা জানালেন অনেক কৃষক। তবে এ বছর আমনের ভালো ফলনে কৃষকরা খুশি হলেও- উৎপাদন খরচ উঠানো নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার দিনভর মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় অনেক কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মৌলভীবাজারে এ বছর একলাখ ৬৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হলেও উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩লাখ এক হাজার ৯১৮ মেট্রিক টন চাল।
Facebook Comments Box