ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা ! পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি পরিবারের

কুষ্টিয়া প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:২৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০১ বার পঠিত

কুষ্টিয়া :ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তারিন সুলতানা (২৭) নামে এক গৃহবধূ। আজ বুধবার ( ৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় নিজ ঘরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। ওই গৃহবধূর নাম তারিন। তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার বেতবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে। ব্যবসায়ী স্বামী নবীন হোসেনের সঙ্গে কোর্টপাড়া এলাকার কাজী নজরুল ইসলাম লেনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। মৃত্যুর আগে তারিন তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘আমার শেষ ইচ্ছা আমার মৃত্যুর পরে আমার মুখ আমার মা-বাবা এবং আমার হাসবেন্ডকে না দেখানো হোক। এবং আমার লাশ আমার মা-বাবার বাড়িতে না নিয়ে আমার দাদী বাড়ি নিয়ে আমার শেষ কাজটুকু করে আমার দাদীর কাছে আমার কবর দেয়া হোক।’

এর আগে মা ও মেয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে আরও দুটি ফেসবুক পোস্ট দেন তারিন। নিহত তারিনের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, আড়াই বছর আগে নবীন হোসেনের সঙ্গে তারিনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের এক বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে। তারিন একজন আত্মনির্ভরশীল |

কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় নিজ ঘরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। ওই গৃহবধূর নাম তারিন। তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার বেতবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে। স্বামী ব্যবসায়ী নবীন হোসেনের সঙ্গে কোর্টপাড়া এলাকার কাজী নজরুল ইসলাম লেনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

মৃত্যুর আগে তারিন তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘আমার শেষ ইচ্ছা আমার মৃত্যুর পরে আমার মুখ আমার মা-বাবা এবং আমার হাসবেন্ডকে না দেখানো হোক। এবং আমার লাশ আমার মা-বাবার বাড়িতে না নিয়ে আমার দাদী বাড়ি নিয়ে আমার শেষ কাজটুকু করে আমার দাদীর কাছে আমার কবর দেয়া হোক।’

এর আগে মা ও মেয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে আরও দুটি ফেসবুক পোস্ট দেন তারিন। নিহত তারিনের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, আড়াই বছর আগে নবীন হোসেনের সঙ্গে তারিনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের এক বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে।

তারিন একজন আত্মনির্ভরশীল মেয়ে ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি চিত্রাংকনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর পারদর্শিতা ছিল। ‘তাইয়িবা’ নামে একটি অনলাইন বুটিক ফ্যাশন হাউস চালাতেন তিনি। ঘটনার সময় তারিন ও তার মেয়ে বাড়িতে একা ছিলেন। দুপুরের কোনো এক সময় তিনি নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে দড়ি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন।

পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে পুলিশকে খবর  দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তারিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত তারিনের ভাই ডেনমার্ক প্রবাসী মাহবুবুর রহমান তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘আজ সকালে তারিনকে তার স্বামী নবিন হত্যা করে ঘড়ের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখেছে। এর আগেও অনেকবার তার উপর তার স্বামী নবীন পাশবিক অত্যাচার করেছে। আমি নিশ্চিত ময়নাতদন্তে তারিনের উপর অত্যাচারের নিশানা পাওয়া যাবে। আমি ও আমার পরিবার এই হত্যার বিচার চাই।’ নিহত তারিনের চাচা মাসুদ রানা জানান, নবীন প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল তারিনকে। তাঁকে হত্যা করে নবীন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন,  ধারণা করা হচ্ছে-হতাশায় ওই নারী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা জানা যাবে। ওসি জানান, তারিনের স্বামী নবীন পলাতক। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করা হবে।

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/৬সেপ্টম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা ! পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি পরিবারের

আপডেট সময় : ১২:২৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুষ্টিয়া :ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তারিন সুলতানা (২৭) নামে এক গৃহবধূ। আজ বুধবার ( ৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় নিজ ঘরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। ওই গৃহবধূর নাম তারিন। তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার বেতবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে। ব্যবসায়ী স্বামী নবীন হোসেনের সঙ্গে কোর্টপাড়া এলাকার কাজী নজরুল ইসলাম লেনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। মৃত্যুর আগে তারিন তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘আমার শেষ ইচ্ছা আমার মৃত্যুর পরে আমার মুখ আমার মা-বাবা এবং আমার হাসবেন্ডকে না দেখানো হোক। এবং আমার লাশ আমার মা-বাবার বাড়িতে না নিয়ে আমার দাদী বাড়ি নিয়ে আমার শেষ কাজটুকু করে আমার দাদীর কাছে আমার কবর দেয়া হোক।’

এর আগে মা ও মেয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে আরও দুটি ফেসবুক পোস্ট দেন তারিন। নিহত তারিনের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, আড়াই বছর আগে নবীন হোসেনের সঙ্গে তারিনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের এক বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে। তারিন একজন আত্মনির্ভরশীল |

কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় নিজ ঘরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। ওই গৃহবধূর নাম তারিন। তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার বেতবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে। স্বামী ব্যবসায়ী নবীন হোসেনের সঙ্গে কোর্টপাড়া এলাকার কাজী নজরুল ইসলাম লেনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

মৃত্যুর আগে তারিন তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘আমার শেষ ইচ্ছা আমার মৃত্যুর পরে আমার মুখ আমার মা-বাবা এবং আমার হাসবেন্ডকে না দেখানো হোক। এবং আমার লাশ আমার মা-বাবার বাড়িতে না নিয়ে আমার দাদী বাড়ি নিয়ে আমার শেষ কাজটুকু করে আমার দাদীর কাছে আমার কবর দেয়া হোক।’

এর আগে মা ও মেয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে আরও দুটি ফেসবুক পোস্ট দেন তারিন। নিহত তারিনের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, আড়াই বছর আগে নবীন হোসেনের সঙ্গে তারিনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের এক বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে।

তারিন একজন আত্মনির্ভরশীল মেয়ে ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি চিত্রাংকনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর পারদর্শিতা ছিল। ‘তাইয়িবা’ নামে একটি অনলাইন বুটিক ফ্যাশন হাউস চালাতেন তিনি। ঘটনার সময় তারিন ও তার মেয়ে বাড়িতে একা ছিলেন। দুপুরের কোনো এক সময় তিনি নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে দড়ি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন।

পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে পুলিশকে খবর  দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তারিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত তারিনের ভাই ডেনমার্ক প্রবাসী মাহবুবুর রহমান তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘আজ সকালে তারিনকে তার স্বামী নবিন হত্যা করে ঘড়ের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখেছে। এর আগেও অনেকবার তার উপর তার স্বামী নবীন পাশবিক অত্যাচার করেছে। আমি নিশ্চিত ময়নাতদন্তে তারিনের উপর অত্যাচারের নিশানা পাওয়া যাবে। আমি ও আমার পরিবার এই হত্যার বিচার চাই।’ নিহত তারিনের চাচা মাসুদ রানা জানান, নবীন প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল তারিনকে। তাঁকে হত্যা করে নবীন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন,  ধারণা করা হচ্ছে-হতাশায় ওই নারী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা জানা যাবে। ওসি জানান, তারিনের স্বামী নবীন পলাতক। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করা হবে।

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/৬সেপ্টম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box