ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশগামী ট্যুরিস্টরা ফেসবুক প্রতারণার শিকার; অনলাইনে লোভনীয় ট্যুর অফারে ভোগান্তি বাড়ছে পর্যটকদের, সচেতন হওয়ার পরামর্শ

সারাবেলা প্রতিবেদন
  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ৩৫ বার পঠিত

দেশে বিদেশি পর্যটক না বাড়লেও গতি এসেছে অভ্যন্তরীণ পর্যটনে। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়ায় মধ্যবিত্তের বিশাল একটি অংশ এখন সাপ্তাহিক ছুটিতে বা এর সঙ্গে বাড়তি এক-দুই দিনের ছুটি পেলেই পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। আবার অনেকে দেশের বাইরেও যাচ্ছে।

দেশে স্বনির্ভর পর্যটনের কিছু রুচির নির্মাতা থাকায় প্রতি বছর অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মোট তথ্য না থাকলেও বলা যায় এই সংখ্যা বছরে ন্যূনধিক ৩ কোটি। জীবন-জীবিকা নির্বাহের হিসাবে প্রায় ৪০ লাখ পর্যটনকর্মী এই খাতের সমৃদ্ধির পেছনে জড়িয়ে আছে। পাশাপাশি বিদেশগামী পর্যটকের সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। বিদেশ ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি পর্যটকটদের এখন বছরে প্রায় ৩৩ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়। তাছাড়া, বিদেশভ্রমণে যাওয়ার আগে প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে খরচ হয়েছে আরও সাড়ে ৭৫০ কোটি টাকা।

বিদেশ ভ্রমণে বাংলাদেশি পর্যটকরা ডিসেম্বর মাসকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এছাড়া ঈদ পূজারমত বড় সব উৎসবের ছুটিতে বিদেশ ভ্রমণে ছুটছেন বাংলাদেশিরা। অবশ্য গত ১০ বছরে দেশের বাইরে ঈদ করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। গেল বছর অন্তত ছয় লাখ বাংলাদেশি ঈদের ছুটিতে বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন বলে জানা যায় বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি সূত্রে। পর্যটন খাতের এই ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিন সঙ্গে দেশে গড়ে উঠছেন অনেক ভূইঁফোড় ট্যুর অপারেটর সংস্থা। যারা সোস্যাল মিডিয়ার পেইজকে পুঁজি করে লোভনীয় নানা অফারে প্রলুব্ধ করে মানুষ ইদানিং প্রতারণা করছেন। তাদের প্রতারণায় দিন দিন বাড়ছে ভুক্তভোগীর সংখ্যা। এদেরই একজন হৃদিতা নূর। ব্যস্ততার মাঝে দেশের বাইরে অবসর কাটানোর আশায় একটি ট্যুর অপারেটরের ফেসবুক বিজ্ঞাপন দেখে তিনি সেখানে যোগাযোগ করে এখন প্রতারনার শিকার। শুধু হৃদিতা নূরই নন-এর মত অনেকেই ভোগান্তির প্রতিনিয়ত অনলাইন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
এমন সব অভিযোগও থানা পুলিশ কিংবা গোয়েন্দা কার্যালয়ে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, কথিত ট্যুর অপারেটর ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। মূলত তারা কম টাকায় সব ধরনের সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দেয়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য ঢাকার গুলশান, বারিধারা, ধানমণ্ডিসহ অভিজাত এলাকায় অফিস নেয়। এক এলাকায় অফিস খুলে কিছু মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করে অফিস বন্ধ করে দিয়ে গা ঢাকা দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ না হয়ে সঠিক তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ পুলিশ কর্মকর্তার।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বিদেশগামী ট্যুরিস্টরা ফেসবুক প্রতারণার শিকার; অনলাইনে লোভনীয় ট্যুর অফারে ভোগান্তি বাড়ছে পর্যটকদের, সচেতন হওয়ার পরামর্শ

আপডেট সময় : ০৫:৪০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

দেশে বিদেশি পর্যটক না বাড়লেও গতি এসেছে অভ্যন্তরীণ পর্যটনে। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়ায় মধ্যবিত্তের বিশাল একটি অংশ এখন সাপ্তাহিক ছুটিতে বা এর সঙ্গে বাড়তি এক-দুই দিনের ছুটি পেলেই পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। আবার অনেকে দেশের বাইরেও যাচ্ছে।

দেশে স্বনির্ভর পর্যটনের কিছু রুচির নির্মাতা থাকায় প্রতি বছর অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মোট তথ্য না থাকলেও বলা যায় এই সংখ্যা বছরে ন্যূনধিক ৩ কোটি। জীবন-জীবিকা নির্বাহের হিসাবে প্রায় ৪০ লাখ পর্যটনকর্মী এই খাতের সমৃদ্ধির পেছনে জড়িয়ে আছে। পাশাপাশি বিদেশগামী পর্যটকের সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। বিদেশ ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশি পর্যটকটদের এখন বছরে প্রায় ৩৩ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়। তাছাড়া, বিদেশভ্রমণে যাওয়ার আগে প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে খরচ হয়েছে আরও সাড়ে ৭৫০ কোটি টাকা।

বিদেশ ভ্রমণে বাংলাদেশি পর্যটকরা ডিসেম্বর মাসকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এছাড়া ঈদ পূজারমত বড় সব উৎসবের ছুটিতে বিদেশ ভ্রমণে ছুটছেন বাংলাদেশিরা। অবশ্য গত ১০ বছরে দেশের বাইরে ঈদ করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। গেল বছর অন্তত ছয় লাখ বাংলাদেশি ঈদের ছুটিতে বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন বলে জানা যায় বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি সূত্রে। পর্যটন খাতের এই ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিন সঙ্গে দেশে গড়ে উঠছেন অনেক ভূইঁফোড় ট্যুর অপারেটর সংস্থা। যারা সোস্যাল মিডিয়ার পেইজকে পুঁজি করে লোভনীয় নানা অফারে প্রলুব্ধ করে মানুষ ইদানিং প্রতারণা করছেন। তাদের প্রতারণায় দিন দিন বাড়ছে ভুক্তভোগীর সংখ্যা। এদেরই একজন হৃদিতা নূর। ব্যস্ততার মাঝে দেশের বাইরে অবসর কাটানোর আশায় একটি ট্যুর অপারেটরের ফেসবুক বিজ্ঞাপন দেখে তিনি সেখানে যোগাযোগ করে এখন প্রতারনার শিকার। শুধু হৃদিতা নূরই নন-এর মত অনেকেই ভোগান্তির প্রতিনিয়ত অনলাইন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
এমন সব অভিযোগও থানা পুলিশ কিংবা গোয়েন্দা কার্যালয়ে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, কথিত ট্যুর অপারেটর ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। মূলত তারা কম টাকায় সব ধরনের সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দেয়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য ঢাকার গুলশান, বারিধারা, ধানমণ্ডিসহ অভিজাত এলাকায় অফিস নেয়। এক এলাকায় অফিস খুলে কিছু মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করে অফিস বন্ধ করে দিয়ে গা ঢাকা দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ না হয়ে সঠিক তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ পুলিশ কর্মকর্তার।

Facebook Comments Box