ঢাকা ০৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলকপি চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ৯৬ বার পঠিত

চলতি মৌসুমে অধিক লাভের আশায় ফুলকপি চাষাবাদ করেছেন বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর বড়দহ গ্রামের আবুল হোসেন। সঠিক সময়ে যত্ন নেয়া ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে তাঁর। আগাম জাতের এ সবজি চাষ করে দাম বেশি পাওয়ায় তার চোখেমুখে হাসির ঝিলিক লক্ষ্য করা গেছে। তার এই চাষাবাদ দেখে ওই ইউনিয়ন এর প্রায় ২০ কৃষক ঝুকে পড়েছেন এই আবাদে। তাদের মতে, শুধু বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর চাষাবাদে সৈয়দপুরের চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলার হাট বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব।

কৃষক আবুল হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে ৪ একর জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ করেছেন। এরমধ্যে প্রায় ২ একর জমির ফুলকপি বাজারে বিক্রি করেছেন। এতে খরচ থেকে ৩ গুন লাভ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাকি জমির ফুলকপি বিক্রি করে যথেষ্ট লাভবান হবেন। তিনি আরো বলেন,কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আগাম জাতের ফুলকপি বা বাধাকপির চাষাবাদ করলে সব কৃষকই লাভবান হবেন।

ওই ইউনিয়ন এর আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান,আবুল হোসেনের চাষাবাদ দেখে তিনি ৩ একর জমিতে ফুলকপি, ২ একর জমিতে বাধাকপি ও ১ একর জমিতে ছিমের চাষাবাদ করেছেন।গত মৌসুমে চাষাবাদ করে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে, বর্তমান মৌসুমে তার কয়েকগুন বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তিনি। ভরা মৌসুমে এসব সবজির চাষাবাদ করলে বাজারে দাম তেমন একটা পাওয়া যায় না বলেই এবারে আগাম চাষাবাদ করেছেন বলে জানান।

 সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে কথা হয় সবজি বিক্রেতা আলমগীর কবির এর সাথে, তিনি বলেন, সৈয়দপুরের বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। ভাল মানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। টমেটো ১৩০ টাকা, মুলাও বাঁধাকপি ৬০ টাকা ও সিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। এসব সবজি আগাম চাষাবাদ করে বাজারে উঠার কারনেই দাম চড়া। তবে মাসখানেক পর দাম এমনটা থাকবে না বলে জানান তিনি।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন,সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন ও বাংগালীপুর ইউনিয়নে সবজির আগাম চাষাবাদ হয়। এই দুই ইউনিয়ন এর কৃষকদের চাষাবাদের কারনে সৈয়দপুরের চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে তা সরবরাহ করা হয়। উপজেলার সব ইউনিয়ন এর কৃষকরা যদি কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ মতে চাষাবাদ করেন তাহলে কোন কৃষকই লোকসানের কবলে পরবেন না। ২/৪ বছরেই তাঁরা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হবেন বলে জানান তিনি।

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ৩১ অক্টোবর ২০২৩

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

ফুলকপি চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় : ০৩:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

চলতি মৌসুমে অধিক লাভের আশায় ফুলকপি চাষাবাদ করেছেন বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর বড়দহ গ্রামের আবুল হোসেন। সঠিক সময়ে যত্ন নেয়া ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে তাঁর। আগাম জাতের এ সবজি চাষ করে দাম বেশি পাওয়ায় তার চোখেমুখে হাসির ঝিলিক লক্ষ্য করা গেছে। তার এই চাষাবাদ দেখে ওই ইউনিয়ন এর প্রায় ২০ কৃষক ঝুকে পড়েছেন এই আবাদে। তাদের মতে, শুধু বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর চাষাবাদে সৈয়দপুরের চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলার হাট বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব।

কৃষক আবুল হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে ৪ একর জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ করেছেন। এরমধ্যে প্রায় ২ একর জমির ফুলকপি বাজারে বিক্রি করেছেন। এতে খরচ থেকে ৩ গুন লাভ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাকি জমির ফুলকপি বিক্রি করে যথেষ্ট লাভবান হবেন। তিনি আরো বলেন,কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আগাম জাতের ফুলকপি বা বাধাকপির চাষাবাদ করলে সব কৃষকই লাভবান হবেন।

ওই ইউনিয়ন এর আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান,আবুল হোসেনের চাষাবাদ দেখে তিনি ৩ একর জমিতে ফুলকপি, ২ একর জমিতে বাধাকপি ও ১ একর জমিতে ছিমের চাষাবাদ করেছেন।গত মৌসুমে চাষাবাদ করে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে, বর্তমান মৌসুমে তার কয়েকগুন বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তিনি। ভরা মৌসুমে এসব সবজির চাষাবাদ করলে বাজারে দাম তেমন একটা পাওয়া যায় না বলেই এবারে আগাম চাষাবাদ করেছেন বলে জানান।

 সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে কথা হয় সবজি বিক্রেতা আলমগীর কবির এর সাথে, তিনি বলেন, সৈয়দপুরের বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। ভাল মানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। টমেটো ১৩০ টাকা, মুলাও বাঁধাকপি ৬০ টাকা ও সিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। এসব সবজি আগাম চাষাবাদ করে বাজারে উঠার কারনেই দাম চড়া। তবে মাসখানেক পর দাম এমনটা থাকবে না বলে জানান তিনি।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন,সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন ও বাংগালীপুর ইউনিয়নে সবজির আগাম চাষাবাদ হয়। এই দুই ইউনিয়ন এর কৃষকদের চাষাবাদের কারনে সৈয়দপুরের চাহিদা মিটিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে তা সরবরাহ করা হয়। উপজেলার সব ইউনিয়ন এর কৃষকরা যদি কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ মতে চাষাবাদ করেন তাহলে কোন কৃষকই লোকসানের কবলে পরবেন না। ২/৪ বছরেই তাঁরা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হবেন বলে জানান তিনি।

সারাবেলার সংবাদ/ এমএএইচ/ ৩১ অক্টোবর ২০২৩

Facebook Comments Box