বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ: আইএমএফ শর্ত শিথিল করলেও লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৯:০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১৬ বার পঠিত
আইএমএফের ঋণের নথি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ১,৭৭৮ কোটি ডলার। বছর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১,৬৭৫ কোটি ডলার।
এছাড়া, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদও আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে বাংলাদেশের অনুরোধে রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেয় আইএমএফ।
আইএমএফের নতুন শর্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে প্রকৃত রিজার্ভ ১,৯২৬ কোটি ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে ২,০১০ কোটি ডলার হওয়ার কথা। আর্থিক খাতের অংশীজনরা এই লক্ষ্য অর্জন হবে কি না তা নিশ্চিত করতে পারছে না।
প্রকৃত রিজার্ভ হলো; আইএমএফের এসডিআর, ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে রাখা ডলার এবং এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ) বিলের জন্য জমা করা ডলার বাদ দিয়ে গণনা করা রিজার্ভ।
এ ছাড়া, রিজার্ভের আরো দুটি হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো মোট রিজার্ভ। আরেকটি আইএমএফ অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম বিপিএম-৬ এর অধীনে হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ।
গত ২০২৩ সাল শেষে, মোট বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বেড়ে দাঁড়ায় ২,৭০০ ডলার। তবে, আইএমএফ শুধু নিট বা সত্যিকার রিজার্ভ হিসাব করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফ নির্ধারিত লক্ষ্য অনুযায়ী রিজার্ভ ১,৭০০ কোটি ডলারের উপরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করেছে।
আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আইএমএফ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা হ্রাস করার পরও, কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ করা যায়নি, যা অপ্রত্যাশিত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিমালা পরিবর্তন না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪ সালের মার্চে আইএমএফের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে পারবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন ড. মনসুর।