ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বাড়তি দামেই মুরগি, বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১ বার পঠিত

ঢাকা : ঈদের আগেই কয়েক দফা বাড়ে মুরগির দাম। যার প্রভাব এখনো রয়েই গেছে বাজারে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়। ঈদের আগে কিছুটা কম থাকলেও পরে বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২২০-২৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের কয়েক দিন আগেও যা ২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। এছাড়াও সোনালি ৩৩০-৩৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি লাল ৩২০-৩৩০, সাদা ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকার উপরে।

এদিকে ঈদের পরপরই বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। যদিও বাজারে যোগান বেশি, চাহিদা কম। তারপরও রাজধানীর বিভিন্ন বাজার আড়তে দেশি পেঁয়াজের পাইকারি দাম ওঠা-নামা করছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা দরে। পাড়া-মহল্লার দোকানে এরই মধ্যে দর ৬০ টাকা ছাড়িয়েছে। পেঁয়াজ পাবনার হলে দর আরও বেশি। অথচ মাত্রই শুরু হলো দেশি পেঁয়াজের ভরা মৌসুম।

ব্যবসায়ীদের যুক্তি, ভারতের রফতানি বন্ধের সুযোগ নিচ্ছে অসাধু চক্র। প্রান্তিকে কৃষকের সব পেঁয়াজ এক সাথে কিনে স্টক হিসেবে সংরক্ষণ করছেন বড় বেনিয়ারা। সামনে দাম নিয়ন্ত্রণ করবেন তারাই। অনিয়ম এখনই না থামালে সামনে আরও বাড়বে পেঁয়াজের দর।

যদিও বিশ্বের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশ। তবে, আমদানিতেও পিছিয়ে নেই। প্রতি বছর ভরা মৌসুমে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ পণ্য নষ্ট হওয়ার কারণে প্রতিবেশী ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আপাতত বেসরকারি খাতে সে সুযোগ নেই। তাতেই পাবনার পাইকারি হাটে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকার আশপাশে।

উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, গত ১০ বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১৫ লাখ টন।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বাড়তি দামেই মুরগি, বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

আপডেট সময় : ০২:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকা : ঈদের আগেই কয়েক দফা বাড়ে মুরগির দাম। যার প্রভাব এখনো রয়েই গেছে বাজারে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়। ঈদের আগে কিছুটা কম থাকলেও পরে বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২২০-২৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের কয়েক দিন আগেও যা ২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। এছাড়াও সোনালি ৩৩০-৩৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি লাল ৩২০-৩৩০, সাদা ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকার উপরে।

এদিকে ঈদের পরপরই বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। যদিও বাজারে যোগান বেশি, চাহিদা কম। তারপরও রাজধানীর বিভিন্ন বাজার আড়তে দেশি পেঁয়াজের পাইকারি দাম ওঠা-নামা করছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা দরে। পাড়া-মহল্লার দোকানে এরই মধ্যে দর ৬০ টাকা ছাড়িয়েছে। পেঁয়াজ পাবনার হলে দর আরও বেশি। অথচ মাত্রই শুরু হলো দেশি পেঁয়াজের ভরা মৌসুম।

ব্যবসায়ীদের যুক্তি, ভারতের রফতানি বন্ধের সুযোগ নিচ্ছে অসাধু চক্র। প্রান্তিকে কৃষকের সব পেঁয়াজ এক সাথে কিনে স্টক হিসেবে সংরক্ষণ করছেন বড় বেনিয়ারা। সামনে দাম নিয়ন্ত্রণ করবেন তারাই। অনিয়ম এখনই না থামালে সামনে আরও বাড়বে পেঁয়াজের দর।

যদিও বিশ্বের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশ। তবে, আমদানিতেও পিছিয়ে নেই। প্রতি বছর ভরা মৌসুমে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ পণ্য নষ্ট হওয়ার কারণে প্রতিবেশী ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আপাতত বেসরকারি খাতে সে সুযোগ নেই। তাতেই পাবনার পাইকারি হাটে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকার আশপাশে।

উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, গত ১০ বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১৫ লাখ টন।

Facebook Comments Box