ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ট্রাইব্যুনালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক কর্তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হলো Logo ভাঙ্গুড়া প্রেস ক্লাবের অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান Logo মৌলভীবাজার পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক মহিম গ্রেপ্তার Logo পাবনার আমিনপুরে ইজিবাইক-মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীসহ নিহত ২ Logo সেনাকুঞ্জে যাবেন খালেদা জিয়া Logo সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ সিওয়াইবির কমিটি গঠন Logo সৈয়দপুর বাসটার্মিনালে বেহাল অবস্থা, যাত্রীসাধারনের দুর্ভোগ Logo ‘ফ্যাসিবাদী বয়ান’ দেওয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে: প্রেস সচিব Logo রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ Logo তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশ বিএনপি

সারাবেলা সংবাদ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ৫ বার পঠিত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না দেওয়ায় আশাহত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনিসহ তার দল আশা করেছিলো, প্রধান উপদেষ্টা সমস্যা চিহ্নিত করে নির্বাচনের রূপরেখা দেবেন।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি আয়োজিত মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় দ্রুত নির্বাচন দেশের জন্য মঙ্গল হবে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এই সরকার যতো দিন থাকবে, সমস্যা ততো বাড়বে। কারণ এরা নির্বাচিত নয়। তাই সরকারকেই সেটি চিন্তা করতে হবে।

বিএনপিও সংস্কার চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই বছর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সংসদ, বিচারবিভাগসহ নানা সংস্কারের কথা তুলে ধরেছেন। এখন মানুষ সেই সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই সরকারকে সংস্কার যৌক্তিক সময়ে করতে হবে। এমন যেন না হয়, মানুষ যেন না ভাবে- বর্তমান সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চায়।

এসময় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চেয়ে শেখ হাসিনার পরিণতির কথাও মনে করিয়ে দেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে, স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে, বাংলাদেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে, নির্বাচনের একটা রূপরেখা দিলে তারা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে। কারণ, ওই সরকারের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে। এই বিষয় আমাদের চিন্তা করতে হবে।’

প্রশাসনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনি সংস্কার করবেন, আমলারা যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা বেশির ভাগই স্বৈরাচারের দোসর। তাঁরা কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন, দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সেভাবে ব্যবস্থা নিতে দেখি না। এগুলো একটু দৃশ্যমান করুন। গভর্ন্যান্সের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রশাসন চালানো, দেশ শাসন করা—এগুলোতে যেন মানুষ শান্তি পায়। সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’

বাজার পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, শান্তি পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তা–ও তো মানুষ মেনে নিচ্ছে। কারণ, আপনারা একটা সুন্দর নির্বাচন দেবেন। কাজেই ওটাকে দৃশ্যমান করুন, ব্যবস্থা নিন। বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেন বা না পারেন, চেষ্টা করুন। ব্যবস্থা নিতে হবে। সচিবালয়ে যদি ঘুষ দিতে হয়, সচিবালয়ে গিয়ে যদি মানুষ দেখে সেই দালালেরাই ঘোরাঘুরি করছে, মানুষ তা কখনো ভালো চোখে দেখবে না।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এ সরকার পারবে, বাংলাদেশের মানুষ পারবে এবং তরুণেরা পারবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, হেলেন জেরিন খান, আসাদুল করিম, নাজমুল হক প্রমুখ।

Facebook Comments Box
ট্যাগস :

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশ বিএনপি

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না দেওয়ায় আশাহত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনিসহ তার দল আশা করেছিলো, প্রধান উপদেষ্টা সমস্যা চিহ্নিত করে নির্বাচনের রূপরেখা দেবেন।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি আয়োজিত মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় দ্রুত নির্বাচন দেশের জন্য মঙ্গল হবে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এই সরকার যতো দিন থাকবে, সমস্যা ততো বাড়বে। কারণ এরা নির্বাচিত নয়। তাই সরকারকেই সেটি চিন্তা করতে হবে।

বিএনপিও সংস্কার চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই বছর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সংসদ, বিচারবিভাগসহ নানা সংস্কারের কথা তুলে ধরেছেন। এখন মানুষ সেই সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই সরকারকে সংস্কার যৌক্তিক সময়ে করতে হবে। এমন যেন না হয়, মানুষ যেন না ভাবে- বর্তমান সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চায়।

এসময় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চেয়ে শেখ হাসিনার পরিণতির কথাও মনে করিয়ে দেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে, স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে, বাংলাদেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে, নির্বাচনের একটা রূপরেখা দিলে তারা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে। কারণ, ওই সরকারের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে। এই বিষয় আমাদের চিন্তা করতে হবে।’

প্রশাসনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনি সংস্কার করবেন, আমলারা যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা বেশির ভাগই স্বৈরাচারের দোসর। তাঁরা কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন, দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সেভাবে ব্যবস্থা নিতে দেখি না। এগুলো একটু দৃশ্যমান করুন। গভর্ন্যান্সের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রশাসন চালানো, দেশ শাসন করা—এগুলোতে যেন মানুষ শান্তি পায়। সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’

বাজার পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, শান্তি পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তা–ও তো মানুষ মেনে নিচ্ছে। কারণ, আপনারা একটা সুন্দর নির্বাচন দেবেন। কাজেই ওটাকে দৃশ্যমান করুন, ব্যবস্থা নিন। বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেন বা না পারেন, চেষ্টা করুন। ব্যবস্থা নিতে হবে। সচিবালয়ে যদি ঘুষ দিতে হয়, সচিবালয়ে গিয়ে যদি মানুষ দেখে সেই দালালেরাই ঘোরাঘুরি করছে, মানুষ তা কখনো ভালো চোখে দেখবে না।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এ সরকার পারবে, বাংলাদেশের মানুষ পারবে এবং তরুণেরা পারবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, হেলেন জেরিন খান, আসাদুল করিম, নাজমুল হক প্রমুখ।

Facebook Comments Box