মালয়েশিয়ায় প্রতারণার শিকার ১০৪ বাংলাদেশী
- আপডেট সময় : ০৩:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৯০ বার পঠিত
মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১০৪ বাংলাদেশি। তাদের রাজধানী কুয়ালালামপুরের চেরাসের একটি বাসায় আটকে রাখা হয়। এ খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি সরকারের নজরে আসে। সরকার বলছে, বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতারণাকারী চেরাসের রিকোলার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এসডিএন বিএইচডির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল ও মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম বলেছেন চেরাসের যে কোম্পানিটি গত নভেম্বরে শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে এসেছিল তারা তাদের চাকরি দেয়নি। তাদের উপযুক্ত থাকার জায়গা বা পর্যাপ্ত খাবারও সরবরাহ করেনি।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে উভয় মন্ত্রণালয়ই সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নেবে। নিয়োগদাতারা যারা বিদেশী কর্মী নিয়োগ করে তাদের অবশ্যই শ্রমিকদের যত্ন নিতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে তারা আইন মেনে চলছে। অভিবাসী শ্রমিকদের একটি অন্তরবর্তী সুরক্ষা আদেশ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আনার আগে নথিভুক্ত করার জন্য পুত্রজায়া অভিবাসন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
শ্রমিকদের পাসপোর্ট রাখার জন্য নিয়োগকর্তাদের আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে এবং তাদের বেতন দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য কর্মসংস্থান আইনের আওতায় আনা হবে। যথাযথ বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হওয়ায় তারা কর্মচারীদের ন্যূনতম মানদণ্ডের আবাসন এবং সুযোগ-সুবিধা আইনের অধীনে অভিযোগের মুখোমুখি হবে এবং পাচার বিরোধী এবং অভিবাসী আইনের অধীনে তদন্ত করা হবে। বিদেশি কর্মীদের জন্য তাদের অবশিষ্ট কোটা এবং তাদের অনুমোদন পত্র বাতিল করা ছাড়াও, নিয়োগকর্তারা ভবিষ্যতে বিদেশি কর্মীদের জন্য আবেদন করা থেকে কালো তালিকাভুক্ত হবে বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশটির একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ১০০ জনের বেশি শ্রমিককে কাজের জন্য এনে কাজ না দিয়ে জিম্মি করে রেখেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের নভেম্বরে কাজের ভিসায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পরও চাকরি পাননি তারা। আটক অবস্থায় দুর্বিসহ দিন কাটাচ্ছেন তারা।