ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ভারতকে কাঁদিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়াঙ্গন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ২৮ বার পঠিত

রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের উল্লাস অস্ট্রেলিয়ার

চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচ জিতে ঘরের মাঠে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল রোহিত শর্মার দল। বিশ্ব শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতবে রোহিত-কোহলিরা এমন প্রত্যাশা থেকেই আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে প্রায় লাখখানেক দর্শক উপস্থিত হয়েছিল। পুরো স্টেডিয়ামে যেন রূপ নিয়েছিল ‘নীল সাগরে’। সেই ‘নীল সাগরেই’ স্বাগতিকদের ডুবিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে অস্ট্রেলিয়া।

রোববার ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে হারায় অস্ট্রেলিয়া।

এদিন আগে ব্যাট করে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ২৪০ রানে অলআউট হয় ভারত। টার্গেট তাড়ায় ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই অবস্থা থেকে মার্নাস লাবুশেনকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ২১৫ বলে ১৯২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান ট্রাভিস হেড।
জয়ের জন্য শেষদিকে ৪৪ বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। ট্রাভিস হেড বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। তার আগে ১২০ বলে ১৫টি চার আর ৪টি ছক্কায় ১৩৭ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনার।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র এক বল মোকাবেলা করে দুই রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১১০ বলে চার বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মার্নাস লাবুশেন।

প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান সংগ্রহ করে ভারত। ব্যাট হাতে লোকেশ রাহুল ১০৭ বলে ৬৬ ও বিরাট কোহলি ৬৩ বলে ৫৪ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক রোহিত শর্মা খেলেন ৩১ বলে ৪৭ রানের ইনিংস।

রোববার ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে বিশ্বকাপের স্বাগতিকদের প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৬ বলে স্কোর বোর্ডে ৩০ রান জমা করেই সাজঘরে ফেরেন শুভমান গিল। তিনি মিচেল স্টার্কের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৭ বলে মাত্র ৪ রানে ফেরেন।

এরপর সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে ৩২ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা। দলীয় ৭৬ রানে ৩১ বলে চারটি চার আর তিন ছক্কায় ৪৭ রান করে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত। চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩ বলে ৪ রানে আউট হন শ্রেয়াস আইয়ার।

ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১০.২ ওভারে ৮১ রানে শুভমান গিল, রোহিত শর্মা ও শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেট হারিয়েছে কঠিন চাপের মধ্যে পড়ে যায় ভারত।

দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও তারকা ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল। চতুর্থ উইকেটে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ১০৯ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি। ২৮.৩ ওভারে দলীয় ১৪৮ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৬৩ বলে চার বাউন্ডারিতে ৫৪ রান করেন কোহলি।

কোহলি আউট হওয়ার পর ফিফটি তুলে নিয়ে ফেরেন লোকেশ রাহুল। তিনি ১০৭ বলে মাত্র এক চারে ৬৬ রান করে দলীয় ২০৩ রানে ফেরেন। রাহুল আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৯ রানে ফেরেন রবিন্দ্র জাদেজা।

ইনিংসের শেষদিকে ১০ বলে ৬ রানে ফেরেন পেসার মোহাম্মদ শামি। ৩ বলে ১ রানে ফেরেন আরেক পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ২৮ বলে ১৮ রান করে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন সুরাইয়া কুমার যাদব। ১০ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রানআউট হন কুলদীপ যাদব। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০ ওভারে ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ১০ ওভারে ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ১০ ওভারে ৬০ রানে ২ উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ভারতকে কাঁদিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

আপডেট সময় : ১১:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচ জিতে ঘরের মাঠে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল রোহিত শর্মার দল। বিশ্ব শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতবে রোহিত-কোহলিরা এমন প্রত্যাশা থেকেই আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে প্রায় লাখখানেক দর্শক উপস্থিত হয়েছিল। পুরো স্টেডিয়ামে যেন রূপ নিয়েছিল ‘নীল সাগরে’। সেই ‘নীল সাগরেই’ স্বাগতিকদের ডুবিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে অস্ট্রেলিয়া।

রোববার ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে হারায় অস্ট্রেলিয়া।

এদিন আগে ব্যাট করে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ২৪০ রানে অলআউট হয় ভারত। টার্গেট তাড়ায় ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই অবস্থা থেকে মার্নাস লাবুশেনকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ২১৫ বলে ১৯২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান ট্রাভিস হেড।
জয়ের জন্য শেষদিকে ৪৪ বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। ট্রাভিস হেড বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। তার আগে ১২০ বলে ১৫টি চার আর ৪টি ছক্কায় ১৩৭ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনার।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র এক বল মোকাবেলা করে দুই রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১১০ বলে চার বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মার্নাস লাবুশেন।

প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান সংগ্রহ করে ভারত। ব্যাট হাতে লোকেশ রাহুল ১০৭ বলে ৬৬ ও বিরাট কোহলি ৬৩ বলে ৫৪ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক রোহিত শর্মা খেলেন ৩১ বলে ৪৭ রানের ইনিংস।

রোববার ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে বিশ্বকাপের স্বাগতিকদের প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৬ বলে স্কোর বোর্ডে ৩০ রান জমা করেই সাজঘরে ফেরেন শুভমান গিল। তিনি মিচেল স্টার্কের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৭ বলে মাত্র ৪ রানে ফেরেন।

এরপর সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে ৩২ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা। দলীয় ৭৬ রানে ৩১ বলে চারটি চার আর তিন ছক্কায় ৪৭ রান করে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত। চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩ বলে ৪ রানে আউট হন শ্রেয়াস আইয়ার।

ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১০.২ ওভারে ৮১ রানে শুভমান গিল, রোহিত শর্মা ও শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেট হারিয়েছে কঠিন চাপের মধ্যে পড়ে যায় ভারত।

দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও তারকা ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল। চতুর্থ উইকেটে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ১০৯ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি। ২৮.৩ ওভারে দলীয় ১৪৮ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৬৩ বলে চার বাউন্ডারিতে ৫৪ রান করেন কোহলি।

কোহলি আউট হওয়ার পর ফিফটি তুলে নিয়ে ফেরেন লোকেশ রাহুল। তিনি ১০৭ বলে মাত্র এক চারে ৬৬ রান করে দলীয় ২০৩ রানে ফেরেন। রাহুল আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৯ রানে ফেরেন রবিন্দ্র জাদেজা।

ইনিংসের শেষদিকে ১০ বলে ৬ রানে ফেরেন পেসার মোহাম্মদ শামি। ৩ বলে ১ রানে ফেরেন আরেক পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ২৮ বলে ১৮ রান করে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন সুরাইয়া কুমার যাদব। ১০ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রানআউট হন কুলদীপ যাদব। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০ ওভারে ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ১০ ওভারে ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ১০ ওভারে ৬০ রানে ২ উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড।

Facebook Comments Box