ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

বাংলাদেশের বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:২০:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ ৩১ বার পঠিত

দেশের বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া পরিশোধের জন্য বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে টাকার ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ সরকার। এ লক্ষ্যে সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের সঙ্গে বন্ডবিষয়ক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ খাতের আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সমন্বিত এ চুক্তি সই করা হয়। সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার বন্ড চুক্তি করে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ভর্তুকির টাকা দিতে পারছিল না সরকার। এ কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও দেনা শোধ করতে পারছিল না। ফলে কোনো কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছিল। এ সংকট মোকাবিলায় সরকার ৮ শতাংশ হারে স্পেশাল বন্ড ইস্যু করছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত রেপো রেটের সমান। ভবিষ্যতে রেপো হারের যেকোনো উত্থান-পতনের সঙ্গে একইভাবে বন্ডের সুদের হার সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে। মেয়াদ শেষে সরকার সুদসহ ব্যাংকের পাওনা মিটিয়ে দেবে এবং পরে এসব বন্ড পুনরুদ্ধার করবে। সাধারণ ১৫-২০ বছর মেয়াদি বন্ডের বিপরীতে, এই বিশেষ বন্ডগুলোর সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০ বছর। বিদ্যুৎ খাতের জরুরি প্রয়োজনেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন ও অ্যাক্রন পাওয়ারসহ বিদ্যুৎ খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা পরিশোধ করা হবে এই অর্থের মাধ্যমে। অর্থ বিভাগ এ খাতের বকেয়া আরও নিরসনে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়াসহ অন্য ব্যাংকের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে চুক্তির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে। চুক্তির গুরুত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা আশাবাদী।

দেশের বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া পরিশোধের জন্য বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে টাকার ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ সরকার। এ লক্ষ্যে সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের সঙ্গে বন্ডবিষয়ক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ খাতের আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সমন্বিত এ চুক্তি সই করা হয়। সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার বন্ড চুক্তি করে সরকার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ভর্তুকির টাকা দিতে পারছিল না সরকার। এ কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও দেনা শোধ করতে পারছিল না। ফলে কোনো কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছিল।

এ সংকট মোকাবিলায় সরকার ৮ শতাংশ হারে স্পেশাল বন্ড ইস্যু করছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত রেপো রেটের সমান। ভবিষ্যতে রেপো হারের যেকোনো উত্থান-পতনের সঙ্গে একইভাবে বন্ডের সুদের হার সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে।

মেয়াদ শেষে সরকার সুদসহ ব্যাংকের পাওনা মিটিয়ে দেবে এবং পরে এসব বন্ড পুনরুদ্ধার করবে। সাধারণ ১৫-২০ বছর মেয়াদি বন্ডের বিপরীতে, এই বিশেষ বন্ডগুলোর সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০ বছর। বিদ্যুৎ খাতের জরুরি প্রয়োজনেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন ও অ্যাক্রন পাওয়ারসহ বিদ্যুৎ খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা পরিশোধ করা হবে এই অর্থের মাধ্যমে। অর্থ বিভাগ এ খাতের বকেয়া আরও নিরসনে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়াসহ অন্য ব্যাংকের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে চুক্তির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে।

চুক্তির গুরুত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা আশাবাদী।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বাংলাদেশের বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই

আপডেট সময় : ১০:২০:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

দেশের বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া পরিশোধের জন্য বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে টাকার ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ সরকার। এ লক্ষ্যে সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের সঙ্গে বন্ডবিষয়ক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ খাতের আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সমন্বিত এ চুক্তি সই করা হয়। সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার বন্ড চুক্তি করে সরকার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ভর্তুকির টাকা দিতে পারছিল না সরকার। এ কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও দেনা শোধ করতে পারছিল না। ফলে কোনো কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছিল।

এ সংকট মোকাবিলায় সরকার ৮ শতাংশ হারে স্পেশাল বন্ড ইস্যু করছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত রেপো রেটের সমান। ভবিষ্যতে রেপো হারের যেকোনো উত্থান-পতনের সঙ্গে একইভাবে বন্ডের সুদের হার সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে।

মেয়াদ শেষে সরকার সুদসহ ব্যাংকের পাওনা মিটিয়ে দেবে এবং পরে এসব বন্ড পুনরুদ্ধার করবে। সাধারণ ১৫-২০ বছর মেয়াদি বন্ডের বিপরীতে, এই বিশেষ বন্ডগুলোর সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০ বছর। বিদ্যুৎ খাতের জরুরি প্রয়োজনেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন ও অ্যাক্রন পাওয়ারসহ বিদ্যুৎ খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা পরিশোধ করা হবে এই অর্থের মাধ্যমে। অর্থ বিভাগ এ খাতের বকেয়া আরও নিরসনে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়াসহ অন্য ব্যাংকের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে চুক্তির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে।

চুক্তির গুরুত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা আশাবাদী।

Facebook Comments Box