ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদ্যপ ছিলেন সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী শিবা শানু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০১:২২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২০ বার পঠিত

ঢাকা : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন তথা বিএফডিসিতে রচিত হলো এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) শিল্পীদের দ্বারা নির্যাতিত হলেন সাংবাদিকরা। এ ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, অভিনেতা শিবা শানুসহ কয়েকজন।

হামলার শিকার হওয়া এক সাংবাদিক জানান, ঘটনার সময় মদ্যপ ছিলেন শিবা শানু। অসংলগ্ন আচরণ ছিল তার। মুখ থেকে মদের গন্ধও আসছিল। তিনি যে অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন ভিডিও ফুটেজ দেখলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।

এদিকে শিল্পীদের হামলার শিকারে আহত হয়েছেন ১০ জনের মতো সাংবাদিক। এরমধ্যে রয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন, বাংলাভিশনের ক্যামেরাপারসনসহ ১০ জনের মতো সংবাদিক ও ইউটিউবার।

আহত মিঠুন আল মামুন বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। শিবা শানু ও জয় চৌধুরী অশ্লীল ভাষায় বলে, (প্রকাশের অযোগ্য শব্দ) ধর, তারপরই মারামারি শুরু হয়। হামলাকারী আমাদের ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ব্যবহৃত ফোনও চুরি হয়ে গেছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, শপথ গ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিতে চান ময়ূরীর মেয়ের। ময়ূরীর মেয়েকে প্রশ্ন করেন আপনি আপনার মায়ের সিনেমা দেখেন কি না। দেখলে কেমন লাগে। ময়ূরীর মেয়েকে এমন প্রশ্ন করাতেই রেগে যান খল অভিনেতা শিবা শানু।

তিনি সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কা দিয়ে অফিসে থেকে বের করে নিয়ে যান। এসময় কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে শিবা শানুকে থামাতে চান। এতেই শুরু হয় হট্টগোল।

এ সময় তখনই শিল্পী সমিতির আরেক নেতা চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী গালি দিয়ে ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। শুরু হয় সাংবাদিক ও শিল্পীদের মধ্যে তুমুল মারামারি। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুরো এফডিসি পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। মারামারিতে রক্তাক্ত হন কয়েকজন সাংবাদিক।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ২০২৪-২৬’র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন। এরপরই মারামারির ঘটনা ঘটে।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

মদ্যপ ছিলেন সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী শিবা শানু

আপডেট সময় : ০১:২২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকা : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন তথা বিএফডিসিতে রচিত হলো এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) শিল্পীদের দ্বারা নির্যাতিত হলেন সাংবাদিকরা। এ ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, অভিনেতা শিবা শানুসহ কয়েকজন।

হামলার শিকার হওয়া এক সাংবাদিক জানান, ঘটনার সময় মদ্যপ ছিলেন শিবা শানু। অসংলগ্ন আচরণ ছিল তার। মুখ থেকে মদের গন্ধও আসছিল। তিনি যে অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন ভিডিও ফুটেজ দেখলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।

এদিকে শিল্পীদের হামলার শিকারে আহত হয়েছেন ১০ জনের মতো সাংবাদিক। এরমধ্যে রয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন, বাংলাভিশনের ক্যামেরাপারসনসহ ১০ জনের মতো সংবাদিক ও ইউটিউবার।

আহত মিঠুন আল মামুন বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। শিবা শানু ও জয় চৌধুরী অশ্লীল ভাষায় বলে, (প্রকাশের অযোগ্য শব্দ) ধর, তারপরই মারামারি শুরু হয়। হামলাকারী আমাদের ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ব্যবহৃত ফোনও চুরি হয়ে গেছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, শপথ গ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিতে চান ময়ূরীর মেয়ের। ময়ূরীর মেয়েকে প্রশ্ন করেন আপনি আপনার মায়ের সিনেমা দেখেন কি না। দেখলে কেমন লাগে। ময়ূরীর মেয়েকে এমন প্রশ্ন করাতেই রেগে যান খল অভিনেতা শিবা শানু।

তিনি সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। না যেতে চাইলে তাকে ধাক্কা দিয়ে অফিসে থেকে বের করে নিয়ে যান। এসময় কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে শিবা শানুকে থামাতে চান। এতেই শুরু হয় হট্টগোল।

এ সময় তখনই শিল্পী সমিতির আরেক নেতা চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী গালি দিয়ে ‘মার মার’ বলে তেড়ে যান সাংবাদিকদের দিকে। শুরু হয় সাংবাদিক ও শিল্পীদের মধ্যে তুমুল মারামারি। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুরো এফডিসি পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। মারামারিতে রক্তাক্ত হন কয়েকজন সাংবাদিক।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ২০২৪-২৬’র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন। এরপরই মারামারির ঘটনা ঘটে।

Facebook Comments Box