ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে দোকান দখল নিয়ে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত

শাহজাদপুর (সিরাজগন্জ) প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪ ১১ বার পঠিত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় আধিপত্য ও বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দোকান দখল নিয়ে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গালা ইউনিয়নের চর বর্ণিয়া গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর একটি মুদি দোকান দখল, পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ঘণ্টাব্যাপী দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এ সময় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে সায়েম গ্রুপের মো. সাানোয়ার ফকির (৪০) নামের ১ জন নিহত ও উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে।

নিহত সানোয়ার ফকির ওই গ্রামের বক্স ফকিরের ছেলে। তিনি ৫ সন্তানের জনক ছিলেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,এদিন সকালে শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের চর বর্ণিয়া গ্রামের আখের, মতিন, হামিদ গ্রুপের সাথে সায়েম ও মনি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। মঙ্গলবার সকালে উভয়পক্ষ হাঁসুয়া, রামদা, ফালা, টেঁটা, বল্লম, লাঠি, লোহার রড, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু করে।

এ বিষয়ে গালা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস আলী জানান, সকালে সায়েম গ্রুপের ও আখের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। খবর আমি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।

এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পালিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন গ্রামে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই এখনও মামলা করতে আসেনি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ জুন এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনুস আলী নামের এক কিশোর নিহত হয়। এরপর থেকে চর বর্ণিয়া গ্রামের মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সম্প্রতি তারা বাড়ি ফিরে আসায় আবারো এই হামলা, সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনা ঘটল।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে দোকান দখল নিয়ে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত

আপডেট সময় : ১২:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় আধিপত্য ও বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দোকান দখল নিয়ে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গালা ইউনিয়নের চর বর্ণিয়া গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর একটি মুদি দোকান দখল, পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ঘণ্টাব্যাপী দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এ সময় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে সায়েম গ্রুপের মো. সাানোয়ার ফকির (৪০) নামের ১ জন নিহত ও উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে।

নিহত সানোয়ার ফকির ওই গ্রামের বক্স ফকিরের ছেলে। তিনি ৫ সন্তানের জনক ছিলেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,এদিন সকালে শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের চর বর্ণিয়া গ্রামের আখের, মতিন, হামিদ গ্রুপের সাথে সায়েম ও মনি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। মঙ্গলবার সকালে উভয়পক্ষ হাঁসুয়া, রামদা, ফালা, টেঁটা, বল্লম, লাঠি, লোহার রড, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু করে।

এ বিষয়ে গালা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস আলী জানান, সকালে সায়েম গ্রুপের ও আখের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। খবর আমি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।

এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পালিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন গ্রামে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই এখনও মামলা করতে আসেনি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ জুন এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনুস আলী নামের এক কিশোর নিহত হয়। এরপর থেকে চর বর্ণিয়া গ্রামের মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সম্প্রতি তারা বাড়ি ফিরে আসায় আবারো এই হামলা, সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনা ঘটল।

Facebook Comments Box