ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

প্রাথমিকে ভাইভা চলবে, তবে তদন্তের আগে ফল প্রকাশ হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ১৭ বার পঠিত

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ সংশোধন করে আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। ফলে এ ৪৬ হাজার শিক্ষকের মৌখিক পরীক্ষা নিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
তবে প্রশ্নফাঁসের ঘটনার তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) যুক্ত করতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দীন আহমেদ আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ (এসকে) মুর্শেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দীন আহমেদ। অন্যদিকে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক ও অ্যাডভোকেট লিটন আহমেদ।
শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী মুনতাসির উদ্দীন আহমেদ জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে আর কোনো বাধা নেই। তবে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় হাইকোর্টের দেওয়া তদন্ত আদেশ চলবে। একই সঙ্গে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করার আগ পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ করতে পারবে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মৌখিক পরীক্ষা (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরীক্ষা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
এছাড়া প্রশ্নফাঁসমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দায়ের করা রিটের বিষয়ে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট পিয়া জান্নাতুল, অ্যাডভোকেট লিটন আহমেদ ও ব্যারিস্টার খুররম খান মুরাদ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি দাস, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

প্রাথমিকে ভাইভা চলবে, তবে তদন্তের আগে ফল প্রকাশ হবে না

আপডেট সময় : ১১:০৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ সংশোধন করে আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। ফলে এ ৪৬ হাজার শিক্ষকের মৌখিক পরীক্ষা নিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
তবে প্রশ্নফাঁসের ঘটনার তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) যুক্ত করতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দীন আহমেদ আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ (এসকে) মুর্শেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দীন আহমেদ। অন্যদিকে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক ও অ্যাডভোকেট লিটন আহমেদ।
শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী মুনতাসির উদ্দীন আহমেদ জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে আর কোনো বাধা নেই। তবে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় হাইকোর্টের দেওয়া তদন্ত আদেশ চলবে। একই সঙ্গে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করার আগ পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ করতে পারবে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মৌখিক পরীক্ষা (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরীক্ষা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
এছাড়া প্রশ্নফাঁসমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দায়ের করা রিটের বিষয়ে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট পিয়া জান্নাতুল, অ্যাডভোকেট লিটন আহমেদ ও ব্যারিস্টার খুররম খান মুরাদ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি দাস, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।

Facebook Comments Box