ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বৃষ্টি আরও বাড়াল মাঘের শীতের দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪ ১৭ বার পঠিত

ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি বাড়িয়েছে ঠান্ডার তীব্রতা। সেই সঙ্গে বেড়েছে ভোগান্তি।

বৃহস্পতিবার রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, চুয়াড়াঙ্গা, গোপালগঞ্জ, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে যশোরে ২২ মিলিমিটার এবং চুয়াডাঙ্গায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। নওগাঁসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আরও দু-একদিন এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি দিতে শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা থাকলেও কোথাও মানা হয়েছে, কোথাও হয়নি। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার কয়েকটি জেলা-উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এগুলো হলো কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল।

দিনাজপুরে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলেও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস হয়েছে। তবে দুপুর থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পঞ্চগড়ে স্কুল বন্ধের ঘোষণা আসে বেলা ১১টায়। এর মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে চলে আসে। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে নামায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও বৃহস্পতিবার ক্লাস হয়েছে।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মাধ্যমিক স্তরের স্কুল বন্ধ থাকলেও প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেন খোলা ছিল। চুয়াডাঙ্গায় মাধ্যমিক বন্ধ থাকলেও ক্লাস হয়েছে প্রাথমিকে। বরিশালেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। তবে খোলা ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো। প্রচণ্ড শীতের ভেতর শিশু ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসেছে। এ নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

এদিকে শীতের তীব্রতা ও বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে।
জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কোনো লক্ষণ দু-একদিনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, কুয়াশার কারণেই অস্বস্তিকর অবস্থা চলছে। সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে না। এতে দিনের তাপমাত্রা কমছে। কমছে রাতের তাপমাত্রাও। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের কিছু অঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত বাড়লে কুয়াশা কেটে যেতে পারে। কুয়াশা কেটে গেলে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে।

 

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বৃষ্টি আরও বাড়াল মাঘের শীতের দুর্ভোগ

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪

ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি বাড়িয়েছে ঠান্ডার তীব্রতা। সেই সঙ্গে বেড়েছে ভোগান্তি।

বৃহস্পতিবার রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, চুয়াড়াঙ্গা, গোপালগঞ্জ, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে যশোরে ২২ মিলিমিটার এবং চুয়াডাঙ্গায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। নওগাঁসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আরও দু-একদিন এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি দিতে শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা থাকলেও কোথাও মানা হয়েছে, কোথাও হয়নি। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার কয়েকটি জেলা-উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এগুলো হলো কুড়িগ্রাম, নাগেশ্বরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল।

দিনাজপুরে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলেও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস হয়েছে। তবে দুপুর থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পঞ্চগড়ে স্কুল বন্ধের ঘোষণা আসে বেলা ১১টায়। এর মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে চলে আসে। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে নামায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও বৃহস্পতিবার ক্লাস হয়েছে।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মাধ্যমিক স্তরের স্কুল বন্ধ থাকলেও প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেন খোলা ছিল। চুয়াডাঙ্গায় মাধ্যমিক বন্ধ থাকলেও ক্লাস হয়েছে প্রাথমিকে। বরিশালেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। তবে খোলা ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো। প্রচণ্ড শীতের ভেতর শিশু ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসেছে। এ নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

এদিকে শীতের তীব্রতা ও বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে।
জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কোনো লক্ষণ দু-একদিনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, কুয়াশার কারণেই অস্বস্তিকর অবস্থা চলছে। সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে না। এতে দিনের তাপমাত্রা কমছে। কমছে রাতের তাপমাত্রাও। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের কিছু অঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত বাড়লে কুয়াশা কেটে যেতে পারে। কুয়াশা কেটে গেলে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে।

 

Facebook Comments Box