এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে গড় আয়ু ও জন্মহার কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

রবিবার (২৪ মার্চ) বিবিএসের ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মানুষের গড় আয়ু কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৩ বছরে; যা ২০২২ সালে ছিলো ৭২ দশমিক ৪ বছর।

এ ছাড়া, এক বছরের ব্যবধানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। ২০২৩ সালে জনসংখ্যার সাধারণ বৃদ্ধির হার ছিলো ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এর আগে, ২০২২ সালে এই হার ছিলো ১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

বিবিএসের জরিপে জানা গেছে, মৃত্যুর শীর্ষ ১০টি কারণের মধ্যে প্রথম কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু; ১ দশমিক ০২৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ দ্বিতীয় প্রধান কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু, শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ।

বিবিএসের জরিপে বলা হয়েছে, পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স ২৪ দশমিক ২ বছর; আর, নারীদের ক্ষেত্রে ১৮ দশমিক ৪ বছর।

অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের ক্ষেত্রে, গ্রামীণ আগমনের হার প্রতি হাজারে ২০ দশমিক ৪ জন এবং শহুরে আগমনের হার ৪৩ দশমিক ৪ জন।

এছাড়া, শিক্ষা ও কাজ বা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২২ সালে ছিলো ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

জরিপের তথ্য মতে, ২০২৩ সালে ৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশে। তবে ১৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে ২০২২ সালের ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় এ হার কিছুটা বেড়ে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার দেখা গেছে ৫০ দশমিক ১ শতাংশ।

এদিকে, ২০২৩ সালে লিঙ্গ অনুপাত কিছুটা কমে ৯৬ দশমিক ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জরিপে জনসংখ্যার ঘনত্ব পাওয়া গেছে, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,১৭৯ জন। ২০২৩ সালে প্রতি হাজার জনসংখ্যায় মোট জন্মহার ছিলো ১৯ দশমিক ৪; যা ২০২২ সালে ছিলোৈ ১৯.৮।

প্রতি হাজারে স্থূলতায় মৃত্যুর ২০২৩ সালে ছিলো হার ৬ দশমিক ১; যা ২০২২ সালে ছিলো ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৩৩ জন এবং মাতৃ-মৃত্যুর হার প্রতি এক লাখে জীবিত শিশু জন্মদানের ক্ষেত্রে ১৩৬; যা ২০২২ সালে ছিলো ১৫৩ জন।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীর সংখ্যা কিছুটা কমে ২০২৩ সালে ৬২ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; যা ২০২২ সালে ছিলো ৬৩.৩ শতাংশ। ২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালে পরিবারের আকার অপরিবর্তিত ছিলো ৪ দশমিক ২ জন।

তবে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী পরিবার-প্রধানের হার বেড়েছে। ২০২২ সালে এই হার ছিলো ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ; এই হার ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশে। আর, ২০২২ সালে পুরুষ পরিবার-প্রধানের হার ছিলো ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ; ২০২৩ সালে এ হার কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশে।