ঢাকা ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বাণিজ্য মেলায় বিক্রি ৪০০ কোটি, রফতানি আদেশ ৩৯২ কোটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৮ বার পঠিত

শেষ দিনেও বাণিজ্য মেলায় ছিল ক্রেতাদের ভিড়

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি মেলায় প্রায় ৩৯২ কোটি টাকার রফতানি আদেশ এসেছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় ৩৫ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৯১ কোটি ৮২ লাখ টাকা) পণ্য রফতানির আদেশ এসেছে। মেলায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে।
গতবারের বাণিজ্য মেলায় এক মাসে প্রায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছিল। এ ছাড়া প্রায় ৩০০ কোটি টাকার রফতানি আদেশ পেয়েছিল সেবার। গতবারের তুলনায় এবার মেলায় বিক্রি বেড়েছে চারগুণ।

মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘দেশের ৬৮ হাজার গ্রামের প্রতিটি থেকে কমপক্ষে ১০ জন করে কারিগর তৈরি করতে চাই। এতে ছয় লাখেরও বেশি মানুষের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হবে।’

হস্তশিল্পকে সারা বছর ফোকাস করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাসব্যাপী এই মেলায় লাখো মানুষের মিলনমেলার ক্ষেত্র তৈরি করে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া তিনি বর্ষপণ্য হিসেবে হস্তশিল্পকে ঘোষণা করেছেন। এখানে যারা শিল্পী ও কারিগর রয়েছেন সবাইকে তিনি ধারণ করেন। আমাদের পরিকল্পনা আছে হস্তশিল্পকে সারা বছর ফোকাস করা।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, মেলার পরিচালক বিবেক সরকার।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, ২১ জানুয়ারি পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের আসরে স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি। মেলায় মোট ৩০৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছাড়াও পাঁচটি দেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়। দেশগুলো হলো ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর।

এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট ও স্টলে বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস, ইলেক্ট্রনিকস, ফার্নিচার, পাটজাত পণ্য, গৃহসজ্জা ও গৃহস্থালি সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, খেলার সামগ্রী, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্যসহ নানা পণ্য প্রদর্শন করা হয়।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বাণিজ্য মেলায় বিক্রি ৪০০ কোটি, রফতানি আদেশ ৩৯২ কোটি

আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি মেলায় প্রায় ৩৯২ কোটি টাকার রফতানি আদেশ এসেছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় ৩৫ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৯১ কোটি ৮২ লাখ টাকা) পণ্য রফতানির আদেশ এসেছে। মেলায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে।
গতবারের বাণিজ্য মেলায় এক মাসে প্রায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছিল। এ ছাড়া প্রায় ৩০০ কোটি টাকার রফতানি আদেশ পেয়েছিল সেবার। গতবারের তুলনায় এবার মেলায় বিক্রি বেড়েছে চারগুণ।

মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘দেশের ৬৮ হাজার গ্রামের প্রতিটি থেকে কমপক্ষে ১০ জন করে কারিগর তৈরি করতে চাই। এতে ছয় লাখেরও বেশি মানুষের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হবে।’

হস্তশিল্পকে সারা বছর ফোকাস করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাসব্যাপী এই মেলায় লাখো মানুষের মিলনমেলার ক্ষেত্র তৈরি করে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া তিনি বর্ষপণ্য হিসেবে হস্তশিল্পকে ঘোষণা করেছেন। এখানে যারা শিল্পী ও কারিগর রয়েছেন সবাইকে তিনি ধারণ করেন। আমাদের পরিকল্পনা আছে হস্তশিল্পকে সারা বছর ফোকাস করা।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, মেলার পরিচালক বিবেক সরকার।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, ২১ জানুয়ারি পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের আসরে স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি। মেলায় মোট ৩০৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছাড়াও পাঁচটি দেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়। দেশগুলো হলো ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর।

এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট ও স্টলে বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস, ইলেক্ট্রনিকস, ফার্নিচার, পাটজাত পণ্য, গৃহসজ্জা ও গৃহস্থালি সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, খেলার সামগ্রী, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্যসহ নানা পণ্য প্রদর্শন করা হয়।

Facebook Comments Box