ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ভাঙ্গুড়া—নওগাঁ সড়ক পাকাকরণে ধীরগতি, বেড়েছে জনদুর্ভোগ

সিরাজুল ইসলাম আপন, ভাঙ্গুড়া(পাবনা):
  • আপডেট সময় : ০৬:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪ ১০ বার পঠিত

পাবনার উপজেলার ভাঙ্গুড়া—নওগাঁ সড়ক পাকাকরণে ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। প্রায় তিন মাস আগে ঠিকাদার উপজেলার পাটুল বাজার থেকে নৌবাড়িয়া বিশার নালা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তার ইট তুলে খোয়া ভেঙ্গে এলোমেলো ভাবে ফেলে রেখেছে। এদিকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে গর্ত ও জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ পথে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া উপজেলার খানমরিচ ও দিলপাশার ইউনিয়নের অধিবাসীদের যোগাযোগের বিকল্প সাব—মারসিবল রাস্তাগুলো বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় তাদের যাতাযাতের ক্ষেত্রে এই সড়কটি এখন একমাত্র ভরসা।

পাটুল গ্রামের রানা আহমেদ সজিব আলীসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, খোয়াগুলো বিছিয়ে রোলিং করে না রাখায় মানুষের চলাচলে খুব কষ্ট হচ্ছে। এজন্য গ্রামবাসী সড়কটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানিয়েছে।

জানাগেছে, এলজিিইডি’র এই সড়কের নৌবাড়িয়া হতে ময়দানদীঘি পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র লিমিটেড ওয়ার্ক অর্ডার পান কিন্তু তারা নিজে কাজটি না করে রেজোয়ান আহমেদ নামের এক ঠিকাদারকে সাব—কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সাব—ঠিকাদার রেজোয়ান বলেন, অগ্রগতি অনুযায়ী বিল না পাওয়ার কারণে কাজ বিলম্ব হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার থেকে পুনরায় কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোছা: আফরোজা পারভিন বলেন, ঠিকাদার ধাপে ধাপে কাজটি করলে বিল পেতে অসুবিধা হতো না। তারপরও জনদুর্ভোগ লাঘবে পাকাকরণের কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

 

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ভাঙ্গুড়া—নওগাঁ সড়ক পাকাকরণে ধীরগতি, বেড়েছে জনদুর্ভোগ

আপডেট সময় : ০৬:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

পাবনার উপজেলার ভাঙ্গুড়া—নওগাঁ সড়ক পাকাকরণে ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। প্রায় তিন মাস আগে ঠিকাদার উপজেলার পাটুল বাজার থেকে নৌবাড়িয়া বিশার নালা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তার ইট তুলে খোয়া ভেঙ্গে এলোমেলো ভাবে ফেলে রেখেছে। এদিকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে গর্ত ও জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ পথে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া উপজেলার খানমরিচ ও দিলপাশার ইউনিয়নের অধিবাসীদের যোগাযোগের বিকল্প সাব—মারসিবল রাস্তাগুলো বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় তাদের যাতাযাতের ক্ষেত্রে এই সড়কটি এখন একমাত্র ভরসা।

পাটুল গ্রামের রানা আহমেদ সজিব আলীসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, খোয়াগুলো বিছিয়ে রোলিং করে না রাখায় মানুষের চলাচলে খুব কষ্ট হচ্ছে। এজন্য গ্রামবাসী সড়কটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানিয়েছে।

জানাগেছে, এলজিিইডি’র এই সড়কের নৌবাড়িয়া হতে ময়দানদীঘি পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র লিমিটেড ওয়ার্ক অর্ডার পান কিন্তু তারা নিজে কাজটি না করে রেজোয়ান আহমেদ নামের এক ঠিকাদারকে সাব—কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সাব—ঠিকাদার রেজোয়ান বলেন, অগ্রগতি অনুযায়ী বিল না পাওয়ার কারণে কাজ বিলম্ব হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার থেকে পুনরায় কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোছা: আফরোজা পারভিন বলেন, ঠিকাদার ধাপে ধাপে কাজটি করলে বিল পেতে অসুবিধা হতো না। তারপরও জনদুর্ভোগ লাঘবে পাকাকরণের কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

 

Facebook Comments Box