ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে নারী কর্মসংস্থানের হার ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪ ৫৩ বার পঠিত

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে, ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে, নারীদের কর্মসংস্থান বেড়েছে এক হাজার ৪০৭ টি। ব্যাংকগুলোতে এখন নারীদের কর্মসংস্থানের হার ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর, পরিচালনা পর্ষদে এই হার ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।

লিঙ্গ সমতা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬১ টি ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৪৬ জন; এই সংখ্যা ব্যাংকগুলোর মোট কর্মীর ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালে তফসিলি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ২২ হাজার ২৪৮ জন। এই সংখ্যা মোট কর্মীর ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মকর্তার অনুপাত সবচেয়ে বেশি; ২৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।

গত ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বোর্ড সদস্য হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ ছিলো ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। এর মধ্যে বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বোর্ডে নারীদের অংশগ্রহণের হার ১৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

উল্লিখিত সময়ে, বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নারী সদস্য নেই বলে প্রতিবেদনে দেখা গেছে।

ব্যাংকগুলোর জমা দেয়া প্রতিবেদন অনুসারে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, নারী কর্মীদের অংশগ্রহণের হার ছিলো; চাকরির প্রাথমিক পর্যায়ে ১৭ দশমিক ০৪ শতাংশ, মাঝারি পর্যায়ে ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং উচ্চ পর্যায়ে ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাংকিং খাতে নারীর অংশগ্রহণ বেশি।বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ৩০ বছরের কম বয়সী নারী কর্মীদের অংশগ্রহণের হার ২০ দশমিক ৯৯ শতাংশ। সরকারি ব্যাংকগুলোতে এই হার অর্ধেকের কম।

গত ২০২৩ সালে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের অবস্থান ১২ ধাপ এগিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে, লিঙ্গ বৈষম্য বিবেচনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশর অবস্থান ছিলো ৭১তম। আর, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ৫৯তম।

সিডিপির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সাধারণ ভাবে নারীর কর্মসংস্থান বাড়ছে; তবে নারীর কর্মসংস্থানের অনুপাত কমার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের মিল নেই।

ব্যাংকিং খাতে নারীর কর্মসংস্থানের অনুপাত কেন কমছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গ বৈষম্য কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যাংকিং খাতে নারীর কর্মসংস্থান বেড়েছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন, উভয় ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেয় বলে জানান তিনি।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে নারী কর্মসংস্থানের হার ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ

আপডেট সময় : ১১:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে, ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে, নারীদের কর্মসংস্থান বেড়েছে এক হাজার ৪০৭ টি। ব্যাংকগুলোতে এখন নারীদের কর্মসংস্থানের হার ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর, পরিচালনা পর্ষদে এই হার ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।

লিঙ্গ সমতা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬১ টি ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৪৬ জন; এই সংখ্যা ব্যাংকগুলোর মোট কর্মীর ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালে তফসিলি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ২২ হাজার ২৪৮ জন। এই সংখ্যা মোট কর্মীর ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মকর্তার অনুপাত সবচেয়ে বেশি; ২৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।

গত ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বোর্ড সদস্য হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ ছিলো ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। এর মধ্যে বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বোর্ডে নারীদের অংশগ্রহণের হার ১৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

উল্লিখিত সময়ে, বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নারী সদস্য নেই বলে প্রতিবেদনে দেখা গেছে।

ব্যাংকগুলোর জমা দেয়া প্রতিবেদন অনুসারে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, নারী কর্মীদের অংশগ্রহণের হার ছিলো; চাকরির প্রাথমিক পর্যায়ে ১৭ দশমিক ০৪ শতাংশ, মাঝারি পর্যায়ে ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং উচ্চ পর্যায়ে ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাংকিং খাতে নারীর অংশগ্রহণ বেশি।বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ৩০ বছরের কম বয়সী নারী কর্মীদের অংশগ্রহণের হার ২০ দশমিক ৯৯ শতাংশ। সরকারি ব্যাংকগুলোতে এই হার অর্ধেকের কম।

গত ২০২৩ সালে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের অবস্থান ১২ ধাপ এগিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে, লিঙ্গ বৈষম্য বিবেচনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশর অবস্থান ছিলো ৭১তম। আর, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ৫৯তম।

সিডিপির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সাধারণ ভাবে নারীর কর্মসংস্থান বাড়ছে; তবে নারীর কর্মসংস্থানের অনুপাত কমার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের মিল নেই।

ব্যাংকিং খাতে নারীর কর্মসংস্থানের অনুপাত কেন কমছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গ বৈষম্য কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যাংকিং খাতে নারীর কর্মসংস্থান বেড়েছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন, উভয় ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেয় বলে জানান তিনি।

Facebook Comments Box