ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪ ৯ বার পঠিত

বাংলাদেশের এমন কোনো কারাগার নেই যেখানে দলের নেতাকর্মীরা বন্দি নেই। এই আটকও একটি বাণিজ্য। ধরে আনতে পারলে বাণিজ্য। আত্মীয়-স্বজনরা দেখা করতে গেলে টাকা, খাবার দিতে গেলে টাকা, রিমান্ড না নেওয়া জন্য টাকা। এ রকম অনেক খাত আছে। প্রশাসন জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়, এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। খুনি, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের রক্ষা করাই যেন প্রশাসনের কাজ।

শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।

‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগরের সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ সব রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপি।

গয়েশ্বর রায় বলেন, আজকে বিচারের আগেই পুলিশ হাত-পা ভেঙে বিচার করছেন। থানায় ঢুকে ছাত্রলীগের কর্মীরা পুলিশের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের পেটাচ্ছে। কোনো বিচার নেই।  তিনি বলেন, জনগণের নিরাপত্তা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা থাকে না। যেখানে সরকারই ভেজাল, সেখানে প্রশাসন নির্ভেজাল থাকে না। যে দেশে আইনের শাসন নেই সেদেশে জনগণ বিচার চাইবে কার কাছে। বিচারপতিই স্বাধীন না, সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিলে দেশ ত্যাগ করতে হয়।

গয়েশ্বর বলেন, দেশের কারো বিরুদ্ধে স্যাংশন দিলে তা জাতির জন্য লজ্জার। কিন্তু সরকার লজ্জা পায় না। বেনজির র্যাবের ডিজি থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে উত্তরা থেকে আটক করলো। তার তিনমাস পর ভারতে তাকে পাওয়া গেলো। এটি কিভাবে সম্ভব হলো? কেনো তদন্ত করলেন না! আপনারা (সরকার) কি বিষয়টি জানতেন না!

এমপি আজিম হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আনার একসময় সর্বহারা পার্টি করতেন। আওয়ামী লীগে যোগদান করে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেন। আনার যে খুন হয়েছে তা এখনও প্রমাণ করতে পারেনি। তার শরীরের টুকরো এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আর যদি খুন হয়েই থাকে তাহলে খুনের দায়ে যাদের আটক করা হয়েছে, কেন তাকে খুন করলো তা প্রকাশ করছেন না?

গয়েশ্বর বলেন, ভারতের নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি বুঝেছে নির্বাচন কাকে বলে। সেখানে এখনও জবাবদিহিতা আছে। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো জবাবদিহিতা নেই বলেই সরকার যা ইচ্ছে তাই করছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন নসু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার, মনির হোসেন চেয়ারম্যান, সাইদুর রহমান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী, ওলামা দলের মাওলানা সেলিম রেজা, মৎসজীবী দলের আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের পাপ্পা সিকদার, ছাত্রদলের পাভেল সিকদার, খালিদ হাসান জ্যাকী প্রমুখ।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

প্রশাসন এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে: গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

বাংলাদেশের এমন কোনো কারাগার নেই যেখানে দলের নেতাকর্মীরা বন্দি নেই। এই আটকও একটি বাণিজ্য। ধরে আনতে পারলে বাণিজ্য। আত্মীয়-স্বজনরা দেখা করতে গেলে টাকা, খাবার দিতে গেলে টাকা, রিমান্ড না নেওয়া জন্য টাকা। এ রকম অনেক খাত আছে। প্রশাসন জনগণের নিরাপত্তার জন্য নয়, এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। খুনি, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের রক্ষা করাই যেন প্রশাসনের কাজ।

শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।

‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগরের সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ সব রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপি।

গয়েশ্বর রায় বলেন, আজকে বিচারের আগেই পুলিশ হাত-পা ভেঙে বিচার করছেন। থানায় ঢুকে ছাত্রলীগের কর্মীরা পুলিশের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের পেটাচ্ছে। কোনো বিচার নেই।  তিনি বলেন, জনগণের নিরাপত্তা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা থাকে না। যেখানে সরকারই ভেজাল, সেখানে প্রশাসন নির্ভেজাল থাকে না। যে দেশে আইনের শাসন নেই সেদেশে জনগণ বিচার চাইবে কার কাছে। বিচারপতিই স্বাধীন না, সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিলে দেশ ত্যাগ করতে হয়।

গয়েশ্বর বলেন, দেশের কারো বিরুদ্ধে স্যাংশন দিলে তা জাতির জন্য লজ্জার। কিন্তু সরকার লজ্জা পায় না। বেনজির র্যাবের ডিজি থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে উত্তরা থেকে আটক করলো। তার তিনমাস পর ভারতে তাকে পাওয়া গেলো। এটি কিভাবে সম্ভব হলো? কেনো তদন্ত করলেন না! আপনারা (সরকার) কি বিষয়টি জানতেন না!

এমপি আজিম হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আনার একসময় সর্বহারা পার্টি করতেন। আওয়ামী লীগে যোগদান করে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেন। আনার যে খুন হয়েছে তা এখনও প্রমাণ করতে পারেনি। তার শরীরের টুকরো এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আর যদি খুন হয়েই থাকে তাহলে খুনের দায়ে যাদের আটক করা হয়েছে, কেন তাকে খুন করলো তা প্রকাশ করছেন না?

গয়েশ্বর বলেন, ভারতের নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি বুঝেছে নির্বাচন কাকে বলে। সেখানে এখনও জবাবদিহিতা আছে। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো জবাবদিহিতা নেই বলেই সরকার যা ইচ্ছে তাই করছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন নসু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার, মনির হোসেন চেয়ারম্যান, সাইদুর রহমান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী, ওলামা দলের মাওলানা সেলিম রেজা, মৎসজীবী দলের আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের পাপ্পা সিকদার, ছাত্রদলের পাভেল সিকদার, খালিদ হাসান জ্যাকী প্রমুখ।

Facebook Comments Box