ঢাকা ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ এখন ১৫৮২ কোটি ডলার

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ৮৬ বার পঠিত

প্রতীকী ছবি

আইএমএফের গাইডলাইন অনুযায়ী হিসাব মতে, বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ এখন ১৫৮২ কোটি (১৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন) ডলার। মঙ্গলবার(২৮ নভেম্বর) ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

দুই বছর আগে কোভিড-১৯ মহামারীর সময় আমদানি রপ্তানির চাহিদা কমে যাওয়ায়, রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন (৪৮০০ কোটি) ডলারে উন্নীত হয়েছিলো। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং আমদানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পর থেকে কমতে শুরু করে বাংলাদেশের ডলারের মজুদ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রা রপ্তানি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএমএফের নির্দেশিকা (ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল) বা বিপিএম-৬ এর আলোকে ২৩ নভেম্বর দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে, ১৯৫২ কোটি (১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন) ডলারে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, নিট রিজার্ভ মোট রিজার্ভের পরিমাণের চেয়ে ৩৭০ কোটি (৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন) ডলার কম হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, “রিজার্ভ হিসাবে, বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিদিন ব্যয় ও জমা হয়।” বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ার খবরে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, “এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।”

জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা বিপিএম-৬ এর প্রস্তাবিত একটি নির্দেশিকা বা সূত্র অনুযায়ী বৈদেশিক রিজার্ভ গণনা শুরু করে বাংলাদেশ। নতুন হিসাব অনুযায়ী, সে সময় দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ২৬৪৪ কোটি (২৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন) ডলার থেকে কমে, ২৩৫৬ কোটি (২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন) ডলারে দাঁড়ায়।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ এখন ১৫৮২ কোটি ডলার

আপডেট সময় : ১০:৩১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

আইএমএফের গাইডলাইন অনুযায়ী হিসাব মতে, বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ এখন ১৫৮২ কোটি (১৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন) ডলার। মঙ্গলবার(২৮ নভেম্বর) ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

দুই বছর আগে কোভিড-১৯ মহামারীর সময় আমদানি রপ্তানির চাহিদা কমে যাওয়ায়, রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন (৪৮০০ কোটি) ডলারে উন্নীত হয়েছিলো। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং আমদানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পর থেকে কমতে শুরু করে বাংলাদেশের ডলারের মজুদ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রা রপ্তানি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএমএফের নির্দেশিকা (ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল) বা বিপিএম-৬ এর আলোকে ২৩ নভেম্বর দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে, ১৯৫২ কোটি (১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন) ডলারে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, নিট রিজার্ভ মোট রিজার্ভের পরিমাণের চেয়ে ৩৭০ কোটি (৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন) ডলার কম হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, “রিজার্ভ হিসাবে, বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিদিন ব্যয় ও জমা হয়।” বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ার খবরে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, “এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।”

জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা বিপিএম-৬ এর প্রস্তাবিত একটি নির্দেশিকা বা সূত্র অনুযায়ী বৈদেশিক রিজার্ভ গণনা শুরু করে বাংলাদেশ। নতুন হিসাব অনুযায়ী, সে সময় দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ২৬৪৪ কোটি (২৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন) ডলার থেকে কমে, ২৩৫৬ কোটি (২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন) ডলারে দাঁড়ায়।

Facebook Comments Box